Thursday, January 30, 2025

স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা খারিজ, আদালতের মন্তব্যে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি

Share

স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা!

রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের বিরুদ্ধে ২০২১ সালে কলকাতা হাই কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। মামলাকারী সংস্থার দাবি ছিল, অনেক সাধারণ মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন না, এবং প্রকল্পটি শুধুমাত্র নির্বাচনী ফায়দা হাসিলের জন্য চালু করা হয়েছে। তবে, হাই কোর্ট সেই মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে, এবং বিচারপতির মন্তব্যে বিষয়টি নতুন আলোয় এসেছে।

মামলার দাবি এবং ‘স্বাস্থ্যসাথী’র কার্যকারিতা

‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্প চালু হয়েছিল ২০১৬ সালে, রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রাপ্তিতে পরিবারের মহিলাদের নামে একটি করে কার্ড দেওয়া হয়, যার মাধ্যমে সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিমা পাওয়া যায়। কিন্তু, মামলাকারী অভিযোগ করেন, প্রকল্পটি প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়েছে। অনেক ক্ষেত্রে, রোগীরা বেসরকারি হাসপাতালগুলো থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়, এবং প্রকল্পের আওতায় চিকিৎসা সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। এর পেছনে মূলত রাজ্য সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল, এমনটাও দাবি করা হয়।

হাই কোর্টের সিদ্ধান্ত এবং বিচারপতির বক্তব্য

এই মামলাটি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চে উঠেছিল। গণস্বার্থ মামলাটি খারিজ করে আদালত মন্তব্য করেছে, রাজ্য সরকার কোনো প্রকল্প চালু করতে চাইলে, সেটা তার নিজস্ব সিদ্ধান্তস্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পটি সরকারের একটি নীতিগত পদক্ষেপ, এবং আদালত কোনোভাবেই এতে হস্তক্ষেপ করবে না

বিচারপতি শিবজ্ঞানম বলেছেন,
“ধরুন, এই প্রকল্পটি না থাকলে কী হবে? সেক্ষেত্রে কি আদালত কোনো পদক্ষেপ নিত? সরকার চাইলে কোনো প্রকল্প চালু করতে পারে, এবং সেটা তাদের সিদ্ধান্ত।” তিনি আরও যোগ করেন, “এ বিষয়ে প্রয়োজনে বিধায়ক এবং সাংসদদের সঙ্গে আলোচনা করুন। আদালত এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না।”

বিচারপতির নির্দেশ ও সরকারী প্রতিক্রিয়া

এই মামলার খারিজ হওয়া অবশ্য রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলি সম্পূর্ণ দূর করে দেয়নি। কিছু বেসরকারি হাসপাতাল এখনও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড গ্রহণে বিরত থাকে, এবং অনেক ক্ষেত্রে প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি রয়েছে। যদিও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সাফল্যবিভিন্ন মানুষের উপকার হওয়ার কথা বলা হয়েছে।

এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক বার সতর্ক করেছেন, কিন্তু অভিযোগ করা হয়েছে যে পরিস্থিতি তেমন বদলায়নি। অনেক সাধারণ মানুষ এখনও এই প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত।

পাশাপাশি প্রতিবেদন এবং ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ

সরকারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে মানুষের উপকারের বিষয়টি তুলে ধরা হলেও, সাধারণ মানুষ এবং কিছু হাসপাতালের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এখনও প্রশ্ন ওঠে। ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পের ব্যবহারযোগ্যতা এবং কার্যকারিতা নিয়ে এখনও বিশেষজ্ঞদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে।

তবে, আদালতের মন্তব্যে সরকারের দায়িত্বের বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। আগামী দিনে যদি এই প্রকল্পের কার্যকারিতা নিয়ে আরও সমস্যা আসে, তবে তা রাজ্য সরকারের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন ঘটাতে পারে।

এছাড়া, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপের পরও যদি স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের বাস্তবিক সুবিধা লাভে কোনও অস্থিরতা থাকে, তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও ব্যবস্থাপনাপর্যবেক্ষণ বাড়ানোর প্রয়োজন।

শ্রীদেবী-কন্যা খুশি কপূরের বদলে যাওয়া মুখ, নাক, ঠোঁটের গড়ন: অস্ত্রোপচারের গল্প নিজেই শেয়ার করলেন!

Read more

Local News