Monday, December 1, 2025

১ কোটি টাকা, সোনার বিস্কুট আর রুপোর পাহাড়—ঘুষ কাণ্ডে ফাঁসলেন আইআরএস অফিসার!

Share

সোনার বিস্কুট আর রুপোর পাহাড়!

ঘুষ কেলেঙ্কারির জালে আটকে পড়লেন কেন্দ্রীয় রাজস্ব পরিষেবার (IRS) এক উচ্চপদস্থ অফিসার। সিবিআইয়ের চোখে ধরা পড়ার পরে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসছে। শুধু ২৫ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগেই থেমে থাকেনি ঘটনাক্রম—তদন্তে উঠে এল নগদ টাকার পাহাড়, সোনার বিস্কুট, রুপোর গয়না ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিস্তর তথ্য।

ঘটনার কেন্দ্রে যিনি, তিনি অমিতকুমার সিংহল—২০০৭ ব্যাচের আইআরএস আধিকারিক। কর্মরত ছিলেন ‘ডিরেক্টরেট অফ ট্যাক্সপেয়ার সার্ভিসেস’-এ অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেলের পদে। অভিযোগ, আয়কর সংক্রান্ত একটি মামলা ‘মিটিয়ে’ দিতে তিনি ৪৫ লক্ষ টাকা ঘুষ দাবি করেছিলেন এক পিৎজা দোকানের মালিকের কাছ থেকে। বিষয়টি সহ্য না করে মালিক সোজা চলে যান সিবিআইয়ের দফতরে, আর সেখান থেকেই শুরু হয় গোটা কেলেঙ্কারির পর্দাফাঁস।

টাকা-পয়সার গন্ধে পেছনে পড়ল সিবিআই

শনিবার, মোহালিতে অমিতকুমারের বাড়িতে একটি ফাঁদ পাতে সিবিআই। যদিও সেই মুহূর্তে তিনি বাড়িতে ছিলেন না। বরং তাঁর হয়ে টাকা সংগ্রহ করছিলেন হর্ষ কোটক নামের এক ব্যক্তি। হর্ষকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে সিবিআই এবং পরে বসন্তকুঞ্জে অবস্থিত সিংহলের দিল্লির বাড়ি থেকে ধরা হয় তাঁকেও।

এর পরেই শুরু হয় আরও বিস্তৃত তল্লাশি। দিল্লি, মুম্বই এবং পঞ্জাব মিলিয়ে একাধিক জায়গায় হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। উদ্ধার হয় প্রায় ১ কোটি টাকা নগদ, ৩.৫ কেজি সোনা, ২ কেজি রুপো এবং সোনার বিস্কুট। সঙ্গে মেলে ২৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথিপত্র, একটি লকার এবং কিছু জমির দলিলপত্রও।

এত টাকা, এত সোনা—সবই ঘুষের?

সিবিআই স্পষ্ট করে জানায়নি, উদ্ধার হওয়া নগদ বা সোনা ধৃত অফিসারের কোন ঠিকানা থেকে পাওয়া গেছে—দিল্লি না পঞ্জাব। তবে তদন্তে জোরকদমে এগোচ্ছে সংস্থা। সম্পত্তির বাজারমূল্য নির্ধারণের প্রক্রিয়াও চলছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারি আমলার বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ নতুন কিছু নয়, কিন্তু এই ঘটনায় যে পরিমাণ সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছে, তা বিস্ময়কর। প্রাথমিক অনুমানে মনে করা হচ্ছে, এসবই ঘুষের টাকায় গড়ে ওঠা সম্পদের অংশমাত্র।

সৎ প্রক্রিয়ার জয়, নাকি আরও গভীর নেটওয়ার্ক?

ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ দিক—একজন সাধারণ ব্যবসায়ী (পিৎজা দোকানের মালিক) ঘুষের প্রস্তাব পেয়ে প্রতিবাদ করেছেন এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছেন। তাঁর এই পদক্ষেপেই ফাঁস হয়েছে এত বড় কেলেঙ্কারি। তবে প্রশ্ন উঠছে, এই অফিসারই কি একা? নাকি এর পেছনে রয়েছে আরও গভীর কোনও নেটওয়ার্ক?

সিবিআই জানিয়েছে, তদন্ত চলছে এবং আরও বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসতে পারে। এর মধ্যে অমিতকুমারের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়েছে।

সারা দিন “স্নান করে বেরোলাম” লুক—কীভাবে পাবেন তরতাজা ও সতেজ চুলের জাদু?

Read more

Local News