৩৭ ঘণ্টার আকাশপথ পেরিয়ে ইরানে মার্কিন হামলা!
রবিবার ভোরে (ভারতীয় সময়) ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু কেন্দ্রে সফলভাবে হামলা চালাল আমেরিকা। দীর্ঘ ৩৭ ঘণ্টা টানা উড়ে গিয়ে এই অপারেশন সম্পন্ন করে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে শক্তিশালী বোমারু বিমান বি-২ স্পিরিট। মাটির নিচে থাকা সুরক্ষিত পরমাণু স্থাপনাগুলিকেও এই বিমান এড়িয়ে যায়নি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই আক্রমণকে ‘অত্যন্ত সফল’ বলে মন্তব্য করে জানিয়েছেন, ইরান এখনই শান্তির পথে না হাঁটলে, আরও বড় হামলার জন্য তৈরি থাকতে হবে।
⚡ কীভাবে চালানো হল এই হামলা?
এই অভিযান শুরু হয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি থেকে। সেখান থেকে উড়াল দিয়ে টানা ৩৭ ঘণ্টা ধরে আকাশপথে ইরানের দিকে এগোয় বি-২ স্পিরিট বোমারু বিমান। দীর্ঘ পথ পেরনোর জন্য মাঝ আকাশেই জ্বালানি ভরতে হয় বিমানটিকে, যাতে কোনও বিরতি না দিয়ে অপারেশন চালানো যায়।
🎯 হামলার লক্ষ্য: ইরানের তিন পরমাণু কেন্দ্র
হামলার প্রধান লক্ষ্য ছিল—
- ফরডো (সবচেয়ে সুরক্ষিত ও ভূগর্ভস্থ পরমাণু কেন্দ্র),
- নাতানজ়, এবং
- ইসফাহান।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই তিনটি পরমাণু কেন্দ্র ইরানের পরমাণু শক্তির মেরুদণ্ড। বিশেষ করে ফরডো এতটাই গভীরে নির্মিত, যেখানে সাধারণ বোমার মাধ্যমে হামলা প্রায় অসম্ভব। কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জই গ্রহণ করে আমেরিকা।
💣 ব্যবহৃত হল ‘বাঙ্কার বাস্টার’
এই অপারেশনে যুক্ত ছিল ভয়ঙ্কর ‘জিবিইউ-৫৭ ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর’ বা ‘বাঙ্কার বাস্টার’। এটি এমন এক ধরনের বোমা যা মাটির গভীরে প্রবেশ করে বিস্ফোরণ ঘটায়। ফরডোর উপর ছ’টি বাঙ্কার বাস্টার ফেলা হয়, যা ফাটিয়ে দেয় ভূগর্ভস্থ নিরাপত্তাবলয়। এসব বোমা ফেলার জন্যই ব্যবহার করা হয়েছে বি-২ স্পিরিট বিমান, যা ১৫ টন পর্যন্ত ওজনের বোমা বহন করতে সক্ষম।
🛥️ হামলায় যুক্ত মার্কিন নৌবাহিনীও
শুধু বিমান থেকেই নয়, ইরানের অন্য দুটি কেন্দ্রে হামলা চালায় মার্কিন নৌবাহিনীও। তারা ব্যবহার করেছে টোমাহক ক্রুজ মিসাইল। যা দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে পরিচিত এবং যুদ্ধক্ষেত্রে বহু বার ব্যবহৃত হয়েছে।
🔥 সংঘাতে জড়াল আমেরিকা, ভাঙল সময়সীমার প্রতিশ্রুতি
১৩ জুন ইজ়রায়েলের হামলায় ইরানের ৯ জন পরমাণু বিজ্ঞানী ও সামরিক আধিকারিক নিহত হন। তার জবাবে ইরানও ইজ়রায়েলের তেল আভিভে পাল্টা হামলা চালায়। দুই দেশের এই উত্তেজনার মাঝে ট্রাম্প ঘোষণা করেন, আমেরিকা ইরানে হামলা করবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নিতে দু’সপ্তাহ সময় দরকার।
কিন্তু সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই ট্রাম্প জানিয়ে দিলেন, ধৈর্যের সীমা পেরিয়েছে। ফলাফল: এই প্রতিশোধমূলক আক্রমণ।
🚨 “ধৈর্যের সীমা ছাড়াচ্ছে!”: কর্মীদের হুঁশিয়ারি Nothing-র CEO কার্ল পে-র

