রোহিনীর বিস্ফোরক অভিযোগ!
বিহারের রাজনীতিতে ঝড় বইছে। লালুপ্রসাদ যাদবের কন্যা রোহিনী আচার্যের এক্স পোস্টে শনিবার দুপুরেই নড়েচড়ে বসেছিল আরজেডি এবং তার সমর্থকেরা। কিন্তু রাত নামতেই তিনি আরও বিস্ফোরক মন্তব্য করে সরাসরি অভিযোগ তুললেন—তেজস্বী যাদবই তাঁকে পরিবার থেকে বার করে দিয়েছেন।
🔥 কী লিখেছিলেন রোহিনী?
শনিবার দুপুরে রোহিনীর পোস্ট:
“আমি রাজনীতি ছেড়ে দিচ্ছি। যাদব পরিবারকেও অস্বীকার করছি। সঞ্জয় যাদব এবং রামিজ় আমাকে এটাই করতে বলেছিলেন। সমস্ত দায় আমার।”
এখানেই প্রথম সন্দেহের তীর যায় তেজস্বীর দিকেই—কারণ সঞ্জয় ও রামিজ় দু’জনেই তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।
⚡ রাতে বিস্ফোরক অভিযোগ: “আমার কোনও পরিবার নেই”
পটনা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সামনে রোহিনী যা বললেন তা আরও বিস্ফোরক—
- “আমার কোনও পরিবার নেই।”
- “আপনারা তেজস্বী, সঞ্জয় এবং রামিজ়কে জিজ্ঞাসা করুন—তাঁরাই আমাকে পরিবার থেকে তাড়িয়েছেন।”
- “আরজেডি কেন ধস খেল, তার দায়ও নিতে চান না কেউ।”
- “সঞ্জয় বা রামিজ়ের নাম নিলেই বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।”
আরজেডির শোচনীয় নির্বাচনী হারের পরই এই বিস্ফোরক বার্তা এসেছে। ফলে রাজনৈতিক মহলে তীব্র জল্পনা—যাদব পরিবারে সম্পর্ক কি তলানিতে পৌঁছল?
🏠 যাদব পরিবারে আগে থেকেই অশান্তি
- কয়েক মাস আগেই লালু তাঁর জ্যেষ্ঠপুত্র তেজপ্রতাপ যাদবকে দল ও পরিবার থেকে দূরে সরিয়ে দেন।
- রোহিনী গত কয়েক মাস ধরে তেজস্বী এবং আরজেডিকে সমাজমাধ্যমে আনফলো করেছিলেন।
- তাঁর পোস্টে তেজস্বীর বিরুদ্ধে বারবার পরোক্ষ অসন্তোষ ফুটে উঠেছিল।
- বরং তিনি তেজপ্রতাপের প্রতি সহানুভূতিই বেশি দেখিয়েছেন।
যদিও লালুর প্রিয় সন্তান বলেই পরিচিত রোহিনী—এমনকি তিনি বাবাকে নিজের কিডনি পর্যন্ত দান করেছিলেন (সূত্র: AIIMS ও সরকারি বিবৃতি)। ফলে তাঁর এই সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক মহল স্তম্ভিত।
📌 তথ্যসংক্ষেপ: রোহিনী বনাম তেজস্বী বিরোধ
| বিষয় | রোহিনীর অবস্থান | তেজস্বীর ঘনিষ্ঠদের ভূমিকা |
|---|---|---|
| পরিবার থেকে দূরত্ব | পরিবার তাঁকে “তাড়িয়েছে” | সঞ্জয় ও রামিজ়ের নাম বারবার উঠে আসছে |
| রাজনীতি | ছাড়ার ঘোষণা | আরজেডির ভরাডুবির পর বিতর্ক বেড়েছে |
| অতীত সম্পর্ক | বাবার প্রিয়, কিডনি দান করেছিলেন | সামাজিক মাধ্যমে দূরত্ব বেড়েছিল |

