Friday, April 11, 2025

‘স্ত্রী’ ছবির রহস্য ফাঁস! শ্রদ্ধার হাসি কি সত্যিই প্রেতিনীর মতো? বিতর্কে পরিচালক অমর কৌশিক

Share

শ্রদ্ধার হাসি কি সত্যিই প্রেতিনীর মতো?

বলিউডে হরর-কমেডি ঘরানায় নতুন নজির গড়েছে ‘স্ত্রী’। রাজকুমার রাও ও শ্রদ্ধা কপূর অভিনীত এই ছবি প্রথম থেকেই দর্শকের মন জয় করেছে। ছবি রিলিজ হওয়ার পর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েক বছর, তবুও সিনেমা হলগুলোতে এখনও দর্শকের ভিড়। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন— যখন অন্যান্য ছবি মুখ থুবড়ে পড়ছে, তখন ‘স্ত্রী’-র এত জনপ্রিয়তা কেন?

এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েই শনিবার চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠলেন ছবির পরিচালক অমর কৌশিক। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন, ছবির সাফল্যের নেপথ্যে অন্যতম কারণ শ্রদ্ধা কপূরের ‘ভূতিয়া হাসি’! ঠিক শুনছেন, পরিচালক জানিয়েছেন, প্রেতিনীর চরিত্রে শ্রদ্ধাকে বেছে নেওয়ার পিছনে রয়েছে এক মজার কাহিনি।

অমরের কথায়, “ছবির প্রযোজক দীনেশ বিজন একবার বিমানে শ্রদ্ধার পাশে বসেছিলেন। সেখানেই কথা বলতে বলতে তিনি অবাক হয়ে লক্ষ্য করেন, বাস্তবেও শ্রদ্ধা এমন এক ধরনের হাসেন, যা অনেকটাই পর্দায় দেখানো প্রেতিনীর হাসির মতো! বিমানে নেমেই তিনি আমাকে বললেন— ‘এই মেয়েটাকেই আমাদের নিতে হবে।’” এরপর অমর ও দীনেশ মিলে শ্রদ্ধাকেই ছবির মুখ হিসেবে বেছে নেন।

প্রথম ‘স্ত্রী’ হিট হওয়ার পর দ্বিতীয় ছবিতেও শ্রদ্ধার উপস্থিতি ছিল। যদিও গল্পের রূপরেখা বদলে গিয়েছিল, কিন্তু রাজকুমার রাও, পঙ্কজ ত্রিপাঠী, অপারশক্তি খুরানা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো পুরনো মুখেরা ছবিতে ফিরেছিলেন। দর্শক আবারও মুগ্ধ হন শ্রদ্ধার অভিনয় ও রহস্যময় উপস্থিতিতে।

তবে পরিচালক অমরের এই মন্তব্য যে কেবল আলোচনার জন্ম দিয়েছে তাই নয়, বিতর্কও ছড়িয়েছে বেশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্রদ্ধার অনুরাগীরা ক্ষুব্ধ। অনেকেই বলেছেন, “একজন অভিনেত্রী তাঁর পরিশ্রম আর প্রতিভায় ছবিকে সফল করেছেন, আর পরিচালক তাঁর হাসিকে কেন্দ্র করে ছবির সাফল্য ব্যাখ্যা করছেন!” কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, “একজন পুরুষ সহকর্মী কি কোনও মহিলাকে সম্মান জানাতে জানেন না? শ্রদ্ধার মতো প্রতিভাবান অভিনেত্রীর প্রাপ্য আরও বেশি।”

এক নেটিজেনের প্রশ্ন, “শুধু হাসির জন্যই কি একজন অভিনেত্রীকে নেওয়া হয়? তাঁর প্রতিভা, অভিনয় দক্ষতা কিছুই বিবেচনায় আসে না?” কেউ কেউ তো এক ধাপ এগিয়ে বলেছেন, “শ্রদ্ধার পাশে আরও ভালো সহকর্মী থাকা উচিত ছিল, যারা তাঁকে সম্মান করবে।”

অমর কৌশিক এই সমালোচনার উত্তর এখনও দেননি, তবে স্পষ্ট— এক চটুল মন্তব্যের ফলে তাঁকে পড়তে হয়েছে দর্শকের ক্ষোভের মুখে। বলিউডে যেখানে নারী শিল্পীদের যথাযথ মর্যাদা নিয়ে বারবার প্রশ্ন ওঠে, সেখানে এমন মন্তব্য আরও সংবেদনশীল হওয়া উচিত বলে মত অনেকের।

তবে বিতর্ক যতই থাক, ‘স্ত্রী’ ছবির সাফল্য অস্বীকার করা যায় না। আর শ্রদ্ধা কপূরের অনস্ক্রিন উপস্থিতি ও অভিনয় যে আজও দর্শকের মনে দাগ কেটে গেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। হয়তো প্রেতিনী নয়, শ্রদ্ধা আসলে এক পর্দার যাদুকর, যাঁর হাসির মধ্যেও লুকিয়ে থাকে রহস্য!

স্ট্রেস কমাতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে মাসাজ, তবে সাবধানে নিতে হবে এই সিদ্ধান্ত

Read more

Local News