Monday, December 1, 2025

সকালের ব্যস্ত সময়ে মেট্রোয় আগুন! চাঁদনি চকে আতঙ্ক, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

Share

সকালের ব্যস্ত সময়ে মেট্রোয় আগুন!

বৃহস্পতিবার সকালটা কলকাতার বহু অফিসযাত্রী ও সাধারণ মানুষের কাছে শুরু হল এক অপ্রত্যাশিত আতঙ্ক আর ভোগান্তির মধ্য দিয়ে। সকাল ৮টা নাগাদ চাঁদনি চক মেট্রো স্টেশনে ঘটে গেল এক বিভ্রাট— শর্ট সার্কিট থেকে হঠাৎই আগুন ধরে যায় একটি মেট্রোর কামরায়।

দমদমগামী একটি মেট্রো তখন চাঁদনি চক স্টেশনে এসে পৌঁছেছে। ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে দাঁড়াতেই হঠাৎ একটি কামরায় ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। যাত্রীরা দ্রুত কামরা থেকে বেরিয়ে আসতে থাকেন। কর্তৃপক্ষও আর দেরি না করে মেট্রোর ভিতর থাকা সমস্ত যাত্রীকে সুরক্ষিতভাবে নামিয়ে আনেন।

মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে, আগুনের কারণ ছিল একটি শর্ট সার্কিট। তবে সৌভাগ্যবশত, এই ঘটনায় কেউ আহত হননি। দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয় এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কাজ শুরু করে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।

তবে তার আগেই ব্যস্ত সময়ে চূড়ান্ত বিঘ্ন ঘটে পরিষেবায়। দক্ষিণেশ্বর থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম পর্যন্ত চলাচল করা মেট্রো লাইনে সাময়িক ভাবে থমকে যায় ট্রেন চলাচল। সেন্ট্রাল, মহাত্মা গান্ধী রোড, এসপ্ল্যানেড— একের পর এক স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে পরবর্তী মেট্রোগুলি। প্ল্যাটফর্মে জমতে থাকে যাত্রীদের ভিড়।

বিশেষ করে অফিস টাইমে এমন ঘটনা যাত্রীদের জন্য বাড়তি চাপ তৈরি করে। অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কেউ কেউ বলেন, “এমন ভোরে বেরিয়ে পড়ি ঠিক সময়ে অফিসে পৌঁছানোর জন্য। কিন্তু মেট্রো এমনভাবে দাঁড়িয়ে যায় যে কিছু করার থাকে না।”

মেট্রো কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিছু সময়ের জন্য ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলেও পরে তা ধাপে ধাপে চালু করা হয়। পাশাপাশি, যাত্রীদের নিরাপত্তার দিকটিও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

চাঁদনি চকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরও একবার প্রশ্ন উঠেছে, কলকাতা মেট্রোর পুরনো অবকাঠামো ও তার রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে। বিগত সময়ে এমন অনেক ঘটনাই ঘটেছে যেখানে প্রযুক্তিগত সমস্যা বা যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিপত্তি হয়েছে পরিষেবায়।

তবে এদিনের ঘটনায় বড় কোনও বিপদ ঘটেনি, সেটাই সবচেয়ে স্বস্তির। আগুন ছড়ানোর আগেই সতর্ক হয়ে যাত্রীদের নামিয়ে আনা এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া— এই বিষয়গুলি অন্তত প্রমাণ করে, কর্তৃপক্ষ এমন জরুরি পরিস্থিতিতে যথাযথ ভূমিকা নিতে সক্ষম।

তবুও, আগুন লাগা বা শর্ট সার্কিটের মতো ঘটনা যেন ভবিষ্যতে আর না ঘটে, তার জন্য আরও বেশি নজরদারি ও নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন— এ কথা অনেক যাত্রীই স্পষ্ট করে বলছেন।

সকালটা যাত্রীদের কাছে যতই ভোগান্তিমূলক হোক না কেন, শেষমেশ সবাই নিরাপদে থাকায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে শহর।

অলিম্পিক্স ক্রিকেটে বাদ পড়ার শঙ্কায় পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড, আইসিসি নিয়ম নিয়ে দুই দেশের ক্ষোভ

Read more

Local News