মুম্বইয়ের বান্দ্রা এলাকায় সইফ আলি খান-কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করার ঘটনা যেন আরও রহস্যময় হয়ে উঠছে। মুম্বই পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এক নতুন তথ্য উঠে এসেছে, যা পুরো কাণ্ডের নেপথ্যে একটি বিদেশি যোগসূত্রের সন্দেহের জন্ম দিয়েছে। মুম্বই পুলিশ দাবি করেছে, সইফ আলি খানের উপর হামলা করা সন্দেহভাজন ব্যক্তি বাংলাদেশি নাগরিক হতে পারেন, কারণ তাঁর কাছে কোনও ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণ বা নথি পাওয়া যায়নি।
হামলার পরে ধৃত, বিদেশি নাগরিক হতে পারে সন্দেহভাজন
গত বুধবার গভীর রাতে সইফ আলি খানের বাড়িতে ঢুকে পড়ে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি, যিনি পরে অভিনেতার ওপর ছুরি নিয়ে হামলা চালান। এই হামলার ফলে সইফ আলি খান ছ’টি জখম নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় এবং পুলিশ তৎকালীন তদন্তে নেমে পড়ে।
রবিবার সকালে মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখার ডিসিপি দীক্ষিত গেদাম সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “ধৃত ব্যক্তির কাছে এখনও পর্যন্ত কোনও ভারতীয় নাগরিকত্বের নথি পাওয়া যায়নি। সুতরাং, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে যে, সে বাংলাদেশি নাগরিক হতে পারে।”
গেদাম আরও বলেন, “এটি স্পষ্ট যে, ওই ব্যক্তি সইফ আলি খানের বাড়িতে চুরির উদ্দেশ্যেই প্রবেশ করেছিলেন। তবে কীভাবে তিনি সইফকে আক্রমণ করলেন, তা তদন্তের বিষয়।”
পুলিশের চিরুনিতল্লাশি এবং ধৃতের বিস্তারিত তথ্য
সইফ আলি খান উপর হামলার পর পুলিশ তৎপরভাবে তদন্ত শুরু করে। মুম্বই পুলিশের ৩০টি দল বিভিন্ন এলাকায় চিরুনিতল্লাশি চালায় এবং শেষে মুম্বইয়ের ঠাণে এলাকা থেকে রবিবার ভোরে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম শরীফুল ইসলাম এবং তাঁর কাছে ভারতীয় নথি না পাওয়ায় এই সন্দেহ আরও জোরালো হয়েছে।
গত বুধবার রাতে ওই ব্যক্তি বাড়িতে ঢুকে সইফ আলি খানের সঙ্গে মারধর করার পর, তাঁকে গুরুতর অবস্থায় লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসকরা জানান, সইফের শরীরে একাধিক ছুরির আঘাত ছিল, তবে তাঁর অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল।
বাংলাদেশি যোগ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের প্রশ্ন
যেহেতু পুলিশ এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি, সঠিকভাবে ওই ব্যক্তি কোথাকার নাগরিক, তাই তারা তার পরিচয় যাচাইয়ের জন্য সমস্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে। পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এর মাধ্যমে মুম্বই পুলিশ বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনও সন্ত্রাসী বা অপরাধী চক্রের ব্যাপারে আরও তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে। যদিও এ ব্যাপারে এখনও কোনও স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি, তবুও এই ঘটনা তদন্তকারীদের কাছে যথেষ্ট গুরুত্ব পেয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, শরীফুল ইসলাম সম্ভবত দীর্ঘদিন ধরে মুম্বইয়ে থাকছিলেন এবং চুরির উদ্দেশ্যে সইফ আলির বাড়িতে প্রবেশ করেছিলেন। তবে হামলা কোথায় থেকে তার পরিকল্পনা হয়েছিল এবং কেন সইফ আলি খানকে লক্ষ্য করা হয়েছে, তা এখনও পরিষ্কার হয়নি।
মুম্বই পুলিশের সতর্কতা এবং ভবিষ্যতের পদক্ষেপ
মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, এই ধরনের ঘটনা রুখতে তারা আরও সতর্ক থাকবে। দেশের বাইরে থেকে আসা অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশের উচ্চপর্যায়ে আলোচনা চলছে। মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখা এখন এই অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরও তথ্য সংগ্রহ করছে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এদিকে, সইফ আলি খানকে হাসপাতালে চিকিৎসার পর ফের সুস্থ অবস্থায় দেখানো হয়েছে এবং তিনি পুলিশের সাহায্য নিয়ে এই ঘটনার বিস্তারিত তদন্তে সহায়তা করছেন।
এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ যা সমাজের নিরাপত্তা এবং অপরাধ মোকাবিলায় বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক। মুম্বই পুলিশের সদর্থক পদক্ষেপই হয়তো ভবিষ্যতে এই ধরনের অপরাধকে আটকাতে সহায়ক হবে।
ঠান্ডায় বরফ-জলে মুখ ডোবাতে পারছেন না? ত্বকচর্চার অন্য উপায়ও জানিয়েছেন আলিয়া