শিল্পার খাদ্যাভ্যাস
মাখন মাখানো পাউরুটি এবং মুচমুচে ফুচকা খেতে পছন্দ করেন শিল্পা শেঠি! পঞ্চাশের কোঠায় পা রেখেও যেন কলেজের কিশোরী। দুই সন্তানের মা হলেও তার মেদহীন ও আকর্ষণীয় শরীর নিয়ে অনেকেই মুগ্ধ। শিল্পা তার সৌন্দর্য এবং লাবণ্য ধরে রাখতে কঠোর পরিশ্রম করেন, এবং তার এই অর্জনের পেছনে রয়েছে তার স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চার রুটিন। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে শিল্পা বলেছেন, নিয়মিত যোগাসন, কার্ডিও এবং ওয়েট ট্রেনিং করার পাশাপাশি তিনি খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রেও অত্যন্ত সচেতন। শিল্পার মতে, ডায়েট মানে একদম না খেয়ে থাকা নয়; বরং তিনি একজন ভোজনরসিক।
প্রাতরাশের শুরু
শিল্পার সকালের শুরু হয় ঈষদুষ্ণ জলে লেবুর রস খেয়ে। এরপর তার প্রাতরাশে থাকে কাঠবাদাম, দুধ, কলা, মধু এবং ওটস দিয়ে তৈরি একটি বিশেষ স্মুদী। জলখাবারে শিল্পার প্রিয় পদ হলো ব্রাউন ব্রেড, যা তিনি সেঁকে মোটা করে মাখন লাগিয়ে খান। তার জলখাবারে দোসা এবং সব্জি দিয়ে তৈরি স্ন্যাকসও থাকে।
শিল্পা দুধ খুব পছন্দ করেন, তবে গরুর দুধ নয়, তিনি মোষের দুধ খেতে বেশি আগ্রহী। কারণ, মোষের দুধ শরীরের জন্য বেশি উপকারী বলে তিনি মনে করেন। তবে, তিনি এও বলেন যে, শরীর বুঝে খাদ্য গ্রহণ করা উচিত। গ্যাস বা বদহজমের সমস্যা না হলে মোষের দুধ খাওয়া যেতে পারে।
পরিমিত পরিমাণে খাবার
ভালমন্দ খেলেও শিল্পা সবসময় বাড়ির তৈরি খাবার খেতে পছন্দ করেন। মাঝে মাঝে তিনি রেস্তরাঁয় গিয়ে কেক বা পেস্ট্রি খাওয়ার ভিডিও পোস্ট করেন। তবে, শিল্পা যা খান, তা সবসময় পরিমিত পরিমাণে খান। যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁদের জন্য শিল্পার পরামর্শ হলো, সপ্তাহে একদিন পছন্দের খাবার খেতে পারেন, তবে সেটা অবশ্যই পরিমিত পরিমাণে। যেমন, শিল্পা সপ্তাহে একদিন ফুচকা পুদিনার চাটনিতে ডুবিয়েও খান এবং ২-৩টি রসগোল্লা মুখে পুরে ফেলেন।
দুপুরের খাবার
শিল্পার দুপুরের খাবার সাধারণত দুপুর ১২টা থেকে ১টার মধ্যে হয়। তার প্রিয় খাবার হলো সব্জি দিয়ে খিচুড়ি, একটি সেঁকা পাঁপড় এবং সামান্য রসুনের আচার। তিনি সাদামাঠা ভাত, ডাল এবং সব্জি খেতে ভালোবাসেন। তবে, যখন তার মা রাজমা-চাউল এবং পনির তৈরি করে পাঠান, তখন তিনি খেতে দ্বিধা করেন না।
রাতের খাবার এবং নিয়ম
রাতের খাবার নিয়ে শিল্পা বেশ সচেতন। রাত ৮টার পর তিনি জল ছাড়া কিছুই খান না। সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে তিনি সামান্য স্যুপ খেয়ে নেন। শিল্পার মতে, রাত ৮টার পরে খাবার গ্রহণ করা উচিত নয়, কারণ এতে পাকস্থলীর বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। এই নিয়ম পালন করেই শিল্পা কয়েক মাসে ৩০ কেজিরও বেশি ওজন কমাতে সক্ষম হয়েছেন।
শিল্পার খাদ্যাভ্যাস আমাদের শেখায় যে স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে এবং সচেতনভাবে জীবনযাপন করেও সুখী থাকা সম্ভব। তাই তার মতো সচেতন থাকলে আমাদের শরীরকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হবে এবং সুস্থ জীবনযাপন সম্ভব।