ট্যাব প্রতারণায় জড়িত
স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য বরাদ্দ ট্যাবের অর্থ আত্মসাৎ করার চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। ধৃতদের নাম মনিরুল ইসলাম ও মনসুর ইসলাম, যাঁদের বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার আশারু বস্তিতে। শুক্রবার রাতে তাঁদের গ্রেফতার করা হয় এবং শনিবার আলিপুর আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাঁদের ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
তদন্তে উঠে এসেছে, এই দুই ব্যক্তি চক্রের প্রধান দিবাকর দাসের নির্দেশে কাজ করতেন। তাঁরা গ্রামের বাসিন্দাদের থেকে ভাড়ার বিনিময়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর সংগ্রহ করতেন। স্কুলের ট্যাবের জন্য বরাদ্দ অর্থ ওই অ্যাকাউন্টে জমা পড়লে তা তুলে নেওয়ার দায়িত্ব ছিল তাঁদের। এটিএম কার্ড ব্যবহার করে এই অর্থ সরানো হতো। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মূল ভূমিকা ছিল মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করা এবং পুরো প্রক্রিয়াটি কার্যকর করা।
এই চক্রের প্রধান দিবাকর দাসকে কিছু দিন আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। তদন্তকারীদের ধারণা, এই প্রতারণার পেছনে আরও বেশ কয়েকজন যুক্ত রয়েছে। তাঁদের সন্ধান পেতে ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে।
এই নিয়ে ট্যাব প্রতারণার ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করা হবে, যাতে পুরো চক্রের মূল ষড়যন্ত্রকারী ও অর্থ লুকানোর পথ সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। তদন্ত এখনও জারি রয়েছে এবং আরও নতুন তথ্য প্রকাশ পেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
সরকারি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করার এই ঘটনা রাজ্য জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। প্রশাসন ও পুলিশ প্রতারিতদের অর্থ ফেরাতে তৎপর।

