রাষ্ট্রপুঞ্জে কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানকে কড়া জবাব ভারতের!
রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের এক বিতর্কসভায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় মুখ খুলল ভারত। কাশ্মীর প্রসঙ্গে ইসলামাবাদের অবস্থান ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ে তাদের দ্বিচারিতার বিরুদ্ধে সরব হলেন রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি পি হরিশ। তাঁর দাবি, “পাকিস্তানে সাধারণ মানুষ আর সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে তফাত করা যায় না। সন্ত্রাসীদের মৃত্যুতেও ওরা শোক পালন করে!”
নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের এই বৈঠকে আলোচনার বিষয় ছিল সারা বিশ্বে সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের নিরাপত্তা। সেখানেই পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত ইফতিকার আহমেদ আলোচনার মোড় ঘুরিয়ে কাশ্মীরের প্রসঙ্গ তোলেন এবং ভারত-পাক সম্পর্কের সাম্প্রতিক টানাপোড়েন তুলে ধরেন। এর পরই ভারতীয় প্রতিনিধি পাল্টা জবাবে তুলে ধরেন সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানের ভূমিকা এবং ইতিহাস।
পি হরিশ বলেন, “পাকিস্তানের প্রতিনিধি যে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছেন, তার জবাব দেওয়া প্রয়োজন। ভারত বহু বছর ধরে সীমান্তপারে মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদের শিকার। ২৬/১১ মুম্বই হামলা থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর হামলা—সবটাই পাকিস্তানের ছায়াতলে বেড়ে ওঠা জঙ্গিদের কাজ।”
তিনি আরও জানান, পহেলগাঁওয়ে এপ্রিল মাসে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। তার পর ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামক প্রতিহিংসামূলক অভিযানে পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে। এই অভিযানের পরেই দেখা যায়, পাকিস্তানের প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর শীর্ষ স্তরের আধিকারিকরা নিহত জঙ্গিদের শেষকৃত্যে অংশ নিচ্ছেন। পি হরিশ বলেন, “যে দেশে একাধারে পুলিশ, সেনা এবং সরকার কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদীদের শ্রদ্ধা জানায়, সেখানে সাধারণ নাগরিক আর জঙ্গির তফাত মুছে যায়। এমন দেশের উচিত নয় মানবিকতা বা সাধারণ মানুষের সুরক্ষা নিয়ে কথা বলা।”
ভারতের এই কূটনৈতিক জবাবে উঠে আসে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা—“রাষ্ট্রপুঞ্জের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসবাদীদের রক্ষার চেষ্টা আর সাধারণ মানুষের সুরক্ষার মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাত আছে। যারা এই দু’টি বিষয়ে সমীকরণ বসাতে চায়, তারা আন্তর্জাতিক আইন ও নীতিকে অসম্মান করছে।”
পাকিস্তানের ‘ভণ্ডামি’র তীব্র সমালোচনা করে ভারতের প্রতিনিধি বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পুরো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একজোট হওয়া দরকার। শুধু জঙ্গিদের নয়, যারা তাদের আশ্রয় দেয়, প্রশ্রয় দেয়, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর অবস্থান নিতে হবে।”
রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে ভারতের এই কড়া অবস্থান শুধু কূটনৈতিক বার্তা নয়, বরং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক ঐক্যের দাবি হিসেবেও তুলে ধরা হয়েছে।
আপনার জিমেল আইডি কি অন্য কেউ ব্যবহার করছে? সতর্ক না হলে বিপদ ডেকে আনতে পারেন!

