সবুজ বিকিনিতে অমিশা!
বলিউডে এক সময়কার জনপ্রিয় মুখ অমিশা পটেল। ‘গদর’ সিনেমার সেই মিষ্টি সাকিনা এখনও দর্শকের মনে গেঁথে রয়েছেন। তবে কেরিয়ারে উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যাওয়া এই অভিনেত্রী ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বরাবরই থেকেছেন আলোচনার কেন্দ্রে। এবার বয়স ৪৯ পেরোতেই নতুন জল্পনার জন্ম দিলেন—তিনি নাকি অন্তঃসত্ত্বা!
সম্প্রতি দুবাই ভ্রমণে গিয়েছিলেন অমিশা। সেখান থেকে নিজের ছুটি কাটানোর কিছু ছবি শেয়ার করেছেন ইনস্টাগ্রামে। ছবিতে তাঁকে দেখা যায় সবুজ বিকিনি পরে পুলের ধারে রোদ পোহাতে, মাথায় সান হ্যাট আর চোখে রোদচশমা। আরেকটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে তিনি হাতে আইসক্রিম নিয়ে মজায় খাচ্ছেন।
এই ছবি দেখেই নেটিজেনদের একাংশ রীতিমতো তোলপাড় শুরু করে দিয়েছেন। কেউ লিখেছেন, “তিনি যেভাবে নিজের পেট ধরে আছেন, তা দেখে তো বোঝাই যাচ্ছে তিনি অন্তঃসত্ত্বা।” আবার কেউ কটাক্ষ করে বলেছেন, “বিয়ে ছাড়াই মা হচ্ছেন?”
💬 কী বলছেন নেটিজেনরা?
একজন মন্তব্য করেছেন, “অমিশার পেটটা বেশ স্পষ্ট… মনে হচ্ছে সুখবর আছে।”
অন্যজন লিখেছেন, “তিনি বয়স বাড়লেও আগের মতোই সুন্দর। তবে এই পেটটা নিয়ে কিছু লুকোচ্ছেন না তো?”
কিন্তু এই পুরো বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি অমিশা নিজে। তিনি চুপচাপ থাকলেও আলোচনা থামছে না। আসলে নেটদুনিয়ায় একবার গুজব রটে গেলে তা দাবানলের মতো ছড়ায়—এটাই বাস্তবতা।
👩🎤 ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিগত জীবন
‘কাহো না প্যায়ার হ্যায়’ দিয়ে বলিউডে বড়সড় আত্মপ্রকাশ করেছিলেন অমিশা পটেল। এরপর একের পর এক হিট ছবি। কিন্তু একসময় গ্ল্যামারের জগৎ থেকে ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে থাকেন তিনি। যদিও ২০২৩-এ মুক্তি পাওয়া ‘গদর ২’ তাঁকে আবার আলোচনায় ফেরায়।
ব্যক্তিগত জীবনেও সবসময় ছিলেন স্বাধীনচেতা। একসময় পরিচালক বিক্রম ভট্টের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন থাকলেও তা কখনও পরিণতি পায়নি। এখনও তিনি ‘সিঙ্গল’। বিয়ে না করেই একা থাকাটা তাঁর নিজের পছন্দ।
📌 তাহলে কি সত্যিই মা হচ্ছেন অমিশা?
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া জল্পনা যতই হোক না কেন, চূড়ান্ত সত্যি জানার উপায় একটাই—অমিশা নিজে মুখ খুললেই সব স্পষ্ট হবে। তবে বয়স, বৈবাহিক অবস্থান এসব ছাপিয়ে তিনি যে এখনও নিজের মতো করে জীবন উপভোগ করছেন, তা তাঁর ছবি স্পষ্ট বুঝিয়ে দেয়।
বিয়ের কাগজ না থাকলেই কি মাতৃত্ব অসম্ভব?
না, সময় বদলেছে। আজকাল অনেকেই নিজের পছন্দ অনুযায়ী জীবন বেছে নিচ্ছেন। তাই অমিশা অন্তঃসত্ত্বা কিনা, সেটাই বড় খবর নয়—বড় কথা হল, তিনি নিজের মতো করে সুখে আছেন কি না।
নেটদুনিয়ার আলোচনার ভিড়ে হয়তো আমরা ভুলেই যাচ্ছি—প্রতিটি মানুষের ব্যক্তিগত জীবনকে সম্মান করা উচিত, বিশেষত একজন মহিলার মাতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার আগে একটু ভাবা প্রয়োজন।
এসএসসি নিয়োগে আসছে বড় পরিবর্তন: পরীক্ষার্থীরা এবার উত্তরপত্রের কার্বন কপি পাবেন!