৩৫ বছর পর পৃথিবী ধ্বংস!!
বিশ্বের শেষ দিন কবে? এটি এমন একটি প্রশ্ন, যা চিরকাল মানুষের মনে কৌতূহল জাগিয়েছে। বিজ্ঞানের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মনীষী, স্যার আইজ্যাক নিউটনও নাকি এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চেষ্টা করেছিলেন! সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে তাঁর লেখা একটি প্রাচীন চিঠি, যেখানে নিউটন ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, ২০৬০ সালে পৃথিবী ধ্বংস হতে পারে!
কীভাবে এই তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন নিউটন? এই ভবিষ্যদ্বাণী কি বাস্তবে রূপ নিতে পারে? চলুন, জেনে নিই বিস্তারিত।
নিউটনের চিঠি: কীভাবে গণনা করেছিলেন তিনি?
👉 ১৭০৪ সালে লেখা একটি চিঠিতে নিউটন উল্লেখ করেন যে, রোমান সাম্রাজ্যের পতনের ১২৬০ বছর পর পৃথিবী ধ্বংস হতে পারে।
👉 এই গণনার ভিত্তি ছিল বাইবেলের ‘বুক অফ ড্যানিয়েল’-এ উল্লেখিত বিভিন্ন ভবিষ্যদ্বাণী।
👉 নিউটনের মতে, ২০৬০ সালেই পৃথিবী ধ্বংসের চূড়ান্ত বছর হতে পারে।
তবে নিউটন নিজেই এই গণনার বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছিলেন, “সঠিক সময় কেবল ঈশ্বর জানেন।”
গ্রহাণুর সংঘর্ষে শেষ পৃথিবী?
নিউটনের গণনা ও ভবিষ্যদ্বাণীর সঙ্গে মিলে যাচ্ছে কিছু আধুনিক গবেষণা। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, ‘YR4 2024’ নামের একটি গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে।
🔹 বিজ্ঞানীরা এই গ্রহাণুটিকে ‘সিটি কিলার’ নাম দিয়েছেন।
🔹 এটি যদি পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষে আসে, তাহলে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ হতে পারে।
🔹 বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০৩২ সালেই এই গ্রহাণু পৃথিবীর কাছাকাছি আসতে পারে।
তবে বিজ্ঞানীরা এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলছেন না, কারণ মহাকাশে গ্রহাণুর গতি ও কক্ষপথ পরিবর্তন হতে পারে।
নাসার মতামত: পৃথিবীর কি সত্যিই ভয় পাওয়ার কারণ আছে?
🔭 নাসার গবেষণা অনুযায়ী:
✅ প্রতি ১০০ বছর পরপর মাঝারি আকারের গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষ হয়।
✅ সাধারণত, এই ধরনের গ্রহাণু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পরই পুড়ে যায়।
✅ বৃহৎ আকারের গ্রহাণুর আঘাতের সম্ভাবনা ৫ থেকে ১০ লক্ষ বছরে একবার ঘটে।
অর্থাৎ, যদি নিউটনের ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি হয়ও, তবে তার সম্ভাবনা খুবই কম।
শেষ কথা
আইজ্যাক নিউটনের মতো একজন মহান বিজ্ঞানীর এমন ভবিষ্যদ্বাণী সত্যিই চমকপ্রদ! তবে, বর্তমান বিজ্ঞান বলছে যে, পৃথিবী সহসাই ধ্বংস হওয়ার সম্ভাবনা নেই। নিউটনের গণনা কেবল ঐতিহাসিক কৌতূহল সৃষ্টি করে, কিন্তু একে ভিত্তি করে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই।
তবে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা ভবিষ্যতে গ্রহাণুর সম্ভাব্য আঘাত প্রতিরোধে বিভিন্ন গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা কেবল অপেক্ষা করতেই পারি—বিজ্ঞান কি সত্যিই ভবিষ্যতের এই রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারবে?
মাটির নীচ থেকে গর্জনের শব্দ! ভূমিকম্পের নতুন অভিজ্ঞতায় আতঙ্কিত দিল্লিবাসী— কেন হল এমন?