Monday, December 1, 2025

সিবিআই মামলায় জামিন পাওয়ার ছ’দিন পর আবার গ্রেফতার সেই ‘সৎ রঞ্জন’! গেলেন ইডির হেফাজতে

Share

সিবিআই মামলায় জামিন

নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নাম জড়ানোর পর জামিন পাওয়া ‘সৎ রঞ্জন’ আবার বিপাকে। গত ২০ নভেম্বর কলকাতা হাই কোর্ট সিবিআই মামলায় তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছিল। তবে সেই জামিন পাওয়ার পর মাত্র ছ’দিনের মধ্যে তাঁকে আবার গ্রেফতার করল ইডি।

বাগদার বাসিন্দা চন্দন মণ্ডল, যিনি ‘সৎ রঞ্জন’ নামেই পরিচিত, দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আলোচনায় ছিলেন। সিবিআই তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার পর, তাঁকে একাধিক বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং শেষপর্যন্ত গ্রেফতারও করা হয়। সিবিআই তাকে দুটি মামলায় গ্রেফতার করেছিল: একটি গ্রুপ সি এবং অন্যটি নবম-দশম শ্রেণির নিয়োগ দুর্নীতির মামলা। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সিবিআই রঞ্জনকে গ্রেফতার করেছিল এবং এরপর থেকেই তিনি জেলে ছিলেন।

তবে সম্প্রতি, হাই কোর্টের জামিন আদেশের পরেও তাঁর মুক্তি দীর্ঘদিন আটকে ছিল। জামিন পাওয়ার পরেও, সেলফ্ শর্ত নিয়ে জটিলতা তৈরি হলে জেল থেকে মুক্তি পাননি রঞ্জন। তার মধ্যেই ইডি তৎপর হয়ে উঠে এবং তাকে আবার গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে (বিচার ভবন) শোন অ্যারেস্টে তার আবেদন মঞ্জুর হওয়ার পর তাঁকে ইডি গ্রেফতার করে।

ইডি সূত্রে খবর, রঞ্জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলায়। আদালত আগামী সোমবার পর্যন্ত তাকে ইডির হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। এই মামলার তদন্তে একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে এবং রঞ্জনের গ্রেফতারির পরেই ইডি আরও তদন্ত শুরু করেছে।

রাজ্যজুড়ে নিয়োগ দুর্নীতির বিস্তার ও এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নাম প্রায়ই উঠে এসেছে। সিবিআইয়ের অভিযোগ, রঞ্জন সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য টাকার বিনিময়ে নানা অবৈধ কার্যকলাপ চালিয়ে এসেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক চাকরিপ্রার্থীর চাকরি পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতেও তার নাম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল।

গত বছরের শুরুতে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাসের একটি পুরনো ভিডিও প্রকাশ্যে আসে, যেখানে তিনি রঞ্জনের কথা উল্লেখ করেন। তবে, সেই সময় তাঁর প্রকৃত নাম প্রকাশ হয়নি। পরবর্তীতে আদালতে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার আবেদনকারীরা রঞ্জনের আসল নাম চন্দন মণ্ডল বলে প্রকাশ করেন।

এখন, ইডির হেফাজতে থাকার পর, রঞ্জনের বিরুদ্ধে তদন্ত আরও তীব্র হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, তাঁকে জামিন মঞ্জুর হলেও, তদন্তের জন্য তিনি জামিনে মুক্তি পাননি। এটা যে দীর্ঘদিনের চলমান দুর্নীতির এক পরিণতি, তা বোঝা যাচ্ছে। আগামী দিনগুলোতে কী ঘটবে, তা এখন শুধু সময়ই বলবে।

Read more

Local News