স্বপ্নভঙ্গ থেকে স্বপ্নপূরণ- শার্দূল ঠাকুরের!
আইপিএলে দল না পেয়ে যখন হতাশায় ডুবে গিয়েছিলেন শার্দূল ঠাকুর, তখন বিলেতের মাটিতে কাউন্টি ক্রিকেট খেলার পরিকল্পনাও করে ফেলেছিলেন। ইংল্যান্ডে গিয়ে এসেক্সের হয়ে খেলার কথা ভেবেছিলেন তিনি। কিন্তু ভাগ্য তার জন্য অন্য কিছু ঠিক করে রেখেছিল। মোহসিন খানের চোট যেন নতুন আশার আলো নিয়ে এল শার্দূলের জীবনে।
বৃহস্পতিবার লখনউ সুপার জায়ান্টসের জার্সিতে চার উইকেট শিকার করে তিনি হয়ে উঠলেন ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়। তার দাপটেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ১৯০ রানে আটকে দেওয়া সম্ভব হয়। তবে এই অভাবনীয় প্রত্যাবর্তনের নেপথ্যে রয়েছেন ভারতের প্রাক্তন বাঁহাতি পেসার জাহির খান।
জাহির খানের ফোনেই খুলল নতুন দরজা
আইপিএলের নিলামে অবিক্রিত থাকার পরও কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজি তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তবে সবচেয়ে আগে এগিয়ে এসেছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। ব্যক্তিগতভাবে জাহির খান ফোন করে তাকে দলে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানান। অভিজ্ঞ এই পেসারের আহ্বানে সাড়া দিতে সময় নেননি শার্দূল। জাহিরের পরামর্শ আর অভিজ্ঞতা তার জন্য আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়ায়।
শার্দূল বলেন, “নিলামের দিনটা খুব কঠিন ছিল। কিন্তু আমি জানতাম, ক্রিকেটে এমনটা হতেই পারে। যখন জাহির স্যার ফোন করলেন, তখন আর দ্বিতীয়বার ভাবিনি। তার সঙ্গে কাজ করা মানেই শেখার এক দুর্দান্ত সুযোগ।”
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা আর ভারতীয় দলে ফেরার স্বপ্ন
৩৩ বছর বয়সী এই পেসার ইতিমধ্যে ভারতের হয়ে ১১টি টেস্ট, ৪৭টি ওডিআই এবং ২৫টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। তবে ২০২৩ সালের পর থেকে জাতীয় দলে জায়গা হয়নি তার। আইপিএলে দুর্দান্ত পারফর্ম করে আবারও জাতীয় দলে ফেরার স্বপ্ন দেখছেন শার্দূল।
তিনি বলেন, “প্রতিভা আর স্কিল সবসময় থাকে, তবে পারফরম্যান্সই শেষ কথা। খারাপ সময় এলে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হয়। আমি জানতাম, সুযোগ এলে তা কাজে লাগাতে হবে।”
সাফল্যের মাইলফলক
আইপিএলে ইতিমধ্যে ১০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন শার্দূল। এর আগে চেন্নাই সুপার কিংস, দিল্লি ক্যাপিটালস, কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব, কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টের হয়েও খেলেছেন তিনি। তবে পরিসংখ্যান নয়, দলের জয়ই তার কাছে মুখ্য।
শার্দূল বলেন, “মাইলফলক ছুঁতে পারলে ভালো লাগে, কিন্তু দিনের শেষে জয়টাই আসল। আমি উইকেট বা রান নয়, দলের সাফল্যের জন্য খেলি।”
শেষ কথা
জীবনের কঠিন মুহূর্তে মনোবল ধরে রেখে কিভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়, তার অনন্য উদাহরণ শার্দূল ঠাকুর। তার এই প্রত্যাবর্তন শুধু একজন খেলোয়াড়ের সাফল্যের গল্প নয়, এটি আত্মবিশ্বাস আর অদম্য মানসিকতার প্রতিচ্ছবি। ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীরা এখন তাকিয়ে থাকবেন, কিভাবে এই অলরাউন্ডার আবারও জাতীয় দলে জায়গা করে নেন এবং দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনেন।
মোদীর আমন্ত্রণে সাড়া, ভারতে আসছেন পুতিন! দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন অধ্যায়