স্কুল কি আর নিরাপদ?
স্কুল কি সত্যিই নিরাপদ? এই প্রশ্ন এখন উত্তর কলকাতার এক স্কুলের অভিভাবকদের মুখে মুখে। সম্প্রতি স্কুল চলাকালীন এক নাবালিকাকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। নিরাপত্তার ঘাটতির অভিযোগ তুলে অভিভাবকেরা স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখান এবং সিসি ক্যামেরা, পর্যাপ্ত আয়া ও নিরাপত্তাব্যবস্থা বাড়ানোর দাবি তোলেন।
🔴 কী ঘটেছিল স্কুলে?
গত বুধবার ক্লাস চলাকালীন এক নাবালিকাকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ ওঠে।
📢 এই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই স্কুলের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকেরা।
👮 পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয় এবং শুক্রবার দুপুরে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অভিভাবকদের বৈঠক হয়।
⚠️ অভিভাবকদের প্রধান দাবি কী?
শুক্রবার সকালে অভিভাবকেরা স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন এবং কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি উত্থাপন করেন—
📌 স্কুলের সিসি ক্যামেরার সংখ্যা বাড়াতে হবে।
📌 শৌচালয়ের সামনেও সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে এবং পর্যাপ্ত আলো লাগাতে হবে।
📌 স্কুলে মাত্র একজন আয়া আছেন, যা অপ্রতুল। আয়ার সংখ্যা বাড়াতে হবে।
📌 ক্লাস চলাকালীন পুরুষ মিস্ত্রিদের দিয়ে মেরামতের কাজ করানো যাবে না।
অভিভাবকেরা জানিয়ে দিয়েছেন, যতদিন না তাঁদের দাবি পূরণ হচ্ছে এবং লিখিত প্রতিশ্রুতি পাওয়া যাচ্ছে, তাঁরা তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন না।
📌 স্কুল কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া
🏫 স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জানান,
👉 “স্কুলে ইতিমধ্যেই ১৪টি সিসি ক্যামেরা আছে, প্রয়োজনে আরও বসানো হবে।”
👉 “মেরামতের কাজ আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।”
👉 “শনিবার স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির বৈঠকের পর অভিভাবকদের সিদ্ধান্ত জানানো হবে।”
অন্যদিকে, শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা জানান,
👥 “স্কুল চলাকালীন মেরামতের কাজ করানো উচিত হয়নি। জরুরি হলে স্কুলের প্রতিনিধিদের সেখানে থাকা উচিত ছিল এবং মিস্ত্রিদের পরিচয়পত্র থানায় জমা দেওয়া উচিত ছিল।”
🚨 অভিভাবকদের প্রতিবাদ চলছেই!
⚠️ স্কুলের পক্ষ থেকে দাবি পূরণের লিখিত আশ্বাস না পাওয়ায় অভিভাবকদের একাংশ জানিয়েছেন, তাঁরা সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন না।
⚠️ স্কুল কর্তৃপক্ষ বলেছে, সোমবার থেকেই পঠনপাঠন শুরু হবে, তবে অভিভাবকদের অনেকেই এতে রাজি নন।
🚩 রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তর কলকাতা জেলা কংগ্রেসও আন্দোলনে নামে।
📢 তাঁরা থানায় দাবিপত্র জমা দেন এবং মিছিল করেন।
📌 কংগ্রেস নেতা সুমন রায়চৌধুরী অভিযোগ করেন—
👉 “মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যে নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা সবচেয়ে বেশি লঙ্ঘিত হচ্ছে। অথচ সরকার কিছু করছে না!”
❓ তাহলে এবার কী হবে?
✅ স্কুল কর্তৃপক্ষ দাবি মেনে নেবে কি না, তা এখনও অনিশ্চিত।
✅ অভিভাবকেরা আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা করেছেন।
✅ সোমবার থেকে স্কুল খোলার ঘোষণা হলেও, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নিরাপত্তাহীনতার এই ঘটনায় শিশুদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা চরমে পৌঁছেছে। এখন দেখার বিষয়, স্কুল কত দ্রুত ব্যবস্থা নেয়, নাকি এই আন্দোলন আরও বড় আকার ধারণ করে! 🚸🔥
বিচ্ছেদের পর বিশাল অঙ্কের খোরপোশ দিতে হবে যুজবেন্দ্র চহল! আদালতের রায়ে আলোড়ন