লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকার পরিমাণ বাড়েনি বাজেটে!
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কি বড়সড় ঘোষণা অপেক্ষা করছে? রাজ্য বাজেটে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পের উল্লেখ থাকলেও মাসিক অনুদানের পরিমাণ বৃদ্ধির কোনো ঘোষণা হয়নি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ভোটের ছয় মাস আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই এই ঘোষণা করতে পারেন।
লক্ষ্মীর ভান্ডার: বর্তমান সুবিধা কত?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার ২০২১ সালে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প চালু করেছিল, যা রাজ্যের বহু মহিলাকে আর্থিক স্বাধীনতা দিয়েছে। বর্তমানে—
🔹 সাধারণ শ্রেণির মহিলারা প্রতি মাসে ১,০০০ টাকা পান।
🔹 তফসিলি জাতি (SC), তফসিলি উপজাতি (ST) ও অনগ্রসর শ্রেণির মহিলারা প্রতি মাসে ১,২০০ টাকা পান।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় দুই কোটি মহিলার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পৌঁছায়।
বাজেটে বাড়তি বরাদ্দ নেই কেন?
বাজেট বক্তৃতায় অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’-এর উপকারিতা ব্যাখ্যা করলেও টাকার পরিমাণ বাড়ানোর কোনো ঘোষণা করেননি। বাজেট বইয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, এই প্রকল্পে কত মহিলা উপকৃত হয়েছেন, তবে নতুন অর্থ বরাদ্দ বা মাথাপিছু অর্থ বাড়ানোর তথ্য নেই।
ভোটের আগে ঘোষণা হতে পারে?
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই প্রকল্পের অনুদানের পরিমাণ বাড়ানোর ঘোষণা আসতে পারে।
🔹 অনেকেই মনে করছেন, ভোটের ছয় মাস আগে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এই সিদ্ধান্ত নেবেন।
🔹 আবার অনেকে বলছেন, তার আগেও বাড়তি অর্থের ঘোষণা আসতে পারে।
শাসকদলের একাধিক নেতা মনে করছেন, বাজেট বক্তৃতায় এখনই ঘোষণা না করে পরবর্তী সময়ে তা চমক হিসেবে রাখা হয়েছে।
ডিএ বাড়ল, তাও ফারাক রয়ে গেল কেন্দ্রের সঙ্গে
লক্ষ্মীর ভান্ডারের অনুদান না বাড়লেও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা (ডিএ) ৪ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
🔹 এখন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ১৮% ডিএ পাবেন।
🔹 কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা ৫৩% হারে ডিএ পান।
🔹 অর্থাৎ, রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে এখনও ৩৫% পার্থক্য রয়ে গিয়েছে।
শেষ কথা
‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম জনপ্রিয় সামাজিক প্রকল্প। ফলে নির্বাচন যতই এগিয়ে আসবে, ততই এই প্রকল্প নিয়ে নতুন চমকের সম্ভাবনা বাড়বে। এখন দেখার, মুখ্যমন্ত্রী কবে এই ঘোষণা করেন, আর কতটা বাড়ানো হয় অনুদানের পরিমাণ।
“রাজ্যের বাজেট দিশাহীন!”— এক সুরে আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু, নওশাদ ও বাম-কংগ্রেস