বাগানে আরও এক বছর
মোহনবাগান সমর্থকদের জন্য এল স্বস্তির খবর। শেষ পর্যন্ত সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ক্লাবেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন স্কটিশ ডিফেন্ডার টম অলড্রেড। নতুন মরসুমের জন্য বাগানের সঙ্গে চুক্তি নবীকরণ করেছেন এই নির্ভরযোগ্য সেন্টার ব্যাক।
গত আইএসএল মরসুমে মোহনবাগানের রক্ষণভাগ যে কেমন জমাট ছিল, তার অন্যতম মূল স্তম্ভ ছিলেন অলড্রেড। তাঁর ঠাণ্ডা মাথার লড়াই, সঠিক পজিশনিং এবং ধারালো ট্যাকল বারবার দলের রক্ষণভাগকে রক্ষা করেছে। আইএসএল লিগ শিল্ড ও চ্যাম্পিয়নশিপ কাপ জয়ে তাঁর অবদান ছিল অনস্বীকার্য।
মরসুম শেষ হতেই শোনা যাচ্ছিল, অলড্রেডকে নিয়ে বেশ কয়েকটি আইএসএল ক্লাব এবং বিদেশি দল আগ্রহ দেখাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই তৈরি হয়েছিল গুঞ্জন—তাঁর কি তবে বাগান ছাড়ার সময় এসে গিয়েছে? তবে মোহনবাগান কোচ হোসে মোলিনা নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, রক্ষণভাগে অলড্রেডকে ছাড়া তিনি ভাবতেই পারছেন না। কোচের ইচ্ছেকে সম্মান জানিয়েই ক্লাব কর্তৃপক্ষ নতুন চুক্তির প্রস্তাব দেয় অলড্রেডকে। শেষ পর্যন্ত সেই প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়ে সই করে দিলেন তিনি।
গত মরসুমে মোহনবাগান ২৪টি ম্যাচের মধ্যে ১৫টিতেই গোল হজম করেনি—একটি নজিরবিহীন সাফল্য। রক্ষণভাগে অধিনায়ক শুভাশিস বসু, অলড্রেড ও আলবার্তো রদ্রিগেসের ত্রয়ী ছিল প্রতিপক্ষের আতঙ্কের কারণ। শুধু রক্ষণই নয়, অলড্রেডের মতো ডিফেন্ডারদের কাছ থেকেও গোল এসেছে। গোটা মরসুমে বাগানের ডিফেন্ডারদের গোলসংখ্যা ছিল ১৪।
অলড্রেডের চুক্তি নবীকরণ মানে, দলের পাঁচ বিদেশি ফুটবলারই নিশ্চিত হয়ে গেল আগামী মরসুমের জন্য। তিনি ছাড়াও রয়েছেন আলবার্তো, জেসন কামিংস, দিমিত্রি পেত্রাতোস ও জেমি ম্যাকলারেন। কোচ মোলিনা জানিয়েছেন, আরও দু’জন বিদেশিকে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে দেশীয় ফুটবলারদের ক্ষেত্রে বড়সড় পরিবর্তন চান না তিনি। মূলত, গতবারের দলটিকেই ধরে রেখে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্য তাঁর।
এখন দেখার, নতুন মরসুমে এই দল আরও কী উচ্চতা ছুঁতে পারে। তবে অলড্রেডের থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্তে যেমন রক্ষণভাগে স্থিতাবস্থা বজায় থাকবে, তেমনই ক্লাবের সমর্থকদের মনেও আশ্বাসের ছায়া পড়েছে।
ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে মিথ্যাচারের তৎপরতা: ভুয়ো খবরকে হাতিয়ার করছে পাকিস্তান

