Monday, December 1, 2025

সারা দেশে একযোগে বাংলাদেশি শনাক্তকরণ কেন? প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাই কোর্ট

Share

সারা দেশে একযোগে বাংলাদেশি শনাক্তকরণ কেন?

সম্প্রতি দেশের নানা প্রান্তে বাংলাদেশি নাগরিক শনাক্ত করার উদ্দেশ্যে শুরু হয়েছে পুলিশি অভিযান। তবে কেন ঠিক একই সময়ে এই কাজ শুরু হল, কেন জুন মাসকেই বেছে নেওয়া হল—এই প্রশ্ন ঘিরে তৈরি হয়েছে আইনি বিতর্ক। মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্টভাবে কেন্দ্রীয় সরকারকে এ নিয়ে জবাব দিতে বলেছে।

বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং ঋতব্রতকুমার মিত্রের বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে, “দেশের বিভিন্ন রাজ্যে একসঙ্গে বাংলাদেশি শনাক্ত করার কাজ হঠাৎ কেন শুরু হল? এর পেছনে কি পূর্ব পরিকল্পনা ছিল? যদি পুলিশ এক সঙ্গে তল্লাশি অভিযানে নামে, তা হলে সেটা পরিকল্পিত বিষয়। এখানেও কি তেমন কিছু ঘটেছে?”

এ সময় অভিযোগের বিষয়টিও সামনে আসে যে, বাংলায় কথা বললেই অনেককে বাংলাদেশি সন্দেহে আটকানো হচ্ছে। বিচারপতি চক্রবর্তী কেন্দ্রের আইনজীবীকে বলেন, “এই বিষয়ে আদালতকে পরিষ্কার জানানো উচিত। কারণ যদি কোনও ভুল তথ্য প্রচারিত হয় বা ভুল পদক্ষেপ নেওয়া হয়, সেটি সমাজে বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে।”

জবাবে কেন্দ্রের ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল ধীরাজ ত্রিবেদী বলেন, “পহেলগাঁও হামলার ঘটনার পরে নিরাপত্তা খাতে সন্দেহজনক গতিবিধি দেখলে ডেকে পাঠানো হচ্ছে। বাংলা বললেই আটক করা হচ্ছে না। ইতিমধ্যেই ১৬৫ জনকে আটক করা হয়েছিল, তার মধ্যে ৫ জন বাংলাদেশি বলে নিজেরাই স্বীকার করেছে। বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”

তবে মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল অশোককুমার চক্রবর্তী। তিনি আদালতে জানান, একই বিষয়ে দিল্লি হাই কোর্টে মামলা চলছে। তাই কলকাতা হাই কোর্টে আবার একই মামলা হওয়া উচিত নয় বলে মত দেন তিনি। একই ব্যক্তিদের নিয়ে দুই জায়গায় মামলা দাখিল হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন কেন্দ্রীয় আইনজীবী।

এ নিয়ে আদালত মামলাকারী পক্ষের আইনজীবীকে ভর্ৎসনা করে এবং কেন্দ্রকে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দেয়। দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, আগামী ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে কেন্দ্রকে হলফনামায় পুরো বিষয়টি বিস্তারিত জানাতে হবে। এরপরেই প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৪ অগস্ট।

এদিকে রাজ্যের হয়ে হাজির থাকা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলায় কথা বললেই যদি কাউকে বাংলাদেশি সন্দেহে আটকানো হয়, তা হলে সেটা অন্যায়। কে ভারতীয় নাগরিক এবং কে নয়, সেটা কীভাবে নির্ধারণ হচ্ছে, কেন্দ্রকে তা পরিষ্কার করতে হবে।”

সব মিলিয়ে, একযোগে বাংলাদেশি শনাক্তকরণের এই সিদ্ধান্ত ঘিরে নতুন করে প্রশ্ন ও বিতর্ক শুরু হয়েছে, যার জবাব এখন খুঁজছে আদালতও।

ফ্লিপকার্ট ও অ্যামাজনে ধামাকা ডিসকাউন্টে বাজেট স্মার্টফোনের দারুণ অফার চলেছে—নিচে কিছু হাইলাইট আর শীর্ষ—৪ ফোনের তালিকা দেয়া হলো

Read more

Local News