Saturday, February 22, 2025

মঙ্গলগ্রহ থেকে আসা রহস্যময় বার্তা: মাত্র ১৬ মিনিটে পৃথিবীতে পৌঁছাল অজানা সিগন্যাল!

Share

মঙ্গলগ্রহ থেকে অজানা সিগন্যাল

পৃথিবীর বাইরে অন্য কোথাও প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে কি না, তা জানার আগ্রহ মানুষের বহুদিনের। বিজ্ঞানীরা অনেক বছর ধরে এই বিষয়ে বিভিন্ন গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। মাঝে মধ্যে আশার আলো দেখা দিলেও, এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু প্রমাণ মেলেনি। তবে চেষ্টা এখনও চলছে, আর এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে মহাকাশ গবেষকরা মঙ্গলের চারপাশ থেকে আসা সিগন্যাল বিশ্লেষণ করছেন।

সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে বিজ্ঞান মহলে। “আ সাইন ইন স্পেস” নামে এক বিশেষ প্রকল্পের আওতায় ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির একটি মহাকাশযান মঙ্গল গ্রহের কাছ থেকে একটি অদ্ভুত সিগন্যাল পৃথিবীতে পাঠায়। এই বার্তা মাত্র ১৬ মিনিটে পৌঁছে যায় পৃথিবীতে, যা ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যালেন টেলিস্কোপ ও ইতালির বোলোগনার মেডিসিনা রেডিও অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল স্টেশনে ধরা পড়ে। এর পর, বিজ্ঞানীরা এই সিগন্যালের ব্যাখ্যা করার জন্য কাজ শুরু করেন।

মহাকাশ গবেষণার এই জটিল কাজে যোগ দিয়েছেন এক বাবা-মেয়ে, কেন শ্যাফিন ও তাঁর কন্যা। তাঁরা অনলাইনে আপলোড করা এই সিগন্যালটি এক বছর ধরে বিশ্লেষণ করেন। প্রাথমিক পর্যায়ে তাঁরা সিগন্যালটির উৎস এবং প্রকৃতি নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ করেন। অবশেষে গত জুন মাসে তাঁরা সিগন্যালটির কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আবিষ্কার করেন। তাঁরা লক্ষ্য করেন, সিগন্যালটি কোথাও স্থির ছিল না, বরং তা ক্রমাগত গতি পরিবর্তন করছিল।

বিশেষজ্ঞরা এখন ধারণা করছেন, এই সিগন্যালটি কোনও প্রাকৃতিক উত্স থেকে আসেনি বরং কৃত্রিমভাবে সৃষ্টি হতে পারে, যা অনেকের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। এই সিগন্যালের রাসায়নিক উপাদান বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে, এতে অ্যামিনো অ্যাসিডের চিহ্ন পাওয়া গেছে। অ্যামিনো অ্যাসিডকে জীবনের মূল উপাদান হিসেবে ধরা হয়, কারণ এটি প্রোটিন তৈরির প্রধান উপাদান। এই আবিষ্কার আবারও প্রশ্ন তুলছে: আমাদের মতো বা ভিন্ন ধরনের প্রাণের অস্তিত্ব কি সত্যিই মহাজাগতিক এই শূন্যতায় আছে?

এই গবেষণার ফলাফল নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে, বিশেষত সিগন্যালটির গতি ও প্রকৃতিকে ঘিরে। এটি সত্যিই মহাজাগতিক কোনও প্রাণের চিহ্ন, নাকি কোনও মহাকাশের জটিল প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার অংশ, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে একটি বিষয় পরিষ্কার—মহাকাশের এই রহস্য আমাদের মহাবিশ্ব সম্পর্কে নতুন ধারণার দিগন্ত খুলে দিতে পারে।

এই সিগন্যালটি শুধুমাত্র বিজ্ঞানীদের নয়, সাধারণ মানুষের মনেও মহাবিশ্ব নিয়ে বিস্ময় ও কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে।

Read more

Local News