শোভন-রত্নার বিবাহবিচ্ছেদ!
কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিবাহবিচ্ছেদ মামলা এতদিন আলিপুর আদালতে চলছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই সেই মামলা গড়াল কলকাতা হাই কোর্টে। বুধবার আদালতে শোভনের হয়ে সওয়াল করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তীব্র জল্পনা। শোভন নিজে তৃণমূলের সক্রিয় রাজনীতিতে নেই, তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্কের ইঙ্গিত মিলেছে বারবার। আর এবার তাঁর হয়ে কল্যাণের সওয়াল নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
শোভন-রত্নার সম্পর্কের টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক রং
একসময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ নেতা ছিলেন শোভন। তিনি শুধু কলকাতার মেয়রই নন, ছিলেন মন্ত্রিসভার সদস্যও। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনের সমস্যার জেরে রত্নার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়, এবং সেই সঙ্গে তৃণমূলের রাজনীতিতেও ছেদ পড়ে।
📌 শোভনের বর্তমান অবস্থা:
- এখন তিনি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকেন।
- ২০১৯ সালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেও পরে দল ছাড়েন।
- বর্তমানে রাজনীতি থেকে দূরে, কিন্তু মমতার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছেন।
- প্রতি বছর ভাইফোঁটার দিন কালীঘাটে গিয়ে মমতার আশীর্বাদ নেন।
📌 রত্নার বর্তমান অবস্থা:
- তিনি বেহালা পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক।
- শোভনের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
- তৃণমূলের একাংশের পূর্ণ সমর্থন তাঁর দিকেই।
কেন আলোচনায় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়?
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় শুধুমাত্র তৃণমূল সাংসদ নন, তিনি একজন বর্ষীয়ান আইনজীবীও। তবে দলীয় রাজনীতিতে তাঁর ভূমিকা সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ। তাই হঠাৎ করে তাঁর শোভনের হয়ে সওয়াল করা স্বাভাবিক ঘটনা নয়।
📌 শোভনের হয়ে কল্যাণের সওয়াল রাজনৈতিক বার্তা বহন করছে?
- তৃণমূলের একাংশ মনে করছে, কল্যাণ কখনোই মমতার অনুমতি ছাড়া এই সিদ্ধান্ত নিতেন না।
- এটি শোভনের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে কি না, তা নিয়েও চর্চা চলছে।
- তৃণমূলের একটি অংশ শোভনের দলে ফেরা চায় না, কিন্তু দলের ভরকেন্দ্র বদল হওয়ায় পরিস্থিতি নতুন রূপ নিচ্ছে।
শোভনের দলে ফেরা কি সময়ের অপেক্ষা?
গত কয়েক বছর ধরে বারবার ২১ জুলাইয়ের আগে গুঞ্জন ওঠে, শোভন তৃণমূলে ফিরছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা ঘটেনি।
এবার কল্যাণের হস্তক্ষেপে আবারও জল্পনা উসকে উঠেছে—
📌 শোভনের দলে ফেরা কি কেবল সময়ের অপেক্ষা?
📌 রত্নার বিরোধিতা থাকলেও দলের শীর্ষ নেতৃত্ব কি শোভনকে ফেরাতে চাইছেন?
শুধু সময়ই বলবে, এই আইনি লড়াইয়ের শেষ পরিণতি কী হবে এবং তা তৃণমূলের রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলবে।
মাটির নীচ থেকে গর্জনের শব্দ! ভূমিকম্পের নতুন অভিজ্ঞতায় আতঙ্কিত দিল্লিবাসী— কেন হল এমন?