Monday, December 1, 2025

মমতার নেতৃত্বে তৃণমূলের ভার্চুয়াল বৈঠক: মোদী সরকারকে কোণঠাসা করতে সংসদ কৌশলে প্রস্তুতি

Share

মমতার নেতৃত্বে তৃণমূলের ভার্চুয়াল বৈঠক!

চলতি সংসদ অধিবেশনের মাঝেই সোমবার এক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বৈঠকে বসতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেল সাড়ে চারটেয় লোকসভা এবং রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদদের নিয়ে হবে এই ভার্চুয়াল বৈঠক। বর্ষাকালীন অধিবেশনের চলমান উত্তাপের মধ্যে এই বৈঠক শুধুমাত্র সাংগঠনিক বৈঠক নয়, বরং এক কৌশল নির্ধারক রাজনৈতিক পদক্ষেপ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

২১ জুলাই শুরু হওয়া অধিবেশন চলবে ২১ অগস্ট পর্যন্ত। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে উপস্থিত তৃণমূল সাংসদেরা নানা ইস্যুতে সরব হয়েছেন সংসদের দুই কক্ষে। তবে এক বিশেষ ইস্যু ঘিরেই এখন উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু—ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা বা স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন (SIR)। বিরোধীদের মতে, এই প্রক্রিয়ায় বিরোধী ভোটারদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। মমতা এই বৈঠকে নির্দেশ দিতে পারেন, কী ভাবে এই ইস্যুতে সংসদে আরও জোরালো প্রতিবাদ জানানো যাবে।

তবে শুধু এসআইআর নয়, সোমবারের বৈঠকে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠতে চলেছে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্যে বাংলাভাষার প্রতি অবহেলা এবং বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর সাম্প্রতিক হামলার অভিযোগ। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল ইতিমধ্যেই মোদী সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছে এবং সংসদে এই বিষয়টি তুলে ধরার কথাও ভাবা হচ্ছে। মমতা চাইছেন, এই ঘটনাগুলিকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করা হোক সংসদের ভেতর এবং বাইরেও।

এ ছাড়াও, বিরোধী দলগুলির সঙ্গে বৃহত্তর কক্ষ সমন্বয়ের কথাও উঠতে পারে এই বৈঠকে। তৃণমূল মনে করছে, শুধুমাত্র দলগতভাবে প্রতিবাদ করে সরকারকে চাপের মুখে ফেলা সম্ভব নয়। বরং কংগ্রেস, আরজেডি, ডিএমকে-র মতো দলের সঙ্গে একজোট হয়ে যৌথ প্রতিবাদেই কার্যকরী বার্তা দেওয়া যাবে। ইতিমধ্যেই রাহুল গান্ধী লোকসভায় এই ইস্যুতে প্রশ্ন তুলেছেন। শনিবার বিহারের বিরোধী নেতা তেজস্বী যাদব জানিয়েছেন, এসআইআর প্রক্রিয়ার ফলে ভোটার তালিকা থেকে তাঁর নিজের নামটাই বাদ পড়েছে। যদিও নির্বাচন কমিশনের তরফে অন্য ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, কিন্তু রাজনৈতিক বিতর্ক এখন তুঙ্গে।

তৃণমূল শিবিরের মতে, এই ইস্যুগুলি শুধু সংসদের আনুষ্ঠানিক আলোচনার জন্য নয়, বরং জনতার কাছেও পৌঁছে দেওয়া দরকার। তাই কৌশলগত ভাবে এই বিষয়গুলিকে সামনে রেখেই তৈরি হচ্ছে মমতার পরবর্তী রণনীতি।

সব মিলিয়ে, সোমবারের বৈঠক শুধু দলের সাংসদদের সঙ্গে কথাবার্তা নয়—এটি কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে একটি পরিকল্পিত কৌশল নির্ধারণ সভা। মমতার নেতৃত্বে তৃণমূল যে এই অধিবেশনেও মোদী সরকারকে একচুল জমি ছাড়তে রাজি নয়, তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এখন দেখার, একজোট বিরোধীদের হাত ধরে কতটা চাপ সৃষ্টি করা সম্ভব সংসদে।

চুল পড়া রোধে শরবতের জাদু: খেতেও হবে, বানাতেও হবে ঠিকমতো!

Read more

Local News