শালবনিতে শিল্পের নতুন যুগের সূচনা
পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে একটি নতুন তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের শিলান্যাস করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল এক শক্তিশালী বার্তা দিলেন তার সমালোচকদের। তিনি বললেন, “আপনারা আমার সমালোচনা করতে পারেন, কিন্তু আমাকে উপেক্ষা করতে পারবেন না।” যদিও তিনি সরাসরি কোনও রাজনৈতিক দলের নাম নেননি, কিন্তু তার বক্তব্যে যেন সমস্ত সমালোচকদের উদ্দেশ্যেই এক জোরালো উত্তরের প্রতিধ্বনি শোনা গেল।
শিল্পের বিকাশে মমতার দৃঢ় প্রত্যয়
মুখ্যমন্ত্রী তার বক্তৃতায় উল্লেখ করেন, “আমরা কাজ করে দেখাই, কথায় নয়।” তিনি দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গে শিল্পের বিকাশের জন্য প্রচুর বিনিয়োগ আসছে, যা সরাসরি রাজ্যের উন্নতির পথে নতুন দিগন্ত খুলে দেবে। চলতি বছরের বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে জিন্দল গোষ্ঠী শালবনিতে ৮০০ মেগাওয়াটের দু’টি বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিল। এই প্রকল্পের জন্য প্রায় ১৬,০০০ কোটি টাকা লগ্নি করা হচ্ছে। মমতা জানান, এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে গেছে এবং রাজ্যে অনেক বড় শিল্প প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
সমালোচকদের জবাব
বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদে বলেন, “যাঁরা বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন, তাদের গত আট বছরের ট্র্যাক রেকর্ড দেখুন। তাঁদের বিনিয়োগ কোন রাজ্যে হয়েছে, তা পর্যালোচনা করুন।” তিনি আরও দাবি করেন, বর্তমানে শিল্পের উপযুক্ত জায়গা হয়ে উঠেছে উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড। তবে মমতার বক্তব্য ছিল একেবারে বিপরীত—তিনি বললেন, “যারা বলছেন, বাংলায় কিছু হচ্ছে না, তারা এসে দেখুক, কীভাবে এখানে কাজ হচ্ছে।”
অগ্রগতির স্পষ্ট ছবি
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, শালবনির বিদ্যুৎকেন্দ্র শিলান্যাসের পর, রাজ্যে আরও ৬৬০ মেগাওয়াটের দু’টি বিদ্যুৎকেন্দ্র বক্রেশ্বর ও দুর্গাপুরে তৈরি হবে। পাশাপাশি, ৮০০ মেগাওয়াটের আরও দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র সাঁওতালডিতেও গড়ে তোলা হবে। রাজ্যের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করতে আগামী দিনে ৪৮,০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে। তিনি আরও বলেন, “বাংলায় ছ’টি ইকনমিক করিডোর তৈরি হচ্ছে এবং পুরুলিয়ায় বড় বড় শিল্প আসবে।”
প্রগতির পথে অবিরাম এগিয়ে যাওয়া
মমতা তার বক্তৃতায় বলেন, “সকলে কাজের মধ্যে থাকুন। ইতিবাচক চিন্তা করলে মনোবল বৃদ্ধি পায়, আর নেতিবাচক কথাবার্তা মনের মধ্যে গেঁথে থাকে।” তিনি সবকে উৎসাহিত করেন যাতে তারা দিকনির্দেশনাহীন সমালোচনার পরিবর্তে বাংলার উন্নতির পথে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে।
এমন দৃঢ় বার্তায়, মমতা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলেন যে তার সরকারের প্রচেষ্টা এবং উন্নয়ন থেমে থাকবে না, এবং তার সমালোচকদের সামনে আরও অনেক সাফল্যের প্রমাণ রাখতে চলেছেন।
সামনেই কি সামান্থার বিয়ে? চর্চিত প্রেমিক রাজ নাদিমরুর সঙ্গে তিরুপতির মন্দিরে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী!