শার্দূল ঠাকুরের ধারাভাষ্যকারদের প্রতি ক্ষোভ!
আইপিএলে ধারাভাষ্যকারদের প্রতি তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের অলরাউন্ডার শার্দূল ঠাকুর। গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে গত ম্যাচের পর, ধারাভাষ্যকারদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘‘স্টুডিয়োয় বসে মন্তব্য করা সবচেয়ে সহজ কাজ। মাঠের পরিস্থিতি কেউ যদি না বুঝে, তাহলে কীভাবে সঠিক মন্তব্য করা সম্ভব?’’
ধারাভাষ্যকারদের সমালোচনার প্রতিবাদ
আইপিএলের শুরুতেই ইরফান পঠান ধারাভাষ্যকারদের তালিকা থেকে বাদ পড়েন কিছু ক্রিকেটারের আপত্তির কারণে। তবে শার্দূল এবার নিজেই সরাসরি ধারাভাষ্যকারদের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন। তাঁর মতে, ‘‘আমাদের বোলাররা শুরু থেকেই ভালো বল করছে, কিন্তু ধারাভাষ্যকাররা প্রায়ই আমাদের সমালোচনা করে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বোলারদের সম্পর্কে কঠিন মন্তব্য করাটা মোটেও সঠিক নয়। মাঠের প্রকৃত অবস্থা বোঝার জন্য, ধারাভাষ্যকারদেরকে হয়তো মাঠে বসে খেলা দেখতে হবে।’’
মাঠের বাস্তবতা এবং পিচের প্রভাব
শার্দূলের বক্তব্যে আরও উঠে আসে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বাস্তবতা। তিনি বলেন, ‘‘বর্তমানে ২০০ রানের বেশি স্কোর করা আর কিছুটা অস্বাভাবিক নয়। ব্যাটিং-friendly পিচের কারণে রান ওঠা স্বাভাবিক, আর এর জন্যই বোলারদের সমালোচনা করা উচিত নয়।’’ তিনি আরও জানান, ‘‘আমরা দু’বার ব্যাট করে প্রতিপক্ষকে কম রানে আটকে রেখেছি, এটি আমাদের বোলারদের কৃতিত্ব।’’
বোলারদের প্রতিকূল পরিস্থিতি
শার্দূলের মতে, বর্তমান পিচগুলো ব্যাটারদের সুবিধার দিকে প্রণীত, আর এর কারণে বোলারদের জন্য ম্যাচ কঠিন হয়ে উঠছে। ২২ গজের মাটিও এখন ব্যাটারদের সুবিধার্থে তৈরি করা হয়, তাই খেলার নিয়মের বেশিরভাগই ব্যাটারদের পক্ষেই চলে এসেছে। ‘‘এই বিষয়টি বিশেষজ্ঞদের বুঝতে হবে এবং খেলার পরিবর্তিত অবস্থায় বোলারদের সমালোচনা করার আগে প্রকৃত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে হবে,’’ যোগ করেন শার্দূল।
লখনউয়ের বোলিং শক্তির প্রশংসা
শার্দূল ঠাকুর অবশ্য শুধু সমালোচনা করেননি, তিনি দলের বোলিং শক্তিরও প্রশংসা করেছেন। তাঁর মতে, ‘‘আমরা বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ম্যাচ জিতেছি এবং প্রতিপক্ষকে কম রানে আটকে রেখেছি। মাঠের অবস্থার পরিবর্তনেও আমাদের দলের বোলাররা অসাধারণ কাজ করেছে।’’
এই মন্তব্যের মাধ্যমে শার্দূল আরও একবার পরিষ্কার করে দিয়েছেন, মাঠের খেলার বাস্তবতা এবং ধারাভাষ্যকারদের মন্তব্যের মধ্যে কতটা পার্থক্য রয়েছে।