৪৩ কোটি টাকা দিলেই মিলবে ‘গোল্ড কার্ড’
অভিবাসন নীতিতে বড় পরিবর্তন আনতে চলেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার থেকে আমেরিকার নাগরিকত্ব পেতে হলে গুনতে হবে প্রায় সাড়ে ৪৩ কোটি টাকা! ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষণা করেছে ‘গোল্ড কার্ড’ নামের একটি নতুন প্রক্রিয়ার, যা কিনলে অভিবাসীরা গ্রিন কার্ডের সব সুবিধা পেতে পারেন।
নতুন ‘গোল্ড কার্ড’ কী?
ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, ‘গোল্ড কার্ড’ হল গ্রিন কার্ডের ‘প্রিমিয়াম’ সংস্করণ। এখন পর্যন্ত, গ্রিন কার্ড ছিল আমেরিকায় অভিবাসীদের জন্য নাগরিকত্ব পাওয়ার একমাত্র উপায়। কিন্তু এবার থেকে অর্থের বিনিময়ে নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে ‘গোল্ড কার্ড’-এর মাধ্যমে।
ট্রাম্প বলেন,
👉 “আমরা গোল্ড কার্ড বিক্রির পরিকল্পনা করেছি। এতে গ্রিন কার্ডের সুবিধাও থাকবে, যা অভিবাসীদের জন্য আমেরিকায় নতুন পথ খুলে দেবে।”
👉 “যাঁরা এই কার্ড কিনবেন, তাঁরা এখানে এসে প্রচুর বিনিয়োগ করবেন, কর্মসংস্থান তৈরি করবেন এবং সরকারের রাজস্ব বাড়াবেন।”
কীভাবে পাওয়া যাবে ‘গোল্ড কার্ড’?
🔹 পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ৪৩.৫ কোটি টাকা) জমা দিতে হবে।
🔹 এই অর্থ সরাসরি আমেরিকার সরকারি তহবিলে যাবে।
🔹 কোনো নির্দিষ্ট বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই, শুধু অর্থ দিলেই নাগরিকত্ব মিলবে।
🔹 এটি আমেরিকার অর্থনৈতিক ঘাটতি পূরণে সহায়ক হবে।
🔹 আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যেই প্রক্রিয়া চালু হতে পারে।
ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, এই পরিকল্পনার জন্য কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজন নেই। তবে কীভাবে পুরো প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়িত হবে, তা নিয়ে এখনও পরিষ্কার কোনো নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি।
তাহলে ‘ইবি-৫’ ভিসা কি বাতিল হয়ে যাবে?
এখন পর্যন্ত আমেরিকায় বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রধান উপায় ছিল ‘ইবি-৫ প্রোগ্রাম’।
📌 এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে অভিবাসী বিনিয়োগকারীরা আমেরিকায় গ্রিন কার্ড পেতেন।
📌 তবে নতুন ‘গোল্ড কার্ড’ চালু হলে ‘ইবি-৫’ প্রোগ্রাম বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
📌 কারণ ‘গোল্ড কার্ড’ থেকে প্রাপ্ত অর্থ সরাসরি আমেরিকার সরকারি তহবিলে যাবে, যা ‘ইবি-৫’ বিনিয়োগ প্রক্রিয়ার চেয়ে সহজ হবে।
ট্রাম্প প্রশাসনের আরও কড়া পদক্ষেপ
দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেই অভিবাসন নীতি আরও কঠোর করেছেন ট্রাম্প।
🚫 অবৈধ অভিবাসীদের দ্রুত নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
🚫 শুল্কনীতি আরও কঠোর করা হয়েছে।
🚫 যে দেশ মার্কিন পণ্যের ওপর বেশি শুল্ক বসাবে, আমেরিকাও সেই দেশের পণ্যের ওপর তত শুল্ক বসাবে।
🚫 বিদেশি অনুদানের ক্ষেত্রেও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে।
‘গোল্ড কার্ড’ নিয়ে বিতর্ক ও সমালোচনা
✅ ধনী ব্যক্তিদের জন্য এটি একটি সহজ সুযোগ— টাকা দিলেই নাগরিকত্ব নিশ্চিত!
❌ কিন্তু সাধারণ অভিবাসীদের জন্য এটি অন্যায়, কারণ অর্থ না থাকলে সুযোগ মিলবে না।
❌ এতে বিশ্বের ধনীদের কাছে আমেরিকার নাগরিকত্ব ‘বিক্রির পণ্য’ হয়ে যাবে।
❌ এটি অর্থের ভিত্তিতে বৈষম্য তৈরি করতে পারে, যেখানে সাধারণ যোগ্য ব্যক্তিরা নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকবেন।
উপসংহার
ট্রাম্পের ‘গোল্ড কার্ড’ পরিকল্পনা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। কেউ বলছেন, এটি আমেরিকার অর্থনীতি চাঙ্গা করার একটি চালাক উপায়। আবার কেউ বলছেন, এটি ধনী অভিবাসীদের জন্য একপ্রকার ‘ভিআইপি এন্ট্রি’, যা সাধারণ নাগরিকত্ব প্রত্যাশীদের প্রতি অন্যায়।
এখন দেখার, এই পরিকল্পনা বাস্তবে কতটা কার্যকর হয় এবং কংগ্রেস ও নাগরিকরা কীভাবে এটি গ্রহণ করেন।
শুরুতেই ছন্দহীন শামি, এক ওভারে ১১ বল! বুমরাহের রেকর্ড ভাঙলেন বাংলার পেসার