কোহলিকে জড়িয়ে ধরার চেষ্টা
ক্রিকেট খেলার মাঝে হঠাৎ মাঠে ঢুকে পড়ার ঘটনা মেলবোর্নে এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করল। শুক্রবার সকালে, মেলবোর্ন স্টেডিয়ামে ৯০ হাজার দর্শক উপস্থিত ছিলেন এবং খেলা চলছিল তখনই একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। এক ব্যক্তি নিরাপত্তাকর্মীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাঠে প্রবেশ করেন এবং তিনি সোজা চলে যান ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলির কাছে। সেখানে গিয়ে তিনি কোহলিকে জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করেন, যা পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত এবং অস্বস্তিকর ছিল।
এমন একটি আচরণে বিরাট কোহলি এবং তার সতীর্থ রোহিত শর্মা উভয়েই অসন্তুষ্ট হন। রোহিত শর্মা মাঠে ঢুকে পড়া ওই ব্যক্তিকে আটকানোর চেষ্টা করেন, তবে নিরাপত্তারক্ষীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাকে মাঠ থেকে বের করে দেন। এর পর, খেলা আবার শুরু হয়, তবে কিছুক্ষণের জন্য খেলা থেমে ছিল।
মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে একদিকে দর্শকদের উত্তেজনা ছিল, তবে মাঠে ঢুকে পড়া ওই ব্যক্তির কারণে পরিস্থিতি কিছুটা অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে। এই ধরনের ঘটনা খেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর বড় প্রশ্নচিহ্ন তৈরি করে। ম্যাচের মাঝখানে এমন একটি অব্যবস্থাপনা বিরাট কোহলির মতো একজন শীর্ষ ক্রিকেটারের জন্য একেবারেই অস্বস্তির ছিল।
এমনকি এই ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর, খেলা চলাকালীন অস্ট্রেলিয়ার দর্শকরা বিরাট কোহলিকে বিদ্রূপ করতে শুরু করেন। গতকাল, বৃহস্পতিবার, বিরাট অস্ট্রেলিয়ার স্যাম কনস্টাসকে ইচ্ছাকৃতভাবে ধাক্কা মেরেছিলেন, যার কারণে অস্ট্রেলিয়ার সমর্থকরা তাকে একরকম ব্যঙ্গ করতে শুরু করেন। আইসিসি এই ঘটনাটি খতিয়ে দেখে বিরাটকে ২০ শতাংশ ম্যাচ ফি কেটে নেওয়ার পাশাপাশি একটি ডিমেরিট পয়েন্টও প্রদান করেছে।
প্রথম দিনের খেলা শেষে অস্ট্রেলিয়া ৩১১ রান তুলে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে ছিল। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে স্টিভ স্মিথ এবং প্যাট কামিন্স ব্যাট করতে নামেন। কিন্তু মাঠে ঢুকে পড়া ওই ব্যক্তির কারণে খেলা কিছুক্ষণ স্থগিত থাকে। পরে নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে বের করে নিয়ে যাওয়ার পর খেলা পুনরায় শুরু হয়।
এ ধরনের ঘটনা ক্রিকেট মাঠে কখনও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না, বিশেষত যখন খেলার মাঝেই একজন দর্শক খেলার মাঠে ঢুকে পড়েন এবং বিরাট কোহলির মতো একজন তারকা খেলোয়াড়কে শারীরিকভাবে স্পর্শ করার চেষ্টা করেন। এ ধরনের ঘটনা খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন সৃষ্টি করে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার আরও কঠোর বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।
এটি শুধু বিরাটের জন্য নয়, পুরো ভারতীয় দলের জন্য একটি অস্বস্তিকর মুহূর্ত ছিল, কারণ কোহলি একসময় দলের অধিনায়ক ছিলেন এবং তাঁর প্রতি অস্ট্রেলিয়ার দর্শকদের বিদ্রূপ এতদিনেও থামেনি। তবে খেলা ফের শুরু হলে, ভারতীয় দলের মনোযোগ আবার নিজেদের খেলার দিকে ফিরে আসে এবং তারা ম্যাচে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নিজেদের সেরা পারফরম্যান্স দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়।