যুজবেন্দ্র চহল ও ধনশ্রী!
বিচ্ছেদের খবর চাউর হতেই ঝড় বয়ে গেছে অনুরাগীদের মনে। চার বছরের বিবাহিত জীবনের পর হঠাৎই আলাদা হয়ে গেলেন ভারতীয় ক্রিকেটার যুজবেন্দ্র চহল এবং তার স্ত্রী, নৃত্যশিল্পী ধনশ্রী ভার্মা। অথচ তাঁদের সামাজিক মাধ্যমে ছিল হাসি-খুশি জীবনের ছবি। কী এমন ঘটল, যা সুখের সেই সংসারকে শেষমেশ ভেঙে দিল?
🏠 ‘টু স্টেটস’ ভালোবাসায় চিড়
২০২০ সালের শেষ দিকে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন যুজবেন্দ্র এবং ধনশ্রী। শুরুতে সবকিছুই ছিল মসৃণ। একসঙ্গে নাচের ভিডিও পোস্ট করা থেকে শুরু করে খেলার মাঠে ধনশ্রীর উপস্থিতি—সবই যেন তাঁদের রসায়নের সাক্ষী ছিল।
কিন্তু ২০২৩ সালের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয় সমস্যা। যুজবেন্দ্র হরিয়ানার ছেলে, ধনশ্রী মুম্বইয়ের মেয়ে। সাংস্কৃতিক পার্থক্যের কারণে ধনশ্রী মুম্বই ফিরে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু চহল চেয়েছিলেন তাঁর শিকড়ের কাছাকাছি, হরিয়ানায় পরিবার নিয়ে থাকতে।
এই মতবিরোধই ক্রমে বড় অশান্তির রূপ নেয়।
💔 বিচ্ছেদের আইনি পথ
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ চহল ও ধনশ্রী বিচ্ছেদের আবেদন জানান। হিন্দু বিবাহ আইনের ১৩বি (২) ধারা অনুযায়ী, আবেদন জানানোর পর সাধারণত ছ’মাসের সময় দেওয়া হয়। তবে আদালত দ্রুত সিদ্ধান্তে আসে।
২০ মার্চ ২০২৫-এ চূড়ান্ত বিচ্ছেদের সিলমোহর পড়ে।
বিচ্ছেদের পর চহলকে ৪.৭৫ কোটি টাকা খোরপোশ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ইতিমধ্যেই তিনি ২.৩৭ কোটি টাকা পরিশোধ করেছেন বলে জানা গেছে।
🧑⚖️ বিয়ের আগেই শর্ত দিয়েছিলেন চহল
যুজবেন্দ্র চহল নাকি বিয়ের আগেই স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, তিনি তাঁর পরিবারের সঙ্গেই থাকবেন। হরিয়ানার সংস্কৃতির প্রতি তাঁর টান ছিল প্রবল। অন্যদিকে, ধনশ্রী মুম্বইয়ের স্বাধীন জীবন ও নিজের কেরিয়ারে মনোযোগী হতে চেয়েছিলেন।
এই মানসিকতার ফারাকই নাকি ছিল তাঁদের সম্পর্কের সবচেয়ে বড় বাধা।
🫢 সমাজমাধ্যমে কি সবই ছিল অভিনয়?
বিচ্ছেদের আগে পর্যন্তও ধনশ্রী এবং চহল একসঙ্গে বহু ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেছেন। অনুরাগীদের কাছে তাঁরা ছিলেন আদর্শ জুটি। তাই বিচ্ছেদের খবর সামনে আসতেই প্রশ্ন উঠেছে—“সমাজমাধ্যমে দেখা ভালোবাসা কি শুধু মুখোশ ছিল?”
তবে বিচ্ছেদের পরও দু’জনেই এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ। সম্মানের সঙ্গে আলাদা হওয়াটাই তাঁদের লক্ষ্য বলে ধারণা করা হচ্ছে।
🧘 নতুন পথে পা
বিচ্ছেদের পর চহল আবারও খেলার ময়দানে মনোনিবেশ করেছেন। ধনশ্রীও তাঁর নৃত্যকেন্দ্রিক কেরিয়ারে নতুন উদ্যমে ফিরেছেন।
কিন্তু একসময়ের ভালোবাসার গল্প আজ পরিণত হয়েছে বিচ্ছেদের অধ্যায়ে। ‘টু স্টেটস’ ভালোবাসা সব সময় কি সফল হয়?’ এই প্রশ্নই হয়তো থেকে যাবে দর্শকের মনে।