মৃত্যুর হুমকি, পাঁজরে চোট!
সলমন খান মানেই বলিউডে দাপুটে উপস্থিতি। নিজের নিয়মে চলা, শুটিং ফ্লোরে অপেক্ষা করানো, এমন অভিযোগ বহুবার উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। তবে এ বার সব ছাপিয়ে গিয়েছেন তিনি নিজেই। মৃত্যুর হুমকি, শারীরিক চোট, আর দিনের পর দিন ১৪ ঘণ্টা শুটিং — এমন অভিজ্ঞতা সলমনের কেরিয়ারে বিরল। আর এই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিলেন পরিচালক এ.আর. মুরুগাদোসের আসন্ন ছবি ‘সিকন্দর’-এর জন্য।
🧑🎬 মৃত্যুর ছায়ায় শুটিং
সলমনের মাথায় তখন মৃত্যুর খাঁড়া। কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই-এর থেকে একের পর এক প্রাণনাশের হুমকি আসছিল। এই পরিস্থিতিতেও শুটিং বন্ধ করেননি তিনি। দেশের বিভিন্ন জায়গায় অনবরত চলেছে ‘সিকন্দর’-এর শুটিং। কিন্তু হুমকির মুখে থাকা সত্ত্বেও কোনো বিশেষ ছাড় মেলেনি পরিচালকের কাছ থেকে।
২৩ মার্চ ছবির ট্রেলার লঞ্চ ইভেন্টে সলমন নিজেই শেয়ার করেছেন সেই অভিজ্ঞতা। তিনি বলেন, “মুরুগাদোস আমাকে সত্যিই দম ফেলতে দিতেন না। প্রতিদিনই অ্যাকশন দৃশ্য, আর দীর্ঘ সময় ধরে শুটিং।”
💥 পাঁজরে চোট নিয়েও শুটিং অব্যাহত
শুধু হুমকিই নয়, শুটিং চলাকালীন চরম শারীরিক আঘাতও পেয়েছেন সলমন। একটি জটিল অ্যাকশন দৃশ্য করতে গিয়ে পাঁজরে গুরুতর চোট লাগে। কিন্তু সেই অবস্থাতেও থামেননি তিনি।
ভাইজান বলেন, “আমি প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত শুটিং করেছি। চোট নিয়েও ১৪ ঘণ্টা শুটিং চালিয়ে গিয়েছি। মুরুগাদোস আমাকে এতটাই চাপ দিতেন, মনে হতো যেন বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ নেই।”
তিনি মজার ছলে যোগ করেন, “যখন কাজ কঠিন হয়ে যায়, তখন কঠিন কাজও এগিয়ে যায়।”
🕰️ ভোরের শুটিং! সলমনের জন্য বিরল অভিজ্ঞতা
সলমন সাধারণত রাতের শুটিং করতে বেশি পছন্দ করেন। কিন্তু ‘সিকন্দর’-এর জন্য ব্যতিক্রম ঘটল। মুরুগাদোসের কঠোর শিডিউলের কারণে তাঁকে ভোরবেলা শুটিং করতে হয়েছে।
“ভোর ৭টায় ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো আমার পক্ষে ছিল একেবারেই অস্বাভাবিক,” বলেন সলমন। তবে পরিচালক যে সলমনের সেরাটা বের করে এনেছেন, সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত।
💬 ভক্তদের জন্য অপেক্ষা আর মাত্র কিছুদিন
ইদ উপলক্ষে মুক্তি পেতে চলেছে ‘সিকন্দর’, আর ইতিমধ্যেই দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। অ্যাকশন এবং থ্রিলারে ভরপুর এই ছবিতে সলমনের চমকপ্রদ পারফরম্যান্স দেখার জন্য মুখিয়ে আছেন ভক্তরা।
এবার শুধু পর্দায় সলমনের অদম্য লড়াই দেখার পালা!
ভাইজান কি পারফরম্যান্সে আবারও বাজিমাত করবেন? জানতে অপেক্ষা আর কিছুদিনের! 🎬✨