Monday, December 1, 2025

মায়ের কঠোর আদেশ থেকে শুরু করে ছোট ছোট টাস্ক, কন্যা পলককে বড় করতে যা করেছেন শ্বেতা তিওয়ারি

Share

কন্যা পলককে বড় করতে যা করেছেন শ্বেতা তিওয়ারি!

অভিনেত্রী শ্বেতা তিওয়ারির জীবনে অগণিত চ্যালেঞ্জ এসেছে—অর্থনৈতিক সংকট থেকে শুরু করে দু’বারের বিবাহবিচ্ছেদ। তবুও, সন্তানদের ভালবেসে বড় করে তোলার ব্যাপারে তিনি কখনোও পিছু হটেননি। মেয়ে পলক তিওয়ারি এবং ছেলে রেহাংশকে একা হাতে লালন-পালন করেছেন শ্বেতা, যা সহজ ছিল না, কিন্তু নিজের পুরো মনোযোগ ও শক্তি নিয়েই করেছেন তিনি।

সম্প্রতি শ্বেতা পলককে কিভাবে বড় করেছেন, তার কিছু রূপকথার মতো অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। পলক ইতিমধ্যেই বলিউডে পা রেখেছে, ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’ ছবিতে ২০২৩ সালে তার আত্মপ্রকাশ হয়েছিল। কিন্তু তার অভিনয়ের পেছনে রয়েছে মায়ের কঠোর কিন্তু যুক্তিসঙ্গত শাসনের ছায়া।

শ্বেতা জানিয়েছেন, তিনি কড়া মা, কিন্তু অযৌক্তিক না। উদাহরণস্বরূপ, রাতের সময় পলক কখন বাড়ি ফিরবে তা শ্বেতা ঠিক করতেন। তিনি বললেন, “আমি ওকে যেখানে ইচ্ছে যেতে দিতাম না। যদি বলত ১ টায় ফিরবে, তাহলে অবশ্যই সেই সময়ের মধ্যে বাড়ি ফিরতে হত। নিয়ম থাকাটা দরকার, ছোট বেলায় অভিভাবকরা কড়া না হলে বাচ্চারা বুঝতে পারবে না ঠিক-ভুল।”

শ্বেতার মতে, ছোট বাচ্চাদের বেড়ে ওঠার সময় বাবা-মায়ের একটু কড়াকড়ি থাকা উচিত, কারণ এর মাধ্যমেই তারা ভাল-মন্দের মধ্যে পার্থক্য শেখে। পলকের বন্ধুদের ঠিকানা এবং ফোন নম্বরও শ্বেতার কাছে ছিল, কিন্তু সে তথ্য কাজে লাগিয়ে কখনোই তাকে লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে ফেলেননি তিনি।

অল্পবয়সে মা হওয়ার মতো কঠিন বাস্তবতা সত্ত্বেও শ্বেতা কখনো সন্তানের শিক্ষায় বা শৃঙ্খলায় কোনো আপস করেননি। স্কুল জীবনে পলককে মোবাইল ফোন দেয়নি, বরং প্রথম ফোন পেয়েছিল কলেজে। “১৬ বছর বয়সে প্রথম মেকআপের সরঞ্জাম কিনে দিয়েছিলাম,” শ্বেতা জানিয়েছেন। স্কুলের নাটক বা অন্য কোনও অনুষ্ঠানে পলককে রূপটান ছাড়া পাঠাতেন, আর প্রয়োজন হলে বাড়ি থেকেই নিজে সাজিয়ে পাঠাতেন।

আর্থিক বিষয়েও শ্বেতা সন্তানের উপর অতি ভরসা করেননি। তিনি বলেছিলেন, “আমি পলককে খুব সামান্য হাতখরচা দিতাম। বেশি টাকা চাইলে ওকে বাড়ির কাজ করতে হতো।” বাথরুম পরিষ্কার করলে ১ হাজার টাকা, অন্য কাজ করলে আরও হাজার। এই ছোট ছোট কাজের বিনিময়ে পলক অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করত। এতে শুধু অর্থনৈতিক দিকই উন্নত হয়নি, বরং কাজের গুরুত্ব বোঝাও গেছে।

শ্বেতার এই কঠোর কিন্তু মমত্বপূর্ণ পদ্ধতি সন্তানের জীবনে এক দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার কঠোর নিয়মানুবর্তিতা ও পরিশ্রমের কারণেই পলক আজ নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে। শ্বেতার জীবনের উঠানামা, তার মায়ের দায়িত্বে নিবেদিতপ্রাণ মনোভাব অনেক মা-বাবার জন্য এক ভালো উদাহরণ হয়ে থাকবে।

সন্তানের জন্য সবসময় সেরা চাইতে চাইলে কিছু নিয়ম ও শৃঙ্খলা অবশ্যই দরকার হয়—এই শিক্ষা দিয়েই শ্বেতা তিওয়ারি নিজের ছোট সংসারকে দাঁড় করিয়েছেন।

দোকানের মশলার বদলে ঘরেই বানিয়ে নিন মাংসের স্বাদ বাড়ানোর জাদুমন্ত্র

Read more

Local News