Wednesday, January 29, 2025

সইফ আলি খান হামলা: রহস্য এবং প্রশ্নের জাল

Share

সইফ আলি খান হামলা

১৬ জানুয়ারি, সইফ আলি খান হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন রহস্য এবং প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে তার উপর ঘটে যাওয়া হামলার ঘটনা। রক্তাক্ত অবস্থায় সইফ আলি খান দাবি করেছেন, তিনি নিজ বাড়িতেই দুষ্কৃতী হামলার শিকার হন। কিন্তু ঘটনা সামনে আসার পরই তার পরিবার, পুলিশ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া বিবৃতিতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। আসুন, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সেই প্রশ্নগুলো:

১. হাসপাতালের চিকিৎসক ভার্গবী পাতিল জানিয়েছেন, সইফের উপর হামলা হয় ১৬ জানুয়ারির ভোর ২:৩০-এ। কিন্তু তিনি যখন হাসপাতালে পৌঁছান, তখন প্রায় ১০ মিনিটের পথ পাড়ি দিয়ে ৪:১১-এ পৌঁছান। এত সময় তিনি বাড়িতেই কী করছেন?

২. হাসপাতালের দাবি অনুযায়ী, সইফের শরীরে ছুরি ঢুকে মেরুদণ্ডের কাছে আটকে যায়। কিন্তু এত সময় ধরে কীভাবে সে বাড়িতেই বসে থাকতে পারল?

৩. অটোচালকের বয়ান অনুযায়ী, সইফকে নিয়ে যে অটোটি হাসপাতালে যাচ্ছিল, তাতে এক পুরুষ এবং একটি শিশু ছিলেন, যে সম্ভবত তৈমুর। কেন সইফকে করিনা এভাবে একা ছেড়ে হাসপাতালে যেতে দিলেন?

৪. অটোচালক এবং হাসপাতালের ভর্তির সময়ের মধ্যে বিস্তর ফারাক ছিল। এই সময় পার্থক্য কেন?

৫. করিনার বয়ান অনুযায়ী, হামলার পর তিনি সইফকে হাসপাতালে নিয়ে না গিয়ে ছোট ছেলে জেহ-এর কাছে থাকলেন। কেন তিনি সইফকে হাসপাতাল পাঠিয়ে নিজের ছেলের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিলেন?

৬. হাসপাতালের দাবি, সইফের উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করা হয়েছে, কিন্তু ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভোঁতা অস্ত্রের আঘাতের কথা। কোনটা সত্য?

৭. সইফের পরিচারিকা দাবি করেছেন, হামলাকারী হাতে লাঠি ছিল। তাহলে কি সইফের শরীরে ছুরির আঘাত নয়, লাঠির আঘাত ছিল?

৮. করিনা কি সইফকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছিলেন? যদি তিনি সত্যিই তা করতেন, তাহলে তার শরীরে কেন কোন আঘাত নেই?

এই সমস্ত প্রশ্নের কোনও সন্তোষজনক উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি, আর এর ফলে এ ঘটনায় রহস্যের পর্দা আরও ঘন হয়ে উঠেছে। সইফ আলি খান, করিনা কপূর খান, পুলিশ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নীরবতা এই রহস্য আরও জটিল করেছে। কেন এত প্রশ্ন, কেন এত ধোঁয়াশা? এবার উত্তর জানতে চায় সবাই।

আদানি-পুত্রের বিয়ে: জাঁকজমক না কি সাদামাটা আয়োজন?

Read more

Local News