‘সাপ’ বলেছিলেন মাস্ক!
ভারতে নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দায়িত্ব পেলেন সার্জিয়ো গোর—যিনি দীর্ঘদিন ধরেই ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত। শুধু রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বই নয়, তাঁকে দেওয়া হয়েছে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ—দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ায় প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূতের দায়িত্বও। ফলে কূটনৈতিক মহলে এখন চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন সার্জিয়ো।
হোয়াইট হাউস থেকে দিল্লি
বর্তমানে সার্জিয়ো গোর হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্সিয়াল পার্সোনেল বিভাগের শীর্ষ পদে রয়েছেন। সেখানেই তাঁর নেতৃত্বে রেকর্ড সময়ে ফেডেরাল সরকারের বিভিন্ন দফতরে প্রায় চার হাজার জনকে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। ট্রাম্পের দাবি, তাঁদের দফতর এখন প্রায় ৯৫ শতাংশ পূর্ণ। এই অভিজ্ঞতাকেই হাতিয়ার করে এবার সার্জিয়োকে পাঠানো হচ্ছে নয়াদিল্লিতে, ভারতের মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসাবে। তবে তিনি নতুন দায়িত্ব নেওয়ার আগ পর্যন্ত হোয়াইট হাউসে তাঁর বর্তমান ভূমিকাতেই থাকবেন।
ট্রাম্পের বিশেষ আস্থা
সামাজিক মাধ্যমে ঘোষণার সময় ট্রাম্প স্পষ্ট করে দিয়েছেন, সার্জিয়ো শুধুই এক জন প্রশাসনিক সহকর্মী নন, তিনি তাঁর ব্যক্তিগত বন্ধু। ট্রাম্প লিখেছেন, ‘‘সার্জিয়ো বহু বছর ধরে আমার পাশে রয়েছেন। তিনি নির্বাচনী প্রচারে কাজ করেছেন, আমার বই প্রকাশ করেছেন, আমাদের আন্দোলনকে শক্তিশালী করতে অসংখ্য অবদান রেখেছেন।’’ প্রেসিডেন্টের মতে, আমেরিকার জনগণের দেওয়া দায়িত্ব পালন করতে সার্জিয়োর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মাস্কের সঙ্গে সংঘাত
তবে সার্জিয়োর নাম আলোচনায় এসেছে আরও একটি কারণে। কয়েক বছর আগে ইলন মাস্ক হোয়াইট হাউসের পদ থেকে সরে দাঁড়ান ট্রাম্পের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে। সেই সময় মাস্ক প্রকাশ্যে সার্জিয়োকে ‘সাপ’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে সেই দূরত্ব আজও অনেকে স্মরণ করেন। তবে ট্রাম্পের কাছে এই বিতর্ক কোনো প্রভাব ফেলেনি। বরং তিনি সার্জিয়োকেই দিল্লি এবং এশিয়ার বৃহত্তর অঞ্চলে আমেরিকার মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন।
ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ইঙ্গিত
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পদ যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশেষত ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই নিয়োগের কূটনৈতিক তাৎপর্য অনেক। দক্ষিণ এশিয়া এবং মধ্য এশিয়ায় বিশেষ দূতের ভূমিকা যুক্ত হওয়ায় বোঝা যাচ্ছে, ট্রাম্প প্রশাসন এশিয়ায় নিজেদের উপস্থিতি জোরদার করতে চাইছে।
নতুন অধ্যায়
একদিকে ট্রাম্পের আস্থা, অন্যদিকে মাস্কের পুরনো মন্তব্য—এই দুইয়ের মাঝেই নতুন অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছেন সার্জিয়ো গোর। ভারতের মাটিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে তাঁর কূটনৈতিক যাত্রা কতটা সফল হয়, এখন সেটাই দেখার অপেক্ষা।
👉 শেষ পর্যন্ত একটা বিষয় স্পষ্ট—ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে সার্জিয়ো শুধু বিশ্বস্ত সহকর্মী নন, বরং একজন পরীক্ষিত সঙ্গী। আর সেই বিশ্বাসকেই সঙ্গে নিয়ে তিনি এবার ভারত ও এশিয়ার কূটনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পা রাখতে চলেছেন।
জমি কেনার নামে শত কোটির সম্পত্তি দখলের চেষ্টা? বাঁকে বিহারী মন্দিরকে ঘিরে উত্তাপ

