ভারতের ব্রহ্মস হামলায় আতঙ্কিত পাকিস্তান!
পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংসে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে দীর্ঘ দিন পর মুখ খুলল পাকিস্তান। আর তাতেই প্রকাশ্যে এল ২০২৫ সালের সেই অভিযানের সময় পাকিস্তানে কতটা তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। এক টিভি সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের উপদেষ্টা রানা সানাউল্লা জানালেন, ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র নুর খান ঘাঁটিতে আঘাত হানার পর তাদের হাতে ছিল মাত্র ৩০ থেকে ৪৫ সেকেন্ড, এই সময়ের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল—আক্রমণটি পারমাণবিক কি না।
২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। তার পরই পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিতে পাল্টা প্রত্যাঘাত শুরু করে ভারত। নাম দেওয়া হয়—‘অপারেশন সিঁদুর’। সেই অভিযানের অঙ্গ হিসাবেই ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয় পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের কাছে থাকা নুর খান বায়ুসেনা ঘাঁটির দিকে। এটি পাকিস্তান এয়ার ফোর্সের একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত ঘাঁটি, যা আগেও ভারতীয় প্রতিরক্ষা পরিকল্পনার লক্ষ্য ছিল, বিশেষত ১৯৭১ সালে।
সানাউল্লা তাঁর সাক্ষাৎকারে বলেন, “যখন ভারতীয় বাহিনী ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে এবং তা আমাদের ঘাঁটিতে এসে পড়ে, তখন সরকার ও সেনার হাতে ছিল মাত্র ৩০ সেকেন্ড—বুঝে নেওয়ার জন্য যে, এটি কী ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র। ওই সময় পারমাণবিক আশঙ্কা ছিল প্রবল। মাত্র ৩০ সেকেন্ডে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সেই পরিস্থিতি ছিল ভয়ঙ্কর!” তিনি আরও বলেন, “ভুল বোঝাবুঝি হলে হয়তো যুদ্ধ শুরু হয়ে যেত, এবং সেটা পারমাণবিক পর্যায়েও পৌঁছতে পারত। ফল ভয়াবহ হত।”
অনেকেই মনে করছেন, সানাউল্লার এই বক্তব্যে পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থার অপ্রস্তুত ও দুর্বল দিকটাই উঠে এসেছে। যদিও তিনি ভারতের উপরই দায় চাপিয়ে বলেন, “আমি বলছি না ভারত পরমাণু অস্ত্র ছুড়েছে, কিন্তু এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়া থেকেই ভুল সিদ্ধান্তের ঝুঁকি ছিল। আর তার ফলাফল হতো অকল্পনীয়।” বিশ্লেষকদের মতে, এটি এক ধরনের কূটনৈতিক চাল, যার মাধ্যমে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের আগ্রাসী ভাবমূর্তি তুলে ধরতে চাইছে।
এই মন্তব্যের পরই ফের আলোচনায় এসেছে ভারত-পাক সম্পর্কের সাম্প্রতিক উত্তেজনা। সিঁদুর অভিযানে শুধু জঙ্গিঘাঁটি নয়, পাকিস্তানের একাধিক সামরিক পরিকাঠামোকেও নিশানা করা হয়। পাল্টা হামলার চেষ্টা করে পাকিস্তান, কিন্তু ভারতীয় সীমান্তরক্ষীরা তৎক্ষণাৎ তা প্রতিহত করেন। এক সময় দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলেও, পরবর্তীতে সংঘর্ষবিরতি কার্যকর হয়।
এই ঘটনা স্পষ্ট করে দেয়, দু’দেশের মধ্যে সামান্য উত্তেজনাও কীভাবে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির জন্ম দিতে পারে। পরমাণু শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে এমন ভুল বোঝাবুঝি ভবিষ্যতে বড় বিপদের কারণ হতে পারে বলেই আশঙ্কা আন্তর্জাতিক মহলের।
রাত জাগলেই বাড়ছে হাঁপানির ঝুঁকি! মহিলারা সবচেয়ে বিপন্ন, কারণ লুকিয়ে হরমোন আর উদ্বেগে

