শেখ হাসিনার বিচার এক-দেড় মাসের মধ্যেই!
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিচার শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এক-দেড় মাসের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হবে।
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল হোসেন শনিবার এক অনুষ্ঠানে জানান, ইন্টারপোলের মাধ্যমে হাসিনাকে দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ভারতের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তির কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
🇧🇩 দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় বাংলাদেশ
গত বছরের ৫ আগস্ট গণবিক্ষোভের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীত্ব ছেড়ে তিনি ভারতে আশ্রয় নেন।
বাংলাদেশ সরকার নয়াদিল্লিকে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়ে শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছে। ভারত চিঠির গ্রহণযোগ্যতা স্বীকার করলেও এখনও কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।
তবে ঢাকার আইনজীবীদের বক্তব্য, বিচারপ্রক্রিয়া শুরু না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত নয়।
🗣️ তাজুল হোসেন বলেন,
“এটি কোনো সাধারণ অপরাধের মামলা নয়। এটি মানবতাবিরোধী অপরাধ। আমরা আশা করছি, ভারত তার আন্তর্জাতিক চুক্তির প্রতি সম্মান দেখাবে এবং শেখ হাসিনাকে আমাদের হাতে তুলে দেবে।”
⚖️ কী অভিযোগ রয়েছে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে?
🔹 মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ – ট্রাইব্যুনালের মতে, ৫৬ হাজার বর্গমাইল জুড়ে দাঙ্গা ছড়িয়ে দেওয়ার পেছনে শেখ হাসিনার ভূমিকা ছিল।
🔹 হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু ও আহতের ঘটনা – সরকারি তথ্যমতে, ২,০০০ জন নিহত হয়েছেন এবং ২৫,০০০-এর বেশি আহত হয়েছেন।
🔹 রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ – বিদ্রোহ ও সহিংসতায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
আইনজীবীরা বলছেন, এই ঘটনার বিচার করতে দেরি করা যাবে না।
⚠️ বিচারপ্রক্রিয়া কবে থেকে শুরু হতে পারে?
✔️ মার্চের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন হাতে আসবে।
✔️ এরপর এক-দেড় মাসের মধ্যেই বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হবে।
✔️ সাক্ষ্য-প্রমাণ ও নথিপত্র যাচাই করে বিচারকাজ চলবে নিরবিচারে।
তাজুল হোসেন বলেন,
“আমাদের পক্ষ থেকে যত দ্রুত সম্ভব বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করার চেষ্টা করা হবে। আদালত তার নিজস্ব নিয়মে সিদ্ধান্ত নেবে।”
🇧🇩 ভারত কি শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাবে?
বাংলাদেশ সরকার মনে করিয়ে দিয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারই ভারত-বাংলাদেশের বন্দি বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল।
সেই চুক্তির আওতায়, বাংলাদেশ চাইলে ভারত থেকে অপরাধীদের ফেরত চাইতে পারে।
✅ তাজুল হোসেন বলেন,
“আমরা আশা করছি ভারত আমাদের অনুরোধ মানবে এবং শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাবে।”
তবে ভারত এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি।
🔍 রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর বাংলাদেশে বিরোধীদের সঙ্গে সরকারের উত্তেজনা আরও বেড়েছে।
🛑 গণবিক্ষোভে বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন।
🛑 সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও দাঙ্গার অভিযোগ উঠেছে।
🛑 মুজিবুর রহমানের ৩২ ধানমন্ডির বাড়ির একাংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ চাইছে দ্রুত শেখ হাসিনার বিচার সম্পন্ন করতে।
🔎 শেখ হাসিনার ভবিষ্যৎ কী?
যদি ভারত তাঁকে ফেরত পাঠায়, তাহলে
🔹 তিনি গ্রেফতার হয়ে সরাসরি বিচারপ্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন।
🔹 বিচারে দোষী সাব্যস্ত হলে বড় শাস্তির মুখে পড়তে পারেন।
🔹 ফেরত না পাঠালে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে টানাপোড়েন বাড়তে পারে।
সারা বিশ্বের নজর এখন ভারতের সিদ্ধান্তের দিকে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে, সত্বর হাসিনাকে ফেরত পাঠানো হবে এবং বিচার দ্রুত সম্পন্ন হবে।

