১১ বছরের ছোট নায়িকাকে ভালোবেসে বিয়ে!
বলিউডে কেরিয়ারের মতোই রঙিন তাঁর প্রেমের কাহিনি। ফ্যাশন শিক্ষক থেকে অভিনেতা হয়ে ওঠা গুলশন দেবাইয়ার জীবন যেন সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। অনুরাগ কাশ্যপের হাত ধরে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করা এই অভিনেতা আজ জনপ্রিয় মুখ হলেও, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তিনি সবসময়ই নীরব থেকেছেন। কিন্তু তাঁর প্রেম, বিয়ে আর বিচ্ছেদ—এসব নিয়েই আলোচনার ঝড় উঠেছে বারবার।
🎬 ফ্যাশন দুনিয়া থেকে বড়পর্দায় যাত্রা
ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন গুলশন দেবাইয়া। প্রায় এক দশক কাটিয়েছেন ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে শিক্ষকতা করে। কিন্তু মঞ্চের আলো তাঁকে টানত। থিয়েটারের দুনিয়ায় পা রেখেই শুরু হয় অভিনয়ের নতুন অধ্যায়। ২০১০ সালে অনুরাগ কাশ্যপের “That Girl in Yellow Boots” ছবির মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। এরপর “শয়তান”, “হেট স্টোরি”, “রামলীলা”, “হান্টার” থেকে শুরু করে “দম মারো দম”—সবেতেই নজর কেড়েছেন নিজের অভিনয়ে।
সম্প্রতি দক্ষিণী ছবিতেও সফল হয়েছেন গুলশন। বিশেষ করে “কান্তারা: চ্যাপ্টার ১”-এ তাঁর অভিনয় দর্শকদের মন জিতে নিয়েছে। OTT প্ল্যাটফর্মেও “আফসোস”, “গানস অ্যান্ড গুলাবস”, “দহাঢ়” সিরিজে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন তিনি।
💞 বিদেশিনী অভিনেত্রীকে ভালোবেসে বিয়ে
২০১০ সালে কাজের সূত্রে গুলশনের আলাপ হয় গ্রীক অভিনেত্রী কালিররো টজিয়াফেটার সঙ্গে। প্রথমে বন্ধুত্ব, তারপর প্রেম—এভাবেই সম্পর্ক গাঢ় হয়। দু’বছর প্রেমের পর ২০১২ সালে তাঁরা বিয়ে করেন। কালিররো বয়সে গুলশনের থেকে ১১ বছরের ছোট ছিলেন।
তবে, ৮ বছরের সংসার টেকেনি। ২০২০ সালে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের পরও গুলশন বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেননি। তাঁর মতে, “বিয়ে বা বিচ্ছেদ খুবই ব্যক্তিগত ব্যাপার, যা নিয়ে জনসমক্ষে কথা বলার প্রয়োজন নেই।”
⚖️ বিচ্ছেদের কারণ ও আত্মসমালোচনা
গুলশন এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমার কেরিয়ার তখন শুরু। ব্যস্ততা, অনিশ্চয়তা আর কাজের চাপের কারণে সংসারে সময় দিতে পারিনি। জীবনের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলাম।”
কাজের প্রতি অতিরিক্ত মনোযোগ তাঁর দাম্পত্যে প্রভাব ফেলেছিল বলেই মনে করেন অভিনেতা।
❤️ প্রাক্তন স্ত্রীর সঙ্গে আবার প্রেম!
তিন বছর সিঙ্গল থাকার পর গুলশন আবারও ফিরে এসেছেন কালিররোর জীবনে। যদিও তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, “আমরা আবার বিয়ে করছি এমনটা নয়। আমরা একে অপরের ভুলগুলো বুঝেছি, একসঙ্গে সময় কাটাই, ভ্রমণে যাই, একসঙ্গে খাবার খাই—কিন্তু এবার সবকিছু অনেক বেশি পরিণতভাবে দেখি।”
গুলশন আরও বলেন, “কালিররো আমার জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে। এবার আমি শিখেছি কীভাবে কাজ ও সম্পর্কের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে হয়।”
🌟 শেষ কথা
গুলশন দেবাইয়ার জীবনের গল্প একটাই শিক্ষা দেয়—জীবনের ব্যর্থতা, কষ্ট বা বিচ্ছেদই শেষ নয়। কখনও কখনও ভালোবাসা আবার ফিরে আসে, নতুনভাবে, আরও পরিণত রূপে।

