Sunday, May 11, 2025

যাদবপুরে বামপন্থী ছাত্র আহত, ক্ষুব্ধ বাবা— তৃণমূল নেতা অমৃত বসুর মন্তব্য ঘিরে চর্চা

Share

যাদবপুরে বামপন্থী ছাত্র আহত

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন মোড় নিল বিতর্ক। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং এসএফআই নেতা অভিনব বসু আহত হয়েছেন, আর তাঁর বাবা অমৃত বসু হাওড়ার তৃণমূল নেতা!

এই ঘটনায় প্রথম থেকেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। এক দিকে এসএফআই দাবি করছে, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ি আন্দোলনকারী ছাত্রদের পিষে দেওয়ার চেষ্টা করেছে, অন্য দিকে তৃণমূল বলছে, পূর্বপরিকল্পিত হামলার শিকার হয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী

আর এই পরিস্থিতিতেই অভিনবের বাবা অমৃত বসুর প্রতিক্রিয়া নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে


🔴 ছেলে আহত, ক্ষুব্ধ বাবা— কী বললেন তৃণমূল নেতা?

অভিনব বসুর পা দিয়ে গাড়ির চাকা চলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বাবার প্রতিক্রিয়া চমকপ্রদ। সাংবাদিকদের সামনে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন—

“ছেলের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই! ও বাড়িতেও আসে না, আমাদের কোনও যোগাযোগ নেই।”

তিনি আরও বলেন—

“আমি যাদবপুরের ঘটনার নিন্দা করছি। যারা দোষী, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। আমার ছেলে যদি জড়িত থাকে, তবে তারও শাস্তি হওয়া উচিত।”

অমৃত বসুর দাবি, অভিনব যাদবপুরে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন এবং তৃণমূলের বিরোধী অবস্থান নেন

“সে বাড়ি থেকে কোনও টাকা নেয় না, স্কলারশিপের টাকায় নিজের খরচ চালায়।”


🚨 কীভাবে আহত হলেন অভিনব? এসএফআইয়ের অভিযোগ কী?

📌 শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবকুপার (তৃণমূলপন্থী শিক্ষক সংগঠন) সম্মেলন চলছিল।
📌 শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ক্যাম্পাসে এলে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেয়
📌 অভিযোগ, ব্রাত্যের গাড়ির চাকা খুলে দেওয়া হয়, গাড়িতে হামলা চলে
📌 পাল্টা অভিযোগ, শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি বিক্ষোভকারীদের চাপা দিয়ে চলে যায়!
📌 এসএফআইয়ের দাবি, অভিনবের পায়ের ওপর দিয়ে তৃণমূল সমর্থিত অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্রের গাড়ি চলে গেছে

যাদবপুরের এসএফআই নেতারা বলছেন—

“আমাদের একাধিক ছাত্র গুরুতর আহত। একজনের চোখ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”

এই ঘটনায় কেপিসি হাসপাতালে ভর্তি অভিনব। তবে তাঁর অবস্থা এখন স্থিতিশীল।


🔥 যাদবপুরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি, পথে তৃণমূল ও এসএফআই

📌 তৃণমূল শনিবার রাতেই পাল্টা মিছিল করে
📌 সুকান্ত সেতু থেকে মিছিল বের হয়, নেতৃত্বে ছিলেন কুণাল ঘোষ, অরূপ বিশ্বাস, সায়নী ঘোষ
📌 তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ কড়া ভাষায় বলেন—

“যাদবপুরে যা হয়েছে, তা বাঁদরামি। ছাত্ররা শিক্ষামন্ত্রীর ওপর হামলা চালিয়েছে।”

📌 শিক্ষামন্ত্রী আক্রান্ত হওয়ার পর তৃণমূল কর্মীরা রাস্তায় নেমে এসেছেন।
📌 তৃণমূল নেতা অরূপ বিশ্বাস বলেন—

“আমরা চাইলে যাদবপুর দখল করতে পারি! কিন্তু গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সংযম দেখাচ্ছি।”

অন্য দিকে, এসএফআইও প্রতিবাদে সরব হয়েছে

📌 শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘শিক্ষাবন্ধু’ (তৃণমূল সমর্থিত কর্মী সংগঠন)-র অফিসে আগুন লাগে
📌 কে আগুন লাগিয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে
📌 সোমবার এসএফআই রাজ্যব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে


⚖️ পুলিশের পদক্ষেপ ও রাজনৈতিক টানাপোড়েন

📌 যাদবপুর থানায় ইতিমধ্যে ৫টি এফআইআর দায়ের হয়েছে
📌 একজন ছাত্রকে আটক করা হয়েছে
📌 তৃণমূল অভিযোগ তুলেছে, হামলার পরিকল্পনা করেই এসএফআই ক্যাম্পাস দখল করতে চেয়েছিল
📌 এসএফআই পাল্টা বলছে, শিক্ষামন্ত্রী নিজের দোষ ঢাকতেই তাদের ছাত্রদের অপরাধী বানাতে চাইছেন

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে—

“পরিস্থিতি এখন থমথমে, তবে আমরা সতর্ক আছি।”


🔍 তাহলে আসল সত্য কী?

অভিনব বসু আহত হয়েছেন, তাঁর বাবা অমৃত বসু তৃণমূল নেতা— এটা সত্য।
অভিনবের সঙ্গে পরিবারের সম্পর্ক নেই, তাও সত্য।
শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি হামলার শিকার হয়েছে নাকি বিক্ষোভকারীদের গাড়ি চাপা দেওয়া হয়েছে— তা নিয়ে বিভ্রান্তি আছে।
এসএফআই ও তৃণমূল একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে, পুলিশের তদন্ত চলছে।

এই ঘটনা শুধু যাদবপুরের ক্যাম্পাস রাজনীতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং রাজ্যের ছাত্র রাজনীতির ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে

🔥 এখন দেখার, সত্য বেরিয়ে আসবে, নাকি এই বিতর্কও রাজনৈতিক কৌশলের মোড়কে হারিয়ে যাবে?

শেষ দিনের শ্যুটিং, আবেগে ভাসল ‘নিম ফুলের মধু’ পরিবার

Read more

Local News