এসসিও বৈঠককে হেয় করল ট্রাম্প প্রশাসন
ভারতের রাশিয়া থেকে তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করল আমেরিকা। সোমবার চীনের তিয়ানজিন শহরে অনুষ্ঠিত সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনকে ‘দেখনদারি’ আখ্যা দিল মার্কিন রাজস্বসচিব স্কট বেসান্ত। তাঁর মতে, এই বৈঠকে যতটা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, আসলে তা কার্যকরী নয়।
এদিনের বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মুখোমুখি হন। মোদীর সঙ্গে জিনপিং ও পুতিনের আলাদা বৈঠকও হয়। বর্তমান কূটনৈতিক পরিস্থিতিতে এ সম্মেলনের প্রতি আমেরিকার নজর ছিল স্পষ্ট। তবে ‘ফক্স নিউজ’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বেসান্ত সরাসরি ভারত ও চীনের রাশিয়া-সমর্থিত নীতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “ভারত ও চীন রাশিয়াকে সমরাস্ত্রে ইন্ধন জোগাচ্ছে। এটা অত্যন্ত খারাপ কাজ।”
ইউক্রেন যুদ্ধের সময় রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ব্যবসায়িক সম্পর্ক নিয়ে মার্কিন অসন্তোষ নতুন নয়। তবুও ভারতকে ‘বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে বেসান্ত বলেন, মূল্যবোধের দিক থেকে ভারত আমেরিকার অনেক কাছের দেশ। তিনি আশাবাদী, বর্তমান মতবিরোধ দ্রুত মিটে যাবে। তাঁর মন্তব্য, “দুই মহান দেশ একসঙ্গে সমাধানের পথ খুঁজে নেবে।”
এসসিও সম্মেলনকে হেয় করার পাশাপাশি তিনি জানান, “এটি বহুদিন ধরে চলা একটি বৈঠক। কিন্তু যতটা কার্যকরী বলে তুলে ধরা হচ্ছে, তা নয়।” তাঁর দাবি, ভারত রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কিনে নিজেদের অর্থনৈতিক লাভ করছে, যা আমেরিকার জন্য অস্বস্তিকর।
তবে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে আশাবাদী আমেরিকা। বেসান্ত বলেন, “আমি ভেবেছিলাম মে বা জুনের মধ্যেই ভারত-আমেরিকার মধ্যে চুক্তি হবে। ভারত দর কষাকষি চালিয়ে গেছে, যা তাদের কৌশলী অবস্থানকে বোঝায়।”
চীনের মাটিতে এই বৈঠক যতটা কূটনৈতিক বার্তা দিচ্ছে, ততটাই তৈরি করছে উত্তেজনা। ভারত একদিকে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাইছে, অন্যদিকে আমেরিকার সঙ্গে কৌশলগত সহযোগিতাও অক্ষুণ্ণ রাখতে চাইছে। এই জটিল কূটনীতির মধ্যে এসসিও সম্মেলন বিশ্বরাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে।
ওড়িশায় ব্যবসায়ীর বাড়িতে ইডির তল্লাশি, ১৩৯৬ কোটির প্রতারণা মামলায় উদ্ধার কোটি টাকার সম্পদ

