আইএসএল ডার্বির মোহনবাগানের জয়
একটি বার আবার কলকাতা ডার্বি রাঙল সবুজ-মেরুনের রঙে। গুয়াহাটির মাঠে ইস্টবেঙ্গলকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে মোহনবাগান নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করল। জেমি ম্যাকলারেনের একমাত্র গোলেই জয় নিশ্চিত হয়। তবে এই ম্যাচে দুই দলের খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স কেমন ছিল?
এই প্রতিবেদন দুই দলের শুরুর একাদশের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করেছে। বদলি খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স এখানে ধরা হয়নি।
মোহনবাগান: দলের পারফরম্যান্স
১. বিশাল কাইথ (৮)
মোহনবাগানের গোলরক্ষক বিশাল কাইথ ছিলেন দুর্দান্ত। ইস্টবেঙ্গলের একাধিক আক্রমণ তিনি বিশ্বস্ত হাতে প্রতিহত করেছেন। তার জন্যই দল একটিও গোল হজম করেনি।
২. টম অলড্রেড (৭)
দলের ডিফেন্সে টম অলড্রেড ছিলেন নির্ভরযোগ্য। ক্লেটন সিলভার নিশ্চিত গোল একটুর জন্য রক্ষা করেছেন। তার পারফরম্যান্সে আত্মবিশ্বাস দেখা গেছে।
৩. আলবের্তো রদ্রিগেস (৭)
টমের সঙ্গে ডিফেন্সের জুটি বাঁধা আলবের্তোও চমৎকার খেলেছেন। ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ তাদের রক্ষণ ভাঙতে পারেনি।
৪. শুভাশিস বসু (৭)
দলের অধিনায়ক হিসেবে শুভাশিস দায়িত্ব নিয়ে খেলেছেন। রক্ষণভাগে তার মরিয়া পারফরম্যান্স অনেক বার দলকে বিপদমুক্ত করেছে।
৫. আশিস রাই (৭)
আশিস শুধু রক্ষণে নন, আক্রমণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তার পাস থেকেই ম্যাচের একমাত্র গোলটি আসে।
৬. সাহাল আব্দুল সামাদ (৭)
মাঝমাঠে দারুণ কাজ করেছেন। রক্ষণ ও আক্রমণে সমানতালে দৌড়ে নজর কেড়েছেন। তবে পুরো ম্যাচ তিনি খেলতে পারেননি।
৭. আপুইয়া (৬)
ভাল খেললেও কিছু ক্ষেত্রে ভুল করেছেন। তার পারফরম্যান্স আরেকটু নিখুঁত হলে মোহনবাগান আরও দাপট দেখাতে পারত।
৮. লিস্টন কোলাসো (৫)
এই ম্যাচে নিজের মান অনুযায়ী খেলতে পারেননি। একাধিক সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
৯. মনবীর সিংহ (৫)
মনবীরও নিষ্প্রভ ছিলেন। ইস্টবেঙ্গলের বিষ্ণু তাকে আটকে রেখেছিলেন।
১০. জেমি ম্যাকলারেন (৭)
ম্যাচের একমাত্র গোলটি করে তিনি দলের জয়ের নায়ক। তবে আরও গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন এবং ৯০ মিনিট মাঠে থাকতে পারেননি।
১১. জেসন কামিংস (৫)
গতি কম থাকায় তিনি তেমন প্রভাব ফেলতে পারেননি। ম্যাকলারেনকে সমর্থন দিতে পারলে বাগানের জয় আরও বড় হতে পারত।
ইস্টবেঙ্গল: দলের পারফরম্যান্স
১. প্রভসুখন গিল (৭)
দলের গোলরক্ষক হিসেবে প্রভসুখন তার দায়িত্ব পালন করেছেন। একটি গোল খাওয়ার পরও তিনি দু’টি নিশ্চিত গোল বাঁচিয়েছেন।
২. হিজাজি মাহের (৩)
তাঁর ভুলের জন্যই ইস্টবেঙ্গল গোল খেয়েছে। একাধিক ভুল করায় কোচ তাকে তুলে নিতে বাধ্য হন।
৩. হেক্টর ইয়ুস্তে (৫)
কিছু ক্ষেত্রে ভালো ডিফেন্ডিং করলেও বেশ কিছু ভুল করেছেন। তাতে দল আরও বিপদে পড়তে পারত।
৪. নিশু কুমার (৬)
ডিফেন্সে যেমন ছিলেন তেমনই আক্রমণেও উঠেছেন। তার পারফরম্যান্স নজর কেড়েছে।
৫. লালচুংনুঙ্গা (৬)
গতি এবং আক্রমণে তিনি ভালো কাজ করেছেন। তবে পুরো দল তাকে সমর্থন দিতে পারেনি।
৬. শৌভিক চক্রবর্তী (৫)
৬৩ মিনিট পর্যন্ত ভালো খেললেও লাল কার্ড দেখে দলকে চাপে ফেলে দেন।
৭. জিকসন সিংহ (৬)
মাঝমাঠে তার ভূমিকা প্রশংসনীয়। নির্ধারিত কাজ ভালোভাবে করেছেন।
৮. ডেভিড লালানসাঙ্গা (৫)
শুরুতে খেললেও পরে তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারেননি।
৯. পিভি বিষ্ণু (৭)
দলের মধ্যে সেরা পারফরমার। রক্ষণ ও আক্রমণে সমানভাবে অবদান রেখেছেন। ভাগ্য সহায় হলে তিনি গোলও করতে পারতেন।
১০. ক্লেটন সিলভা (৬)
কিছু সুযোগ তৈরি করলেও গোল করতে ব্যর্থ হন। তার পারফরম্যান্স আরেকটু ভালো হলে দল উপকৃত হতো।
১১. দিমিত্রিয়স দিয়ামানকতাকোস (৫)
গোল করার দায়িত্বে ছিলেন, কিন্তু সুযোগ তৈরি করতেও ব্যর্থ হন।
সমাপ্তি
মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গলের এই আইএসএল ডার্বিতে সবুজ-মেরুনের জয় দেখাল তাদের দৃঢ়তা। ইস্টবেঙ্গল লড়াই করলেও লাল কার্ড এবং ভুলের কারণে পিছিয়ে পড়ে। ডার্বির উত্তেজনা উপভোগ করলেও দুই দলের পারফরম্যান্সে উন্নতির জায়গা থেকেই যায়।
‘তুমিই আমার আলো’, হৃতিককে জন্মদিনে শুভেচ্ছায় ভরালেন প্রাক্তন স্ত্রী সুজ়ান ও প্রেমিকা সাবা
