Monday, December 1, 2025

সন্তানের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত তো? এই ৫টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আজই খোলামেলা কথা বলুন!

Share

সন্তানের সঙ্গে কথা বলতে অস্বস্তি লাগছে? কিন্তু এই দূরত্বই বিপদের কারণ হতে পারে!

“আজকালকার ছেলেমেয়ে…” – এই শব্দগুলো কি আপনার মুখেও চলে আসে? কিন্তু জানেন কি, এই দূরত্বই সন্তানকে আপনাদের থেকে আরও দূরে সরিয়ে দিচ্ছে? কৈশোরের কৌতূহল, দ্বিধা আর না বলা কথাগুলো একদিন ভয়ংকর সমস্যার কারণ হয়ে উঠতে পারে। তাই সময় থাকতে কিছু ‘অস্বস্তিকর’ বিষয়ে খোলামেলা কথা বলাটাই সবচেয়ে জরুরি। আজই এই ৫টি বিষয়ে সন্তানের সঙ্গে কথা বলুন—

১. যৌনতা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করুন

কৈশোরে যৌনতা নিয়ে আগ্রহ ও কৌতূহল স্বাভাবিক। কিন্তু বেশিরভাগ কিশোর-কিশোরী বন্ধুদের কাছ থেকে অর্ধসত্য বা ভুল তথ্য পেয়ে বিভ্রান্ত হয়। তাই বাবা-মা হিসেবে আপনাদের দায়িত্ব, যৌনতা, প্রজনন, বয়ঃসন্ধিকালীন পরিবর্তন, এবং সম্মতি ছাড়া স্পর্শের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর সঠিক ব্যাখ্যা দেওয়া। সন্তানদের জানাতে হবে, যৌনতা নিয়ে কথা বলা লজ্জার কিছু নয়, বরং সচেতনতা তাদের রক্ষা করবে।

২. সামাজিক মাধ্যম ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সঠিক দিকনির্দেশনা দিন

সোশ্যাল মিডিয়ার অন্ধ দৌড়ে ছোটরা কতটা মানসিক চাপে থাকে, তা অনেক বাবা-মা বুঝতে পারেন না। অনলাইন বুলিং, অবাস্তব সৌন্দর্যের মানদণ্ড, ‘লাইক’ ও ‘ফলোয়ার’ সংখ্যার ভিত্তিতে আত্মবিশ্বাস তৈরি—এসব শিশুমনে গভীর প্রভাব ফেলে। সন্তান যেন ডিজিটাল দুনিয়ায় হারিয়ে না যায়, সে জন্য বাবা-মায়ের উচিত বন্ধুর মতো পাশে থেকে সামাজিক মাধ্যমের ভালো-মন্দ দিকগুলো ব্যাখ্যা করা এবং নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারের কৌশল শেখানো।

৩. নিজের শরীরের প্রতি সম্মানবোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করুন

শরীরের আকৃতি, উচ্চতা, গায়ের রং—এসব নিয়ে কিশোর-কিশোরীরা হীনমন্যতায় ভোগে। সোশ্যাল মিডিয়া ও বিজ্ঞাপনগুলোর ‘নিখুঁত সৌন্দর্য’-এর মাপকাঠি তাদের মানসিকভাবে দুর্বল করে দিতে পারে। সন্তানদের বোঝান, প্রকৃত সৌন্দর্য বাহ্যিক নয়, আত্মবিশ্বাসের মধ্যে লুকিয়ে থাকে। তাদের শেখান, নিজের শরীরকে ভালোবাসাই আসল শক্তি।

৪. প্রেম ও বন্ধুত্ব নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করুন

কৈশোরের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সম্পর্কের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি। এই বয়সে তারা প্রেম ও বন্ধুত্বের গভীরতা অনুভব করে, কিন্তু কখনো কখনো ভুল সিদ্ধান্ত নেয়। সন্তানদের বোঝান, সুস্থ সম্পর্ক কীভাবে গড়ে তুলতে হয়, সম্পর্কের মধ্যে পারস্পরিক সম্মান ও সম্মতির গুরুত্ব কতখানি, এবং কখন সম্পর্ক থেকে সরে আসাই ভালো সিদ্ধান্ত হতে পারে।

৫. মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা তৈরি করুন

কিশোর বয়স মানেই আবেগের জোয়ার। কখনো আত্মবিশ্বাসী, কখনো সন্দেহে ভোগা—এই ওঠা-নামাগুলো খুব স্বাভাবিক। কিন্তু দীর্ঘদিনের মানসিক চাপ, হতাশা বা উদ্বেগ তাদের জীবনকে জটিল করে তুলতে পারে। সন্তান যেন মা-বাবার সঙ্গে তার অনুভূতির কথা ভাগ করে নিতে পারে, সে জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলুন।

শেষ কথা

অস্বস্তি থেকে এড়িয়ে যাওয়া নয়, সন্তানদের পাশে থাকুন। কারণ সত্যিটা তারা আপনার থেকেই জানুক, বাইরের ভুল তথ্য থেকে নয়! সময় থাকতে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করুন—এই কথোপকথনই তাদের সুরক্ষিত ভবিষ্যতের ভিত্তি হয়ে উঠতে পারে।

বিচ্ছেদের পর বিশাল অঙ্কের খোরপোশ দিতে হবে যুজবেন্দ্র চহল! আদালতের রায়ে আলোড়ন

Read more

Local News