প্রেমের জটিলতায় খুন
হুগলির ভদ্রেশ্বরের খুঁড়িগাছি এলাকায় ঘটেছে একটি ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড, যেখানে এক মহিলার হাতে খুন হয়েছেন ৪৬ বছরের তাপস প্রামাণিক। শনিবার সকালে সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়া ঘটনার ভিডিওতে দেখা গেছে, এক যুবককে ছুরি দিয়ে আক্রমণ করেন শবনম খাতুন নামের ওই মহিলা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রেমের সম্পর্কের জটিলতা থেকে এই নির্মম ঘটনার সূত্রপাত।
তাপস প্রামাণিক স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। ঘটনার দিন সকালবেলা শবনম এবং তাপসের মধ্যে একটি কথা কাটাকাটি শুরু হয়, যা দ্রুতই সহিংসতায় রূপ নেয়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, তাপসের সাথে হঠাৎ আক্রমণ করে শবনম। এই ঘটনায় রাস্তায় উপস্থিত একজন সাইকেল আরোহীও হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন, কিন্তু সেই মুহূর্তে দুই মহিলা দ্রুত চলে যান।

শবনম বিবাহিত এবং তিনি আগে রিষড়ায় তাঁর স্বামীর সাথে থাকতেন। বর্তমানে তিনি খুঁড়িগাছি এলাকায় বাসা ভাড়া করে বসবাস করছেন, যেখানে তাঁর তাপসের সাথে পরিচয় ঘটে। তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে, যা পরে জটিলতার মধ্যে পড়েছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তাপসের স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে চলে গেছেন এবং তাপসের সাথে শবনমের সম্পর্কের বিষয়টি জানার পর তাঁদের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি হয়। স্থানীয় কাউন্সিলর সুরেশ সাউ জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকাল থেকে তাঁদের মধ্যে গন্ডগোল চলছিল এবং এর পরের দিন এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর পুলিশ অ্যাঙ্গাস ফাঁড়ির সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান, কিন্তু ততক্ষণে তাপসের মৃত্যু হয়ে গেছে। পুলিশ তার দেহ উদ্ধার করে চন্দননগর হাসপাতালে পাঠায়, যেখানে ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানান, এ ঘটনার সাথে আরো এক মহিলা জড়িত ছিলেন, যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্তের পর অভিযুক্ত শবনমকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে ঘটনার পুরো প্রেক্ষাপট জানা হবে। আইন অনুযায়ী, ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভদ্রেশ্বরের এই ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে এবং স্থানীয় জনগণ এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করছেন।

