ভারত-আমেরিকার ‘অপূর্ব’ বাণিজ্যচুক্তি!
ভারত ও আমেরিকার মধ্যে এক নতুন ‘অপূর্ব’ বাণিজ্যচুক্তির কথা ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে ট্রাম্প এই ঘোষণা করেন। তবে এই চুক্তি দু’দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত করবে, না কি নতুন শুল্কের বোঝা তৈরি করবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
চুক্তির মূল বিষয় কী? কী বললেন ট্রাম্প?
দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে শুল্ক কমানো, সামরিক সহযোগিতা, এবং বাণিজ্যপথ সম্প্রসারণ সংক্রান্ত আলোচনার কথাই উঠে এসেছে এই বৈঠকে।
🔹 শুল্ক হ্রাস:
আমেরিকা থেকে ভারতে আমদানিকৃত পণ্যের উপর শুল্ক কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
🔹 অতিরিক্ত আমদানি:
ভারত আরও বেশি পরিমাণে আমেরিকা থেকে খনিজ তেল ও সামরিক বিমান কিনতে পারে।
🔹 বাণিজ্যপথ সম্প্রসারণ:
নতুন বাণিজ্যপথ গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা ভারত থেকে ইজরায়েল হয়ে ইতালি ছুঁয়ে আমেরিকায় পৌঁছবে।
এই চুক্তিকে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়ে ট্রাম্প বলেছেন,
👉 “আমরা ইতিহাসের অন্যতম সেরা বাণিজ্যপথ গড়ে তুলতে রাজি হয়েছি। এই পথ ভারত থেকে শুরু হয়ে ইজরায়েল, ইতালি হয়ে আমেরিকায় পৌঁছবে।”
শুল্ক কি থাকছে, নাকি নতুন করের বোঝা?
এতদিন ধরে ভারত-আমেরিকা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে একটি বড় সমস্যা ছিল শুল্ক (Tariff)। ট্রাম্প দাবি করেছেন, ভারত আমেরিকার পণ্যের উপর যে উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করে, তা অস্বাভাবিক।
📌 ট্রাম্পের বক্তব্য:
🗣️ “ভারত যে হারে শুল্ক চাপায়, আমরাও সেই হারে শুল্ক চাপাব।”
📌 এর মানে কি?
✔ ভারত যদি আমেরিকার পণ্যের উপর কর বাড়ায়, তবে আমেরিকাও ভারতের পণ্যের উপর পাল্টা শুল্ক বসাবে।
✔ আমেরিকা চাইছে, ভারত তাদের পণ্যের উপর কম শুল্ক বসাক, বিশেষ করে প্রযুক্তি ও কৃষিপণ্যের ক্ষেত্রে।
অন্যদিকে, মোদীর প্রশাসন এই বিষয়ে এখনও কোনো সরাসরি মন্তব্য করেনি।
বাণিজ্য ঘাটতি মেটানোর কী পরিকল্পনা?
বর্তমানে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্যে ভারতের রফতানি বেশি, আমেরিকার রফতানি কম। এই কারণে আমেরিকার বাণিজ্যঘাটতি (Trade Deficit) রয়েছে।
📌 এই ঘাটতি মেটানোর জন্য:
✔ ভারত আরও বেশি আমেরিকা থেকে খনিজ তেল ও সামরিক সরঞ্জাম কিনতে পারে।
✔ আমেরিকা চাইছে, ভারত শুল্ক কমিয়ে আরও বেশি মার্কিন পণ্য আমদানি করুক।
রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে কী ইঙ্গিত দিচ্ছে এই বৈঠক?
✔ ট্রাম্প প্রশাসন চাইছে, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে।
✔ মোদীর জন্যও এটি কূটনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ভারত-আমেরিকা সম্পর্ক উন্নত হলে অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
✔ তবে নতুন শুল্ক আরোপ হলে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের উপর বাড়তি চাপ পড়তে পারে।
শেষ কথা: এই চুক্তির ভবিষ্যৎ কী?
ট্রাম্পের মতে, এটি একটি ‘ঐতিহাসিক’ বাণিজ্যচুক্তি, যা ভবিষ্যতে দুই দেশের অর্থনীতিকে মজবুত করবে। তবে, শুল্ক কমবে নাকি আরও বাড়বে, তা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়েছে।
এই চুক্তি কি ভারতের জন্য লাভজনক হবে, নাকি ব্যবসায়ীদের উপর নতুন করের বোঝা চাপবে? আপনাদের কী মত? কমেন্টে জানান!
একদিনেই ২০ লাখ অনুগামী হারালেন! বিতর্কের কেন্দ্রে ইউটিউবার রণবীর ইলাহাবাদিয়া, কত আয় করেন তিনি?