বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতির সংবর্ধনায় ‘বাঙালি হিন্দুত্ব’
সায়েন্স সিটির বিশাল হ্যাঙ্গারে ফুলে-ফুলে সজ্জিত মঞ্চে মা কালীর এক বিগ্রহচিত্র ঘিরে শুরু হয়েছে নতুন করে বিতর্ক। রাজ্য বিজেপির নবনিযুক্ত সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে, দলের দীর্ঘদিনের ‘হিন্দুত্ব’ ব্র্যান্ডিংয়ের বাইরে গিয়ে, এবার উঠে এলো কালীঘাটের কালীমূর্তি। শ্রীরামের সঙ্গে সঙ্গে শোনা গেল “জয় মা কালী” ধ্বনিও। শুধু কি হিন্দুত্বের বাঙালিকরণ? নাকি তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটকেই নিশানা করার কৌশলী চেষ্টা?
বৃহস্পতিবার বিজেপির মঞ্চে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, দীনদয়াল উপাধ্যায় ও ভারতমাতার ছবির পাশে যে কালীর বিগ্রহচিত্র রাখা হয়েছিল, তা কালীঘাটের ঐতিহ্যবাহী মূর্তির ফ্রেমে বাঁধানো প্রতিকৃতি। যেখান থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক শক্তি আহরণ করেন। এই ছবিটি এলইডি স্ক্রিনে বিশাল আকারে ভেসে উঠতে দেখা যায় ঠিক তখনই, যখন ঘোষিত হয় শমীক ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বের খবর। বিষয়টি নিছক কাকতালীয় নয় বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
বিজেপির মঞ্চে এই ধরনের ছবি আগে দেখা যায়নি। এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মা কালী তো বাংলার ঘরে ঘরে রয়েছেন। তাঁর ছবি থাকা অস্বাভাবিক নয়।” তবে এতদিন তা না থাকার কারণ ব্যাখ্যায় তিনি নিরুত্তর। নতুন সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের প্রতিক্রিয়াও ঘোরানো। তিনি বলেন, “বিজেপি বাঙালির দল, বাঙালির ঐতিহ্য এবং আত্মপরিচয়ের সঙ্গে দল গর্ব অনুভব করে।” সঙ্গে তিনি রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র, বঙ্কিমচন্দ্র, নজরুলদের উদাহরণ দিয়ে বলেন, “তাঁদের লেখায় আছে আমাদের প্রাচীন দর্শনের ছাপ। সেটাই বিজেপির বাঙালিয়ানা।”
তবে এই ‘বাঙালিয়ানা’ কি শুধুই কৌশলগত হিন্দুত্বের রঙে রঙিন এক সাংস্কৃতিক বার্তা? নাকি এই ছবির পেছনে আছে আরও গভীর রাজনৈতিক ব্যঞ্জনা? রাজনৈতিক মহলের মতে, কালীঘাট মানে শুধুই ধর্ম নয়, কালীঘাট মানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্গ।
রাত জাগলেই বাড়ছে হাঁপানির ঝুঁকি! মহিলারা সবচেয়ে বিপন্ন, কারণ লুকিয়ে হরমোন আর উদ্বেগে

