Monday, December 1, 2025

শিক্ষা দফতরে তালা ঝোলালেন ট্রাম্প! আমেরিকার শিক্ষাব্যবস্থা বড়সড় ধাক্কায়

Share

শিক্ষা দফতরে তালা ঝোলালেন ট্রাম্প!

যা ঘোষণা করেছিলেন, সেটাই করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প! বৃহস্পতিবার এক স্বাক্ষরে বন্ধ করে দিলেন আমেরিকার কেন্দ্রীয় শিক্ষা দফতর। এর ফলে আর কোনও শিক্ষা অনুদান দেবে না হোয়াইট হাউস, পুরো দায়িত্ব পড়ে গেল প্রদেশগুলোর ওপর।

কেন এমন সিদ্ধান্ত?

ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনিক ব্যয় কমানোর পক্ষে ছিলেন। দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হয়ে তিনি সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে শুরু করলেন। ১৯৭৯ সালে কেন্দ্রীয় শিক্ষা দফতর গঠন করা হয়েছিল, কিন্তু ২০২৫ সালে এসে সেটিতেই তালা ঝোলালেন ট্রাম্প।

বৃহস্পতিবার আদেশনামায় সই করার সময় ট্রাম্প বলেন,
👉 “এই দফতর রেখে ভালো কিছু হচ্ছিল না, তাই আমরা এটা বন্ধ করছি। যত দ্রুত সম্ভব এটি কার্যকর হবে।”

তার মতে, শিক্ষাব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে না রেখে প্রদেশগুলোর হাতে তুলে দেওয়া উচিত। তাই এখন থেকে স্থানীয় প্রশাসনই সিদ্ধান্ত নেবে কোন রাজ্যে কীভাবে শিক্ষানীতি কার্যকর হবে।

শিক্ষায় বিপর্যয়, অনিশ্চয়তায় লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী

ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের ফলে মার্কিন শিক্ষাব্যবস্থায় বড়সড় প্রভাব পড়তে চলেছে। কারণ, এতদিন কেন্দ্রীয় বাজেট থেকে সরকারি অনুদান পেত হাজার হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিশেষ করে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত ছাত্রদের জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়া হত কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে।

সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে শিক্ষা দফতরের জন্য ২৫০০০ কোটি মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২২ লক্ষ কোটি টাকা) বরাদ্দ করা হয়েছিল। এবার সেই বাজেটও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

৪২০০ কর্মীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

শুধু শিক্ষার্থী ও প্রতিষ্ঠানই নয়, এই সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা দফতরের ৪২০০ কর্মী। প্রেসিডেন্টের আদেশের ফলে তাঁদের বেতন ও অন্যান্য ব্যয় বরাদ্দও বন্ধ হয়ে যাবে। তবে ট্রাম্প প্রশাসন এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি যে, এই কর্মীরা অন্য দফতরে স্থানান্তরিত হবেন কিনা।

ট্রাম্পের পরিকল্পনা আগে থেকেই ছিল?

নির্বাচনের আগেই ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি শিক্ষা দফতর বন্ধ করতে চান।
📌 প্রথমবার প্রেসিডেন্ট থাকাকালীনও এই উদ্যোগ নিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু প্রশাসনিক জটিলতায় তা সম্ভব হয়নি।
📌 দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফিরেই দ্রুত সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করলেন তিনি।

কী হবে এখন?

শিক্ষা খাতে কেন্দ্রীয় বাজেট পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন নীতিমালা তৈরি করতে হবে প্রতিটি রাজ্যকে।
➡ নিম্নবিত্ত ও বৃত্তি নির্ভর ছাত্রদের জন্য আর্থিক সহায়তা কমতে পারে।
➡ ফেডারেল কর্মচারীরা চাকরি হারানোর আশঙ্কায় রয়েছেন।

ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ নিয়ে ইতিমধ্যেই মার্কিন রাজনীতিতে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। সমর্থকরা বলছেন, এতে কেন্দ্রীয় ব্যয় কমবে এবং প্রতিটি রাজ্য নিজের মতো করে শিক্ষাব্যবস্থা সাজাতে পারবে। সমালোচকরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত শিক্ষাব্যবস্থার মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে এবং নিম্নবিত্ত শিক্ষার্থীদের জন্য বড়সড় সংকট তৈরি করবে।

এখন দেখার বিষয়, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত আদৌ শিক্ষাব্যবস্থায় ইতিবাচক কিছু আনবে, নাকি এটি এক বিতর্কিত অধ্যায় হয়ে থাকবে!

বিচ্ছেদের পর বিশাল অঙ্কের খোরপোশ দিতে হবে যুজবেন্দ্র চহল! আদালতের রায়ে আলোড়ন

Read more

Local News