Monday, December 1, 2025

মাস্কের ‘আমেরিকা পার্টি’ নিয়ে প্রথম প্রতিক্রিয়া ট্রাম্পের: তৃতীয় দলের সাফল্য কতটা সম্ভব আমেরিকার দ্বিদলীয় ব্যবস্থায়?

Share

মাস্কের ‘আমেরিকা পার্টি’ নিয়ে প্রথম প্রতিক্রিয়া ট্রাম্পের!

ইলন মাস্কের নতুন রাজনৈতিক দল ‘আমেরিকা পার্টি’ নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একদিকে মাস্কের এই রাজনৈতিক উদ্যোগ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে তাঁর আসল উদ্দেশ্য নিয়ে, অন্যদিকে ট্রাম্প এই দলকে সরাসরি “হাস্যকর” বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। আমেরিকার দীর্ঘদিনের দ্বিদলীয় রাজনৈতিক প্রথার কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প স্পষ্ট করে দিয়েছেন—তাঁর মতে এই তৃতীয় দল কোনওভাবেই সফল হতে পারবে না, বরং শুধুই বিভ্রান্তি তৈরি করবে।

শনিবার, ইলন মাস্ক ‘আমেরিকা পার্টি’-র সূচনা ঘোষণা করেন। স্পেসএক্স ও টেসলার কর্ণধার মাস্ক এই নতুন উদ্যোগে সরাসরি আমেরিকার রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট—এই দুই ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দলের ভিত নাড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের ‘মিড-টার্ম ইলেকশন’-এ তাঁর দল প্রার্থী দেবে।

এই ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রবিবার ট্রাম্প যখন নিউ জার্সি থেকে ওয়াশিংটনের পথে, তখন তাঁকে মাস্কের দলের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। প্রেসিডেন্ট সাফ জানান, “আমেরিকার রাজনৈতিক কাঠামো বরাবরই দ্বিদলীয় ছিল। এর মধ্যে তৃতীয় দল তৈরি করাটা একেবারে অপ্রয়োজনীয় এবং বিভ্রান্তিকর। এগুলোর কোনও ভবিষ্যৎ নেই।”

ট্রাম্পের তীর্যক মন্তব্য এখানেই থেমে থাকেনি। সামাজিক মাধ্যমে মাস্ককে কটাক্ষ করে তিনি লেখেন, “মাস্ক সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছেন। গত পাঁচ সপ্তাহে ওঁর রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ট্রেন দুর্ঘটনার মতো ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। তৃতীয় দল মানেই বিশৃঙ্খলা, যেটা কেবলমাত্র র‌্যাডিক্যাল লেফট ডেমোক্র্যাটদেরই সুবিধা করে দেবে।”

এই ঘটনার ফলে মাস্ক ও রিপাবলিকান পার্টির মধ্যে আগুন আরও বেড়েছে। অথচ কিছু মাস আগেও মাস্ক ছিলেন ট্রাম্পের একনিষ্ঠ সমর্থক, এমনকি তাঁর প্রশাসনের অন্দরেও জায়গা পেয়েছিলেন। হোয়াইট হাউসে তাঁর জন্য বিশেষ দায়িত্ব বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু সেই বন্ধুত্ব এখন অতীত। ট্রাম্পের ‘বড় ও সুন্দর’ বাজেট বিলকে কেন্দ্র করে দূরত্ব তৈরি হয় দুই শিল্পপতির মধ্যে। মাস্ক অভিযোগ করেন, এই বিল আমেরিকার অর্থনীতিকে ধ্বংস করবে। ট্রাম্প পাল্টা দাবি করেন, মাস্ক শুধুমাত্র তাঁর ব্যবসায়িক স্বার্থ দেখেই বিরোধিতা করছেন।

মাস্ক তাঁর দলকে এখনও অফিসিয়ালি নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নিবন্ধিত করেছেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, অতীতে আমেরিকায় বহুবার তৃতীয় দল গঠিত হলেও, তা জাতীয় রাজনীতিতে টিকে থাকতে পারেনি। তার পরেও মাস্কের মতো প্রভাবশালী এবং বিতর্কিত ব্যক্তিত্বের হাত ধরে নতুন করে শুরু হওয়া এই রাজনৈতিক প্রচেষ্টা আগামী নির্বাচনে ঠিক কোন জায়গায় পৌঁছাবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

এই মুহূর্তে ট্রাম্প স্পষ্ট করে দিয়েছেন, মাস্কের নতুন দলে তিনি আদৌ কোনও গুরুত্ব দিতে রাজি নন। তবে আমেরিকার রাজনৈতিক মঞ্চে এক চাঞ্চল্যকর পরিবর্তনের ইঙ্গিত যে দেওয়া হয়ে গিয়েছে, তা বলাই যায়।

শুল্কনীতি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ ট্রাম্পের, ১২ দেশকে পাঠানো চিঠি ঘিরে উদ্বেগ—অথচ ভারতের সঙ্গে চুক্তি এখনও অনিশ্চিত

Read more

Local News