স্কুলের ভেতর বিভীষিকা!
উত্তর কলকাতার এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজমিস্ত্রিদের হাতে ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে! বাচ্চাদের লজেন্সের লোভ দেখিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে যাওয়া, শৌচাগারের সামনে ঘোরাফেরা করা—এই অভিযোগ ঘিরে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা এলাকা। স্কুল কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তায় বৃহস্পতিবার বিক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকেরা।
কী ঘটেছিল স্কুলের ভেতরে?
শ্যামপুকুরের একটি স্কুলে গত কয়েকদিন ধরে মেরামতির কাজ চলছিল। রাজমিস্ত্রিরা শৌচাগারের কাছে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিলেন। অভিযোগ, ছাত্রীদের চকোলেট বা লজেন্স খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হতো এবং সেখানে কুপ্রস্তাব দেওয়া হতো।
এই ঘটনা প্রথম ফাঁস হয় এক ছাত্রী পরিবারের কাছে ঘটনাটি জানালে। এরপর আরও কয়েকজন ছাত্রী অভিভাবকদের একই ঘটনা জানায়। আতঙ্কে স্কুলে ছুটে আসেন অভিভাবকেরা, এবং জানতে পারেন এমন ঘটনা একবার নয়, বারবার ঘটেছে!
স্কুল কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা ও প্রধানশিক্ষিকার আচরণ
📌 প্রধানশিক্ষিকা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চাননি!
অভিভাবকেরা অভিযোগ করেন, যখন তাঁরা এই বিষয়টি নিয়ে প্রধানশিক্ষিকার কাছে জানতে চান, তিনি উল্টে বলেন, “বাচ্চারা মনগড়া কথা বলছে!”
📌 বাচ্চাদের অভিযোগ তোলায় টিসি দেওয়ার হুমকি!
যখন অভিভাবকেরা আরও জোর দিতে থাকেন, তখন প্রধানশিক্ষিকা হুমকি দেন যে, যারা অভিযোগ করবে, তাদের স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হবে!
এই কথায় ক্ষোভ চরমে ওঠে। অভিভাবকেরা স্কুলের প্রধান গেটে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁদের একটাই দাবি—প্রধানশিক্ষিকা পদত্যাগ করুন!
অভিভাবকদের বিক্ষোভ, পুলিশের হস্তক্ষেপ
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ মোতায়েন করা হয় স্কুলের সামনে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, পুলিশ অভিভাবকদের ওপর বলপ্রয়োগ করে এবং কিছু মহিলাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়!
🎙️ এক অভিভাবক বলেন, “আমার মেয়ে বাড়িতে এসে কাঁদতে কাঁদতে জানালো কী হয়েছে। স্কুলে এসে জানতে পারলাম, একদিন-দু’দিন নয়, এটা বহুদিন ধরেই চলছে! অথচ স্কুল কর্তৃপক্ষ সব জেনেও চুপ!”
🎙️ অন্য একজনের ক্ষোভ, “রাজমিস্ত্রিরা মুখে কালো কাপড় বেঁধে শৌচাগারের দরজায় কড়া নাড়ছে! শৌচাগারে একটা আলো পর্যন্ত নেই। স্কুলের কি এতটুকু ব্যবস্থা করার সামর্থ্য নেই?”
গ্রেফতার ও তদন্ত শুরু
এই ঘটনায় ছ’জন রাজমিস্ত্রিকে আটক করেছে পুলিশ। তবে বিক্ষোভরত অভিভাবকদের দাবি, পুলিশ অভিযুক্তদের অন্য দরজা দিয়ে সরিয়ে নিচ্ছে, যাতে তাদের রক্ষা করা যায়!
এখনও পর্যন্ত স্কুল কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্কুল কি আর নিরাপদ?
এই ঘটনা শুধু একটি স্কুলের নিরাপত্তাহীনতার চিত্র তুলে ধরছে না, বরং পুরো শিক্ষা ব্যবস্থার গাফিলতির চরম উদাহরণ হয়ে উঠেছে। অভিভাবকদের প্রশ্ন, স্কুলের শৌচাগার পর্যন্ত যদি নিরাপদ না হয়, তাহলে মেয়েরা কোথায় নিরাপদ?
এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হবে তো? নাকি কিছুদিন পর সব ধামাচাপা পড়ে যাবে? 🤔 আপনার কী মত?
বিচ্ছেদের পর বিশাল অঙ্কের খোরপোশ দিতে হবে যুজবেন্দ্র চহল! আদালতের রায়ে আলোড়ন