মশলা দিয়ে তথ্য হাতানোর ফাঁদ! সতর্ক করল তৃণমূল!
ঘরে ঘরে ঘুরছে ‘স্বেচ্ছাসেবী’দের ছদ্মবেশে কিছু সন্দেহজনক ব্যক্তি। ভোটারদের নাম, ফোন নম্বরসহ নানা ব্যক্তিগত তথ্য নিচ্ছেন বিনিময়ে সামান্য হলুদগুঁড়ো বা লঙ্কাগুঁড়োর প্যাকেট দিয়ে! এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরমহলে রীতিমতো সতর্কতা জারি হয়েছে। দল মনে করছে, এর পেছনে রয়েছে এক গভীর ষড়যন্ত্র—যার উদ্দেশ্য, তৃণমূলের সাংগঠনিক ভিতকে দুর্বল করা।
তথ্য সংগ্রহের নামে দুরভিসন্ধি
তৃণমূলের দাবি, কিছু ‘কুচক্রী’ ব্যক্তি বর্তমানে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করছেন। তাঁদের বেশিরভাগই এনজিও বা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার নাম করে উপস্থিত হচ্ছেন। এমনকি কিছুক্ষেত্রে তারা স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের কাছেও গিয়ে দাবি করছেন, “আমরা উপরমহলের নির্দেশে এসেছি।” বিনপুরে এমনই এক ঘটনার সূত্র ধরে তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার দলীয় সার্কুলার জারি করেন।
বুথে বুথে নজরদারির নির্দেশ
সার্কুলারে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বুথকর্মীদের সঙ্গে মিটিং করে সবাইকে সতর্ক করতে হবে। সন্দেহজনক কেউ এলাকায় ঘোরাফেরা করলে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশে জানাতে বলা হয়েছে। সার্কুলারে বলা হয়েছে, “এই লোকেরা আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও ঢুকে পড়ার চেষ্টা করছে, যাতে আমাদের অভ্যন্তরীণ তথ্য পেতে পারে। সঙ্গে সঙ্গে FIR করে বিষয়টি আমাদের জানাতে হবে।”
১৬টি FIR ইতিমধ্যেই দায়ের
দলীয় সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এমন তথ্য হাতানোর অভিযোগে ১৬টি এফআইআর দায়ের হয়েছে। ঘটনাগুলি মূলত জঙ্গলমহল এবং গ্রামীণ এলাকায় বেশি দেখা যাচ্ছে। যদিও এ নিয়ে পুলিশি তদন্ত চলছে, তৃণমূল নিশ্চিত যে একটি সংগঠিত মহল এর পেছনে রয়েছে।
ভোটার যাচাইয়ের সুযোগে ষড়যন্ত্র?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দল এখন বুথস্তরে ভোটার তালিকা যাচাইয়ের কাজ করছে। সেই সুযোগেই বহিরাগত চক্র তথ্য জোগাড়ে নেমে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূলের মতে, এই গোটা পরিকল্পনার সঙ্গে বিরোধী দল বিজেপির সরাসরি যোগ রয়েছে।
বিজেপির পাল্টা জবাব
তবে তৃণমূলের এই অভিযোগ মানতে নারাজ বিজেপি। দলের মুখপাত্র রাজর্ষি লাহিড়ীর কটাক্ষ, “তৃণমূল একটা চোরেদের দল। তাদের থেকে আবার কী তথ্য নিতে হবে? বিজেপি এ ধরনের কাজ করে না।”
‘দেশি অস্ত্রেই জয়ের গল্প’ — ‘মন কি বাত’-এ মোদীর ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্য তুলে ধরা

