সিআইএ-র গোপন পরিকল্পনা!
বিশ্বের সবচেয়ে বড় হেরোইন উৎপাদক—এই তকমা বহু বছর ধরেই ছিল আফগানিস্তানের নামে। একসময় বিশ্বের ৯০% হেরোইন যেত এখান থেকে। তালিবানদের আর্থিক শক্তির অন্যতম উৎস ছিল এই আফিমচাষ—যা নিয়েই বহুদিন ধরে চলেছে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ। কিন্তু সম্প্রতি প্রকাশিত The Washington Post-এর রিপোর্টে উঠে এসেছে এক অবিশ্বাস্য তথ্য—হেরোইনের নেশা বন্ধ করতে সিআইএ নাকি ব্যবহার করেছিল পোস্তেরই বীজ!
এই গোপন প্রোজেক্ট ১০ বছর ধরে চলেছিল, আর উদ্দেশ্য ছিল—কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা, অর্থাৎ আফিমচাষকেই বদলে দিয়ে মাদকশিল্পকে ভেঙে দেওয়া।
🔍 সিআইএ-র গোপন বীজ অভিযান—সংক্ষেপে জানা যাক
| বিষয় | তথ্য |
|---|---|
| সময়কাল | ২০০৪–২০১৫ |
| উদ্দেশ্য | আফিমের গুণমান কমানো, হেরোইন উৎপাদন অলাভজনক করা |
| পদ্ধতি | ব্রিটিশ সি-১৩০ বিমান থেকে বিশেষ বাছাই করা পোস্ত বীজ ছড়ানো |
| অঞ্চল | হেলমান্দ ও নাঙ্গারহার—আফগানিস্তানের প্রধান আফিমচাষ এলাকা |
| পরিকল্পনা তদারকি | সিআইএ-র Crime and Narcotics Center |
| অবস্থা | অত্যন্ত গোপনীয়; পেন্টাগন, স্টেট ডিপার্টমেন্ট পর্যন্ত জানত না |
🌱 কী ছিল এই বিশেষ পোস্ত বীজের বৈশিষ্ট্য?
এটি কোনও জিনগত পরিবর্তিত (GMO) বীজ ছিল না। বরং selective breeding-এর মাধ্যমে এমন বীজ তৈরি করা হয়েছিল যাতে—
- পোস্তের ক্ষারীয় (alkaloid) মাত্রা দ্রুত কমে যায়
- হেরোইন তৈরির কাঁচামাল দুর্বল হয়
- বাজারে হেরোইনের মান পড়ে যায়
- মাদক উৎপাদন অলাভজনক হয়ে পড়ে
ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পুরো মাদকশিল্পই নাকি দুর্বল হয়ে পড়ার কথা ছিল।
🔥 কতটা সফল হয়েছিল এই মিশন?
এ নিয়ে মতভেদ স্পষ্ট।
✔ সফল বলছেন সিআইএ-র একাংশ
তাদের দাবি, কয়েক বছর ধরে আফিমের মান ও উৎপাদন কমেছিল।
✘ সফল হয়নি বলছেন অন্যরা
- দীর্ঘমেয়াদে প্রভাব পড়েনি
- আফগানিস্তানের মাদকনির্ভরতা কমেনি
- তালিবানদের অর্থনৈতিক শক্তি পুরোপুরি ভাঙা যায়নি
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে তালিবান ফের ক্ষমতায় আসার পর নিজেদের উদ্যোগেই আফিমচাষের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ফলে ২০২৩-এ আফিম উৎপাদন ৬২০০ টন থেকে নেমে আসে মাত্র ৩৩৩ টনে—৯৫% কম।
🔗 আরও তথ্যসূত্র
✔ অফিসিয়াল আন্তর্জাতিক ডেটা ও গবেষণা: https://www.unodc.org
✔ আরও বিশ্ব-রাজনীতি, প্রযুক্তি ও স্পোর্টস নিউজের জন্য ভিজিট করুন: https://technosports.co.in

