৩০ মার্চ পশ্চিমবঙ্গে আসছেন অমিত শাহ!
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির রাজনীতিতে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত! ৩০ মার্চ রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, তবে এবার তাঁর সফরের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হল নতুন রাজ্য সভাপতি নির্বাচন। শাহের সফরের আগেই ঠিক হয়ে যাবে, আগামী তিন বছর রাজ্য বিজেপির নেতৃত্ব কাদের হাতে থাকবে।
রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব কার হাতে?
বিজেপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, রাজ্য সভাপতি নির্বাচনের জন্য অন্তত ৫০% সাংগঠনিক জেলায় সভাপতি নির্বাচন সম্পন্ন হতে হয়। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সাংগঠনিক জেলা ৪৩টি, যার মধ্যে ২৫টি জেলার সভাপতি ইতিমধ্যেই নির্ধারিত হয়েছে। তাই রাজ্য সভাপতি নির্বাচনের পথে আর কোনো আইনি বা সাংগঠনিক বাধা নেই।
রবিবার বিজেপির রাজ্য সদর দফতরে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন—
✅ দুই কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল ও মঙ্গল পাণ্ডে
✅ সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালবীয়
✅ রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারসহ রাজ্য নেতৃত্ব
এই বৈঠক থেকেই জল্পনা তৈরি হয় যে, নতুন সভাপতি মনোনীত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। তবে বিজেপির নিয়ম অনুযায়ী, সভাপতি পদের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিতে হলে ‘প্রস্তাবক’ এবং ‘সমর্থক’দের স্বাক্ষর প্রয়োজন। রাজ্য পরিষদের সদস্যরা সাধারণত এই ভূমিকা পালন করেন।
কিন্তু রবিবারের বৈঠকে রাজ্য পরিষদের সদস্যদের উপস্থিতি তেমন দেখা যায়নি, ফলে কারও মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই সভাপতি পদের জন্য চূড়ান্ত মনোনয়ন জমা পড়বে বলে বিজেপি সূত্রে জানা যাচ্ছে।
অমিত শাহের সফর ও কর্মসূচি
২৯ মার্চ রাতে পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছাবেন অমিত শাহ। এরপর ৩০ মার্চ তিনি দিনভর দলের কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। তবে এই সফরে কোনও বিশাল জনসভা নয়, বরং বৃহৎ প্রেক্ষাগৃহে কর্মিসভা আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে বিজেপি।
এছাড়া, রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণা হওয়ার পরই তিনি শাহের সফরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবেন।
স্থিতাবস্থা বজায় রাখার চিন্তাভাবনা দিল্লির
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পশ্চিমবঙ্গে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার পক্ষপাতী। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক এক বছর আগে তারা চাইছে না, নেতৃত্বে কোনো বড় পরিবর্তন হোক।
এ কারণেই নতুন সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে বড় চমক আসার সম্ভাবনা কম। বর্তমান রাজ্য নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ এবং অভিজ্ঞ নেতাদেরই দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।
বিজেপির একাংশের মতে, ২৫টি জেলা সভাপতির তালিকায় বড় কোনো পরিবর্তনের ইঙ্গিত নেই। বরং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুরনো নেতৃত্বই বহাল রয়েছে, যা ‘স্থিতাবস্থা’ বজায় রাখার দিকেই ইঙ্গিত দেয়।
সুকান্ত মজুমদারের ভবিষ্যৎ কী?
বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মেয়াদ ২০২৪ সালের নভেম্বরেই শেষ হয়েছে। তবে পরবর্তী মেয়াদে তিনি আবার সভাপতি থাকবেন, নাকি নতুন কেউ দায়িত্ব নেবেন, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন—
🗣️ “বিজেপিতে কে ক্যাপ্টেন থাকল, সেটা বড় বিষয় নয়। আমাদের লক্ষ্য স্থির। কেউ নতুন দায়িত্ব নিতে পারেন, আবার আগের ক্যাপ্টেনও থাকতে পারেন।”
যদি নেতৃত্ব বদল হয়, তবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেবে। তাই নতুন রাজ্য সভাপতি কে হবেন, তা অমিত শাহের সফরের আগেই নিশ্চিত হবে।
চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা
🔥 আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই নতুন রাজ্য সভাপতি মনোনীত হবেন
🔥 ৩০ মার্চ অমিত শাহের সফরে নতুন নেতৃত্বের আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব গ্রহণ হতে পারে
🔥 স্থিতাবস্থা বজায় রাখার লক্ষ্যে বড় চমকের সম্ভাবনা কম
এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা, রাজ্য বিজেপির নতুন ‘ক্যাপ্টেন’ কে হবেন— সেটাই দেখার! 🚩
ন’মাস পর পৃথিবীতে ফিরছেন সুনীতা উইলিয়ামস! নাসা জানাল অবতরণের নির্দিষ্ট সময়