Monday, April 14, 2025

“হ্যান্ডস অফ!” ট্রাম্প-মাস্ক জুটির বিরুদ্ধে পথে জনস্রোত, কণ্ঠ মিলিয়েছেন কমলা হ্যারিসও

Share

ট্রাম্প-মাস্ক জুটির বিরুদ্ধে পথে জনস্রোত!

মাত্র চার মাস হল, ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসেছেন। কিন্তু ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে সারা দেশে ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। পাশে পেয়েছেন একসময়কার প্রতিদ্বন্দ্বী, প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকেও।

শনিবার থেকে আমেরিকার নানা প্রান্তে গর্জে উঠেছে হাজার হাজার প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর। কর্মসূচির নাম— “হ্যান্ডস অফ”। লক্ষ্য একটাই— ট্রাম্প প্রশাসনের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত আর ইলন মাস্কের প্রভাব খাটানো রুখে দেওয়া।

প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস নিজেও এই আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়ে রীতিমতো তোপ দাগেন। রবিবার এক্স (প্রাক্তন টুইটার)-এ এক পোস্টে তিনি লেখেন,

“আজ গোটা দেশে মানুষ রাস্তায় নেমেছে সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য পরিষেবা ও শিক্ষার পক্ষে। এই অনির্বাচিত ধনকুবেরদের মুখ নয়, সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বরই আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ গড়ে দিক।”

২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকানদের কাছে হারলেও, এখন মনে হচ্ছে কমলা আবারও রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন, এবার জনগণের প্রতিনিধি হয়ে।

আন্দোলনের ঢেউ ৫০টি রাজ্যে

‘হ্যান্ডস অফ’ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে ১৫০টিরও বেশি সংগঠন। নাগরিক অধিকার সংস্থা, শ্রমিক ইউনিয়ন, এলজিবিটিকিউ+ গোষ্ঠী, রাজনৈতিক কর্মী— সবাই একসঙ্গে যোগ দিয়েছেন এই প্রতিবাদে। আমেরিকার ১,২০০-র বেশি জায়গায় শান্তিপূর্ণ মিছিল হয়েছে।

নিউ ইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলস, হিউস্টন, ওয়াশিংটন থেকে শুরু করে কলোরাডো— সবখানেই এক সুরে ধ্বনিত হয়েছে,
“আমেরিকায় রাজা চলে না, ফ্যাসিবাদ চাই না!”

ইলন মাস্কের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ ছড়িয়েছে। টেসলা ও এক্স-এর কর্তা মাস্ককে ট্রাম্প প্রশাসনের ‘ছায়া-নেতা’ বলে কটাক্ষ করছেন অনেকে।

শুধু আমেরিকা নয়, বিশ্বজুড়েই প্রতিধ্বনি

এই আন্দোলনের ঢেউ শুধু আমেরিকায় থেমে থাকেনি। ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, মেক্সিকো ও পুয়ের্তো রিকোতেও এই বিক্ষোভের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছে মানুষ।

কী নিয়ে এত ক্ষোভ?

ট্রাম্প দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেই একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রশাসনিক পদে ব্যাপক ছাঁটাই, অভিবাসীদের বিতাড়ন, তৃতীয় লিঙ্গ বা রূপান্তরকামীদের অধিকার হরণ, আরোপিত নতুন শুল্কনীতি— সব কিছুতেই অসন্তোষ চরমে। শুধু আমেরিকায় নয়, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মহলেও চাপ বেড়েছে ট্রাম্পের অর্থনৈতিক নীতির কারণে।

তবে হোয়াইট হাউস থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য আসেনি। ট্রাম্প নিজের অবস্থানেই অনড়।

শেষ কথা

এই বিক্ষোভ শুধু রাজনীতির বিরুদ্ধে নয়—এ এক জনতার পক্ষে দাঁড়ানোর ডাক। কমলা হ্যারিসের কথায়, “আমরা ভোলেনি—এই দেশ গণতন্ত্রে চলে, কোনও কর্পোরেট বা ধনকুবেরের ইচ্ছেতে নয়।”

‘হ্যান্ডস অফ’ হয়তো একটা আন্দোলনের নাম, কিন্তু এর মধ্য দিয়ে আমেরিকা জোর গলায় জানিয়ে দিল— গনতন্ত্রের গায়ে যেন কেউ হাত না দেয়!

রুই-কাতলার একঘেয়েমিতে বিরাম! স্বাদ বদল আনতে রান্না করুন ট্যাংরা মাছের ঝালঝালে তেল-ঝাল

Read more

Local News