Tuesday, February 11, 2025

সাইবার অপরাধীদের ভয়ঙ্কর ফাঁদ! পাঁচ দিন ধরে পুরো পরিবার ‘ডিজিটাল বন্দি’, হাতিয়ে নিল ১ কোটি টাকা

Share

সাইবার অপরাধীদের ফাঁদ!

সাইবার প্রতারণার নতুন কৌশলে আতঙ্ক ছড়াল নয়ডায়। এক পরিবারকে পাঁচ দিন ধরে ডিজিটাল বন্দি রেখে ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা লুট করে নিল প্রতারকরা। নিজেদের ‘সিবিআই’ ও ‘আইপিএস অফিসার’ পরিচয় দিয়ে ভয় দেখিয়ে পুরো পরিবারকে মানসিক চাপে রেখে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।


📌 কীভাবে ঘটল এই প্রতারণা?

📞 ১ ফেব্রুয়ারি নয়ডার বাসিন্দা চন্দ্রভান পালীওয়াল-এর কাছে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে।
📢 ফোনের অপর প্রান্তের ব্যক্তি বলেন, তাঁর সিম কার্ড অবৈধ কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত এবং তা শীঘ্রই ব্লক করে দেওয়া হবে।
🔔 এরপর আরও একটি ফোন আসে। এবার নিজেকে ‘মুম্বই পুলিশের আইপিএস অফিসার’ পরিচয় দেন প্রতারক।
💻 ভিডিও কলে ওই ব্যক্তি জানান, চন্দ্রভানের বিরুদ্ধে ২৪টি মামলা রয়েছে, যা সিবিআই তদন্ত করছে।

ভয়ংকর হুমকি দেওয়া হয়—
❗ “যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১ কোটি টাকা না দেন, তাহলে পুরো পরিবারকে গ্রেফতার করা হবে।”
❗ “তোমার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হচ্ছে।”

এই হুমকিতে আতঙ্কিত হয়ে চন্দ্রভান ও তাঁর পরিবার পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে একাধিক ট্রান্সফারে প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা পাঠিয়ে দেন।


🚨 ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ কী?

সাইবার অপরাধীরা মানসিক চাপে ফেলে, ভয় দেখিয়ে কাউকে দীর্ঘ সময় ঘরে আটকে রেখে প্রতারণা করে— এটাকেই বলা হচ্ছে ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’।

এই কৌশলে—
তাদের সঙ্গে বাইরে যোগাযোগ করতে দেওয়া হয় না।
পুলিশ বা অন্য কোনও আত্মীয়কে জানাতে বাধা দেওয়া হয়।
বিভিন্ন আইনি ধারা ও পুলিশের ভুয়া নথি দেখিয়ে ভয় দেখানো হয়।
ভিডিও কলে ‘জিজ্ঞাসাবাদ’ করার নাটক করা হয়।
টাকা পাঠানো না হলে পরিণতি ভয়ঙ্কর হবে, এই বলে চাপ সৃষ্টি করা হয়।


🔍 কীভাবে এই প্রতারণার ফাঁদ পাতা হয়েছিল?

✅ প্রতারকরা প্রথমে ফোন নম্বরের সূত্র ধরে চন্দ্রভানের ব্যক্তিগত তথ্য জোগাড় করে।
✅ তাঁকে মানসিক চাপে ফেলার জন্য একাধিক ‘ফেক’ পুলিশ অফিসার ভিডিও কলে ভয় দেখায়।
সিম বন্ধের ভয় দেখিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করে।
✅ কোনওভাবেই তাঁকে সময় দেওয়া হয়নি সত্যতা যাচাই করার।


🔴 পুলিশ কী বলছে?

📢 নয়ডা পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন—

“এটি অত্যন্ত পরিকল্পিত সাইবার অপরাধ। পুরো পরিবারকে ভয় দেখিয়ে টাকা লুট করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে, দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।”

✅ প্রতারকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
✅ ফোন নম্বর ট্র্যাক করা হচ্ছে।
✅ পরিবারের সদস্যদের মানসিকভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।


⚠️ কীভাবে রক্ষা পাবেন এই ধরনের প্রতারণা থেকে?

✔️ অপরিচিত নম্বর থেকে আসা হুমকিকে গুরুত্ব দেবেন না।
✔️ নিজেকে বা পরিবারকে দোষী প্রমাণ করার মতো কোনও তথ্য শেয়ার করবেন না।
✔️ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কখনও ফোনে টাকা দাবি করে না। সন্দেহ হলে সরাসরি স্থানীয় থানায় যান।
✔️ কোনও ব্যক্তিগত তথ্য (ব্যাঙ্ক ডিটেলস, OTP) ফোনে কাউকে বলবেন না।
✔️ সাইবার ক্রাইম হেল্পলাইন (১৯৩০) বা নিকটস্থ পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ জানান।


🔎 উপসংহার

নয়ডার এই ঘটনা সাইবার অপরাধীদের নতুন প্রতারণার কৌশলকে সামনে নিয়ে এল। মানসিক চাপে ফেলে, ভয় দেখিয়ে পুরো পরিবারকে ‘ডিজিটাল বন্দি’ রেখে টাকা লুট করা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

📌 সতর্কতা ও দ্রুত পদক্ষেপই পারে আপনাকে এই ধরনের প্রতারণার হাত থেকে বাঁচাতে!

৩০০ কিলোমিটার যানজটে অচল কুম্ভযাত্রা! ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে পুণ্যার্থীরা, বন্ধ রেলস্টেশনও

Read more

Local News