ভারত-পাক সম্পর্কের দিশা!
যুদ্ধবিরতির চতুর্থ দিনে দাঁড়িয়ে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে আপাত শান্তি বিরাজ করছে। টানা কয়েক দিনের উত্তেজনার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে জম্মু ও কাশ্মীর। বেশ কিছু এলাকায় আজ থেকেই খুলছে স্কুল-কলেজ, যদিও সীমান্তবর্তী অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এখনও বন্ধই থাকছে।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। সেখানে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ভারত কোনও আপস করবে না। তাঁর মন্তব্য, “আলোচনা ও সন্ত্রাস একসঙ্গে চলতে পারে না,” এবং “রক্ত ও জল একসঙ্গে বইতে পারে না”—এই দুটি বাক্যে অনেকেই ইঙ্গিত খুঁজে পাচ্ছেন যে, পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলচুক্তি নিয়েও হয়তো ভারত কড়া সিদ্ধান্তের দিকে এগোচ্ছে। মোদী আরও বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার বিষয় শুধুই সন্ত্রাস ও পাক অধিকৃত কাশ্মীর।
ক্রিকেটে বড় ধাক্কা: কোহলির টেস্ট থেকে অবসর
একের পর এক চমক ভারতীয় ক্রিকেটে। কয়েক দিন আগে রোহিত শর্মা টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছিলেন। এবার সেই পথেই হাঁটলেন বিরাট কোহলিও। এই দুই সিনিয়র তারকাকে ছাড়াই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ সিরিজে নামতে হবে ভারতকে। দল কোন পথে এগোয়, কী প্রভাব পড়ে পারফরম্যান্সে—সবটাই এখন সময়ের অপেক্ষা।
জম্মু ও কাশ্মীর: ফিরছে স্বাভাবিকতা
যুদ্ধবিরতির পর জম্মু ও কাশ্মীরে পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত। তিন দিনের মধ্যে রাজ্যজুড়ে স্বাভাবিকতা ফিরতে শুরু করেছে। আজ থেকে সীমান্তবর্তী অঞ্চল ছাড়া অন্য জেলাগুলোর স্কুল খুলে যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। যদিও নিরাপত্তার দিক থেকে প্রশাসন এখনও যথেষ্ট সতর্ক রয়েছে।
যুদ্ধবিরোধী বার্তা বাম দলগুলির
এই সময়েই রাজ্যে রাজনৈতিক বার্তাও উঠে এসেছে বামফ্রন্টের তরফে। আজ কলকাতায় বাম দলগুলির উদ্যোগে একটি শান্তি মিছিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিকেল নাগাদ ধর্মতলার লেনিন মূর্তির সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়ে শেষ হবে শিয়ালদহে। বাম দলগুলির দাবি—যুদ্ধ নয়, প্রয়োজন আলোচনার মাধ্যমে সমাধান।
গরমে হাঁসফাঁস, বৃষ্টি কবে?
এদিকে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় আবার তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও পশ্চিম বর্ধমানে গরমের দাপট সব থেকে বেশি। যদিও কিছু এলাকায় ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। উত্তরবঙ্গেও রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। তবে আগামী ৫-৬ দিনের মধ্যে তাপমাত্রার বড় পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
সারাংশ
ভারত-পাক সম্পর্ক এখন এক অস্থির সমঝোতার মধ্যে দাঁড়িয়ে। সীমান্তে আপাতত গোলাগুলি থেমেছে, কিন্তু বাকযুদ্ধ চলছেই। দেশের অভ্যন্তরে কোহলির অবসর, শান্তি মিছিল কিংবা গরমের প্রকোপ—সব মিলে এক অস্থির কিন্তু গতিশীল পরিস্থিতি। আগামী কয়েকদিনেই স্পষ্ট হবে, শান্তির বার্তাই কি চূড়ান্ত সুর নেবে, নাকি আবার উসকে উঠবে উত্তেজনার আগুন।
বিরাট কোহলির বিদায়: এক অধ্যায়ের সমাপ্তি, রেখে গেলেন প্রশ্নের রেশ

