বলিউডে ক্যাটরিনা কইফকে ঘিরে পুরনো বিতর্ক ফের সামনে!
বলিউডে নায়ক-নায়িকার মধ্যে মতানৈক্য নতুন কিছু নয়। ক্যামেরার সামনে যতই হাসিখুশি মুখ দেখা যাক না কেন, পর্দার আড়ালে সম্পর্ক সবসময় মসৃণ থাকে না। তবে সাধারণত এইসব ঝামেলার কথা প্রকাশ্যে আসে না—যতক্ষণ না তা মাত্রাছাড়া হয়ে যায়। এমনই এক ঘটনা ঘটেছিল ২০০৯ সালে, যখন আলোচনায় উঠে আসে বলিউডের গ্ল্যামার গার্ল ক্যাটরিনা কইফ এবং অভিনেতা নীল নীতিন মুকেশের সম্পর্ক। অভিযোগ, সহ-অভিনেতার গায়ের রঙ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন ক্যাটরিনা!
সময়টা ২০০৯, তখন ‘নিউ ইয়র্ক’ ছবির শ্যুটিং চলছে জোরকদমে। ছবিতে অভিনয় করছিলেন ক্যাটরিনা, নীল নীতিন মুকেশ এবং জন আব্রাহাম। শোনা যায়, প্রথম থেকেই ক্যাটরিনার আচরণে অস্বস্তি বোধ করেছিলেন নীল। একসঙ্গে শট দিতে গিয়ে যেন কোথাও একটা দেয়াল তৈরি হচ্ছিল। কথাও বলছিলেন না ক্যাটরিনা। একাধিক সূত্র থেকে নীল জানতে পারেন, এই দূরত্বের মূল কারণ তাঁর গায়ের রঙ—তাঁর রং নাকি অতটা উজ্জ্বল নয়, আর তাতেই অস্বস্তি বোধ করেছিলেন নায়িকা!
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গ তুলে ধরেন নীল নিজেই। তিনি জানান, এক সময় আর চুপ থাকতে পারেননি। সোজাসুজি গিয়ে ক্যাটরিনাকে জিজ্ঞেস করেন, “আসলে সমস্যা কোথায়?” অবশেষে স্পষ্ট জবাব দেন ক্যাটরিনা। জানান, তিনি এর আগে কখনও এমন সিরিয়াস ও আবেগঘন চরিত্রে অভিনয় করেননি। এতদিন মূলত হালকা, কৌতুকধর্মী ছবির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই ছবির চরিত্রটা ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন ধাঁচের, তাই তিনি কিছুটা নার্ভাস ছিলেন। সেটেই নাকি তাঁর এমন আচরণ।
নীলের বক্তব্য অনুযায়ী, ক্যাটরিনার সেই স্বীকারোক্তির পরেই তাঁদের মধ্যে থাকা দূরত্ব অনেকটাই কমে আসে। সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়, এবং শ্যুটিংও মসৃণভাবে সম্পন্ন হয়। তবে ততদিনে ঘটনাটি বলিউডের অন্দরে চাউর হয়ে গিয়েছিল।
বলিউডে নানা সময়ে ক্যাটরিনার আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কখনও নাকি সহ-অভিনেতার সময় মতো শ্যুটে না আসা নিয়ে বিরক্ত হয়েছেন তিনি, কখনও আবার পোশাক বা মেকআপ নিয়ে মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে সহকর্মীদের সঙ্গে। কিন্তু গায়ের রঙ নিয়ে আপত্তির অভিযোগ নিঃসন্দেহে বেশ বিতর্কিত। যদিও বিষয়টি নিয়ে ক্যাটরিনা কখনও প্রকাশ্যে মন্তব্য করেননি, তবুও এই ঘটনার জেরে বলিউডে এক সময় তাঁর পেশাদারিত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল।
সেই ঘটনা এখন অতীত। ক্যাটরিনা কইফ আজ বলিউডের এক প্রতিষ্ঠিত মুখ, যাঁর ঝুলিতে রয়েছে একাধিক সুপারহিট ছবি। তবে ‘নিউ ইয়র্ক’-এর সেটে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার স্মৃতি আজও রয়ে গিয়েছে বলিপাড়ার অন্দরে, ক্যাটরিনার কেরিয়ারে এক বিস্ময়কর এবং বিতর্কিত অধ্যায় হিসেবে।
বাড়ির আতঙ্ক কাটিয়ে জীবন বদলের পথে করিনা: চুয়াল্লিশে পা দিয়েই নিলেন এক দৃঢ় সিদ্ধান্ত

